শঙ্করদানা কাঠের ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা প্রতিনিধি // দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
জেলার পাইকগাছায় হাড়িয়া নদীর ওপর শঙ্করদানা কাঠের ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। গত কয়েকদিন আগে ব্রিজের অধিকাংশ ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন থেকে শুরু করে বন্ধ হয়ে রয়েছে সব ধরণের চলাচল। গত শনিবার সকালে ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সূত্রমতে, উপজেলার কপিলমুনি ও লতা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হাড়িয়া নদীর ওপর স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্মাণ করা একটি কাঠের ব্রিজ রয়েছে। ব্রিজের কপিলমুনি ইউনিয়নের প্রান্তে রয়েছে বারুইডাঙ্গা ও লতা ইউনিয়নের প্রান্তে রয়েছে শঙ্করদানা ও তেঁতুলতলা। দুটি ইউনিয়ন চিংড়ি অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এলাকার শত শত ঘের মালিকরা কাঠের ব্রিজ দিয়ে তাদের উৎপাদিত মৎস্য ও চিংড়ি উপজেলা সদর ও বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনিতে সরবরাহ করে থাকে।
অপরদিকে দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে শঙ্করদানা কাঠের ব্রিজটি। ২শ’ ফুট দৈর্ঘের পুরাতন ব্রিজটির লতা ইউনিয়ন প্রান্তের অংশ বিশেষসহ ব্রিজের অধিকাংশ গত কয়েকদিন আগে ভেঙে পড়েছে। এতে নছিমন-করিমন, ভ্যান-সাইকেলসহ সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এমনকি সাধারণ মানুষও পার হতে পারছে না। যাতায়াত নিয়ে গত কয়েকদিন যাবৎ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে গত শনিবার সকালে ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করেন,
উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার ও লতা ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। লতার ইউপি সদস্য কৃষ্ণ রায় জানান, ব্রিজের অধিকাংশ ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াত নিয়ে এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। শনিবার উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন।
পরিদর্শনকালে এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করে উপজেলা পরিষদ ও দুই ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় এবং নির্ধারিত হারে টোল আদায় সাপেক্ষে ইজারা প্রদানের মাধ্যমে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে স্থানীয় এ জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন।
দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
ইমদাদুল হকপাইকগাছা,খুলনা
তারিখঃ ২৫/১২/১৭ ইং