শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
দিনাজপুরের ঐতিহাসিকবিনোদন কেন্দ্রনবাবগঞ্জেরস্বপ্নপুরী
এম এ সাজেদুল ইসলাম(সাগর)প্রতিনিধি নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর//
দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
বিনোদন ও পিকনিকের জন্য এক অসাধারন ও অনির্বাচনীকেন্দ্র স্বপ্নপুরী। এক বার গেলে বার বার যেতে মন ছট ফট করেএই উত্তর অঞ্চলের স্বপ্নপুরী। দিনাজপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার এবংফুলবাড়ি উপজেলা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার পূর্ব দিকে,এবং নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রায় ৯ কিরোমিটার উত্তরেআফতাবগঞ্জ এলাকার প্রত্যান্ত পল্লী অঞ্চলের গহীন বনজঙ্গল এবংমজা পুকুর সংস্কার কওে প্রায় দুই শত একর জমির উপরনির্মিত উত্তর বঙ্গের মনোরম,ছিমছাম ভ্রমন কেন্দ্র হচ্ছেস্বপ্নপুরী।
নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের সাবেক ইউপিচেয়ারম্যান,বর্তমান বাংরাদেশ জাতীয় পাটির জেরা সভাপতি,সাংস্কৃতিক ও প্রকৃতি প্রেমিক আলহাজ্ব মোঃ দেলোয়ারহোসেনের ব্যক্তিগত উদ্যেগে একটি বিনোদন(পিকনিক)কর্নারতোলার পরিকল্পনার নিয়ে ১৯৮৯ খ্রিঃ গুটি গুটি পায়েকাজ শুরু করেন এবং ১৯৯০ সন থেকে শুরুহয় স্বপ্নপুরীর যাত্রা।এই স্বপ্নপুরীতে রয়েছে।শিশুপার্ক,চিড়িয়াখানা, যেখানেরয়েছে বিভিন্ন প্রকার বন্য প্রানী যেমন-বাঘ,ভাল্লুক,অজগর,মদন,শুকুন,বানর,হরিন বিভিন ধরনের বাহারিকবুতর,পাঁচপায়ের গরু প্রভিতি উল্লেখ যোগ্য প্রাণী।স্বপ্নপুরীতে আরো রয়েছে কৃত্রিম চিড়িয়া খানা,ঝর্ণাধারা,নৌবিহার,সবুজ গাছের ছায়ার নিছে
বিশ্রামাগার,দেশি-বিদেশী হাজারো ফুলের বাগান, দেখতেকি চমৎকার সারি সারি দেবদরু গাছ, মাটিতে নেমে আসাকৃত্রিম রংধনু, আরো রয়েছে পর্যোটকদেও জন্য মাটি ও দালেনঅতি আকর্ষণীয় কটেজ ও রেষ্ট হাউস।
এছাড়াও রয়েছে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংরাদেশের সকলআন্দলন ওসংগ্রামের আর্টিফিসিয়ালের মাধ্যমে নতুনপ্রজন্মকে দেখা বা জানার জন্য দেয়লে দেয়ালে বা দর্শণীয়জায়গায় চিত্র তৈলী করা হয়েছে। এসব তদারকির জন্য দিবা রাত্রিআগত ভ্রমনকারী অতিথীদেও সার্বকনিক নিরাপত্তার জন্যসার্বিক ভাবে কাজ কওে যাচ্ছে বিভিন্ন কেটাগরীর শ্রমিক ওকর্মচারিগণ। স্বপ্নপুরীর পিকনিক কর্ণারটি ইতি মধ্যেউত্তরাঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি সমগ্র দেশবাসীর কাছেজনপ্রিয় দর্শণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। বছরে ৩৬৫ দিনইহাজার হাজার মানুষ এখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসেবিনোদনের জন্য। তবে ডিসেম্বর মাস থেকে মিতের শুরু আরতখন থেকে শুরু হয় স্বপ্নপুরীতে পিকনিক পার্টিও ভিড়।
স্বপ্নপুরীতেবাস,মাইক্রোবাস,মিনিবাস,মটোরসাইকেল,ভ্যান,টেম্পু,অটোবাইক,বাইসাইকেল এমনকি স্থানীয় লোকজন পায়েহেঁটেও বিনোদন প্রিয় মানুষ আসেন।স্বপ্নপুরীকে বিনোদন প্রেমিকদের জন্য স্বপ্নপুরীকেস্বপ্নের মতো সাজাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহনকরেছেন স্বপ্নপুরী কর্তৃপক্ষ। এই স্বপ্নপুরীতে বাংলাদেশ চলচিত্র কর্তৃক প্রায় ২৫টিবাংলা সিনেমা,নাটক ও মিউজিক ভিডিওর স্যুটিং হয়েছে।এছাড়াও স্বপ্নপুরী সেরা কন্ঠ অনুষ্টানের আয়োজন করেছে।স্বপ্নপুরীতে দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন গুণীজন, রাজনৈতেকব্যক্তি বর্গ,বুদ্ধিজীবি,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মনাব্যক্তিবর্গ পরিদর্শন করে গেছেন। স্বপ্নপুরীতে বিনোদনেরজন্য শীত মওসুমে প্রতিদিন প্রায় বিশ্ব হাজারের বেশীদর্শনার্থী ঘুরতে আসেন। শীত মওসুম ছাড়াও সারা বছরবিভিন্ন পেশাঝীবির মানুষ ঘুরতে আসেন পরিবার নিয়ে।
