চায়ের দোকান করে মানবেতরজীবন যাপন করছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া
আব্দুল আলিম, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি// দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
দেশস্বাধীন হওয়ার ৪৬ বছর হয়েছে। তবুও নিজের স্বপ্নেরবাংলাদেশকে দেখতে পাননি তিনি। একাত্তরে জীবন বাজি রেখেদেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন পীরগঞ্জের আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া। শত্রুরমুখোমুখি দাঁড়িয়ে অদম্য সাহস দেখালেও ৬৬ বছরের ওইবীরমুক্তিযোদ্ধা জীবন যুদ্ধে কাতর হয়ে পড়েছেন।
অভাব অনটনেদিনে একবেলাও খাবার জুটে না মুখে। পান না মুক্তিযোদ্ধাভাতাও। ঘুরছেন স্থানীয় এমপিসহ রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারেদ্বারে। পীরগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর মহল্লার ষ্টেশনপাড়ারমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া জানান, মুক্তিযোদ্ধার সকলবৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ভাতা না পাওয়ায় চা ও পানের দোকানকরে কোনমত পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
তার দুই ভাই আব্দুর ওহিদ ও রফিক মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করায়১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন। তার পরেওপাননি শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি। জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধাআব্দুল মজিদ ভূঁইয়া ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েতার দুই ভাইকে পাক হানাদার বাহিনী কতৃক হত্যার পর ঐমুক্তিযোদ্ধা প্রায় পাগলের মত হয়ে যান। পরে তৎকালীন সময়েরএমসিএ ইকরামুল হক এর সহযোগীতায় পীরগঞ্জ উপজেলারফকিরগঞ্জ ডালটা কোম্পানীতে ইপিআর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেপ্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ারপর ১৯৯৮ইং সালে তিনি এমসিএ ইকরামুল হকের সহায়তা ওতৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার ইকরামুল হকরে সুপারিশেরভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার দরখাস্ত করেন। এরই প্রেক্ষিতে তারনামে ২০১৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশকরা হয়। যাহার নম্বর- ১৬৪৩। এছাড়াও তিনি ২০১৪ সালেরপীরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। যাহারভোটার নম্বর ২৬০। সম্প্রতি সময়ে উপজেলা পর্যায়েমুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন তিনি।কিন্তু এলাকার একটি কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্ত হয়নি।বঞ্চিত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকেও।
সচেতন মহলের অভিমত,প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি ভাতা পাননা। কিন্তু অনেকেইমুক্তিযুদ্ধ না করেই মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পান। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রির হস্তক্ষেপ কামনা করছেন আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া।
দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
মোঃ আব্দুল আলিমপীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও