ফেনীর সোনাগাজীতে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতার হস্তক্ষেপে ৬৫ পরিবারের কষ্টের অবসান
মোঃ ইউনুছ ভূঞাঁ সুজন , ফেনী প্রতিনিধিঃ// দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
অবশেষে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বাদামতলী এলাকার হামিদ আলী মাঝি বাড়ির ৬৫ পরিবারের ৩০ বছরের কষ্টের অবসান হল। নির্মিত হল প্রস্তাবিত নিজাম উদ্দিন হাজারি সড়ক।
আমিরাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব নবী ফরহাদ ও সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন খন্দকারের প্রচেষ্টায় ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে চলাচলের সড়ক। এতদিন যাদের চলাচলের জন্য কোন সড়ক ছিলনা। অতি কষ্টে যাদের বাড়ি থেকে বের হতে হত।
সূত্র জানায়- বংশগতভাবে উক্ত বাড়ির লোকজন আওয়ামীলীগের কট্টর প্রন্থী সমর্থক। মুহুরী প্রজেক্ট সড়কের বাদামতলী বাজারের পূর্বপার্শ্বে বাড়িটি অবস্থিত। উক্ত বাড়ি থেকে মূল সড়কে উঠার জন্য কোন নির্দিষ্ট সড়ক ছিলনা। শুষ্ক মৌসুমে অন্যের জমি দিয়ে আসা যাওয়া করলেও, বর্ষাকালে এই কষ্ট দাঁড়াত অতিমাত্রায়। বাড়ির লোকজন সামান্যতম বৃষ্টির পানিতে বাড়ি থেকে ভিজে বের হতে হত। স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া বন্ধ থাকতো। যেখানে বর্ষাকাল মানে ছিল জন্য এক অন্যরকম কারাগার। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির লোকজন বের হত না সড়কের অভাবে। বহুবার জমির মালিকদের সাথে সামাজিকভাবে বৈঠক করে ৩০ বছরেও এর কোন প্রকার সুফল পাওয়া যায়নি।
অবশেষে বিষয়টি উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার হোসেন খন্দকার ও যুবলীগ নেতা আইয়ুব নবী ফরহাদের নজরে আসে। তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। দুইজন মিলে সামাজিক ভাবে বৈঠক করে জমির মালিকদের সাথে উক্ত বাড়ির লোকজনের সাথে সমঝোতা করে বাড়ির থেকে বের হওয়ার জন্য সড়ক নির্মাণ করেন। ফলে ৬৫ পরিবারের ৩০ বছরের চরম কষ্টের সমাপ্তি ঘটলো।
বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বললে জানায়- আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য একটা সড়ক নির্মাণ করতে পারিনি। বহুবার সামাজিকভাবে বৈঠক হলেও কোন এক অজানা কারণে সড়কটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার ও যুবলীগ নেতা ফরহাদের হস্তক্ষেপে আমাদের দীর্ঘদিনের কষ্টের অবসান ঘটলো।
আমিরাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আইয়ুব নবী ফরহাদ জানান- দীর্ঘদিন ধরে এই বাড়ির লোকজন একটা সড়কের জন্য সীমাহীন কষ্ট সহ্য করে আসছিল। আমরা অবশেষে দুই পক্ষের সমঝোতার মধ্য দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে সাহায্য করি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন খন্দকার জানান- সামান্য জায়গা, কয়েকজন প্রবাভশালীর গাছ ও ক্ষমতাধর ব্যক্তির আত্মীয়ের প্রভাবের কারনে এতদিন ধরে সড়কটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বরং সেই বাড়ির লোকদের জমি দখল করে এক প্রবাভশালীর রাস্তা নির্মাণের সময় বিষয়টি আমার ও ফরহাদের নজরে আসে। সাথে সাথে আমরা প্রবাভশালীর রাস্তার আগে এই রাস্তাটি করার চ্যালেঞ্জ গ্রহন করি। রাস্তা করার জন্য যাদের জমি প্রয়োজন হয় জমির মালিকদের সাথে সমাঝোতা করে সম্পূর্ন নিজ উদ্যোগে কয়েকদিন আগে নির্মানকাজ শুরু করি। কাজের শুরুতে অনেক বাধা আসে কিন্তু পুরো এলাকাবসীর একতার কাছে ওরা হার মেনেছে। আজকে প্রায় আধা কিলোমিটার দৈর্ঘের রাস্তাটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। রাস্তাটি নির্মাণের ফলে দাসগ্রাম ও তিন বাড়ির মানুষ উপকৃত হবে।