আগামী ৩১ ডিসেম্বর যশোরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে উৎসবে ভাসছে যশোর জেলা।
দৈনিক ঢাকার কন্ঠ// যশোর প্রতিনিধি , সুজন আহমেদ ।
কর্ম চাঞ্চলতা ফিরে এসেছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে। শহরকে সাজানো হচ্ছে বিভিন্ন সাজে। গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলিতে নেতা কর্মীদের ব্যানার,ফেস্টুন,প্যানা এমনকি বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে তোরণ নির্মান করা হয়েছে। রাত দিন চলছে মঞ্চ সজ্জার কাজ। নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলিতে রয়েছে আলোক সজ্জা। এছাড়া ভাঙ্গা রাস্তাগুলিও মেরামতের কাজ চলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার ।
আর জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক জানান, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভাকে জন সমুদ্রে রুপান্তরিত করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। প্রথমে যশোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা করার কথা থাকলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে ষ্টেডিয়ামের পরিবর্তে শহরের ঈদগাহ ময়দানে জনসভার প্রস্তুতি চলছে। দীর্ঘ ৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী যশোরে আসবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে চলছে প্রস্তুতি সভা ও সেমিনার। যশোর বাসীর পক্ষ থেকে যশোরকে সিটি কর্পোরেশন,বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর, সরকারী এম এম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষনা,
রাস্তাঘাট উন্নয়ন সহ গরীব ফল ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী একটি জায়গা বরাদ্দের দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে।প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখার জন্য যশোরবাসী উদগ্রীব হয়ে আছে। ৩১ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমি যশোরে অনুষ্ঠিতব্য রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। বিমান বাহিনীতে দুপুরের খাবার খেয়ে বিকাল সাড়ে ৩ টায় তিনি যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষন দেবেন এবং যশোরের ২৮ টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
যশোর জেলার ভবদহর স্থায়ী সমাধানের দাবি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের।জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে প্রায় ২ সহশ্রাধিক পুলিম সদস্য মোতায়েন করা হবে এছাড়া অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরা তাদের নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তার কাজ করবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
সুজন আহমে