স্বপ্নপুরীতে যাতায়াত ও প্রবেশ মূল্যÑঊাংরাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে দুরপাল্লার বিভিন্ন প্রকারকোচ এবং ঢাকা থেকে প্রতিনিয়োত ছেড়ে আসে কমলাপুররেলষ্টেশন থেকে,আন্তঃনগর নীলসাগর, দ্রুতযান,একতা একপ্রেসএ ফুলবাড়ি এসে স্বপ্নপুরীতে যাওয়াযায়। এ ছাড়াও প্লেনেরমাধ্যমে ঢাকা থেকে শইতপুর নেমে স্বপ্নপুরীতে আসা যায়। স্বপ্নপুরীর ভিতরে প্রবেশ করতে এক হাজার পাঁচ শত টাকা,পিকআপ-মিনিট্রাক আটশত টাকা, মাইক্রোবাস পাঁচ শতটাকা,মিনিবাস দুইশত টাকা,র্চাজার-ইজি বাইক ত্রিশটাকা,নছিমন-করিমন-স্যারোমেশিন চালিত গাড়ি আটশতটাকা,রিকশা-ভ্যান দশ টাকা, মোটরসাইকেল পার্কিং বিশ্বটাকা,বাই সাইকেল দশ টাকা, এবং প্রতিজন পঞ্চাঁশ টাকাগুনতে হয়। এ আয় স্বপ্নপুরীর বিভিন্ন কর্মরত কর্মচারিদেওবেতন ভাতা মিটিয়ে বাকি টাকা রক্সনাবেক্ষনে এবং সংস্কারকরার কাজে ব্যয় করা হয়। এ ছাড়াও দর্শনার্থীদের প্রবেশ মূল্যছাড়াও ভিতরে আলাদা আলাদা বিভিন্ন রাইডের জন্য টাকাগুনতে হয়।এ ছাড়াও পর্যটক ও ভ্রমনকারীদের থাকার জন্য কর্তৃপক্ষ মনোরমপরিবেশে আর্কশনীয় কটেজ বা রেষ্ট হাউস তৈরী করেছেন।
নীলপরী,রজনীগন্ধা,নিশিপদ্ম,চাঁদনী,সন্ধাতারা, ও রংধনু নামেএসব রেষ্টহাউস ভাড়ায় রাত্রী যাপন করা যায়। রেষ্ট হাউসেসিঙ্গেল,ডাবল, ও তিন রুম বিশিষ্ট এসব রুম পাওয়া যায়।বুকিং ও বিস্তারিত তথ্যেও জন্য ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগকরা যায়। স্বপ্নপুরী কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে এখানে একটিঅত্যাধুনিক হোটেল,চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট, মুক্তিযুদ্ধেও স্মরনেস্বতন্ত্র স্পট, পাখির রাজ্য, মাছের রাজ্য, রেলকার,রোপকার,মানবিক চৈতণ্যেও ভাস্কর্য শিল্প ইত্যাদি নির্মানের পরিকল্পনানিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।¯œপ্নপুরীর সফল বাস্তবায়নে যিনিঅক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, তিনি হচ্ছেন প্রতিষ্ঠাতা ওব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোঃ দেলোয়া হোসেন। নেপথ্যেরয়েছেন তারই সহোদর সাবেক সংসদ সদস্য মরহুমমোস্তাফিজুর রহমান ফিজু।
বর্তমানে মরহুমের বড় ছেলে
বাংলাদেশ পাল্লামেন্ট অফ মেম্বার মোঃ শিবলী সাদিকবিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা করে আসছেন।স্বপ্নপুরীর বিল্ডিং ডিজাইন করেছেন দিনাজপুর হোম প্লানেরইঞ্জিনিয়ার দেবাশীষ। শিল্পীর তুলির আঁচড়ে স্বপ্নপুরীর সকলছবি হয়েছে প্রাণবন্ত। এদেও মধ্যে রয়েছেন জয়পুরহাটের আজাদহোসেন(আজাদ),বগুড়ার চিত্র শিল্পী মোঃ সাহেবুর রহমান(ফটন)ও নুরন্নবী প্রমুখ।স্বপ্নপুরী ভৌগলিক অবস্থান গতভাবে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পে সোনালী সম্ভাবনাময় এবং বিগত বছর গুলোতে এ শিল্পেরযথেষ্ট উন্নতি ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। স্বপ্নপুরীউত্তরবঙ্গ তথা সমগ্র দেশজুড়ে একটি আর্কষণীয়বিনোদন(পিকনিক) বা ব্রমন স্পট হিসাবে খ্যাতি লাভকরেছে। স্বপ্নপুরীর প্রবেশ দ্বাওে দুটি বিশাল আকৃতির পরীদন্ডায়মান। ওরা পর্যটকদেও স্বাগত জানাতে সদা-সর্বদাপ্রস্তুত। ছায়া আচ্ছাদিত স্থানে রয়েছে মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্তনাসাজের সু-ব্যবস্থা। এ ছাড়াও রয়েছে মুক্তমঞ্চ। মঞ্চে ভাস্কর্যনৃত্যরত তরুন-তরুণী সৃষ্টি করেছে স্বপ্নীল ও সাংস্কৃতিকআবহ।
সময় যেন এখানে থেমেে দাড়ায়। হারিয়ে ফেলে চলারগতি।একানে রয়েছে শিশু পার্ক,ঘোড়ার গাড়ী চড়ারআনন্দ,রবীন্দ্র-নজরুলসহ বিভিন্ন ভাস্কর্য, জবিন্ত চিড়িয়াখানা, সৌরজগত,নভথিয়েটার, স্বপ্নপুরী সত্তাধিকারের শু-বিশাল আলিশান বাংলো, বিভিন্ন প্রকার ফলোজ,বনোজ গাছ-গাছালি স্বপ্নপুরীকে সৃষ্টি করেছে এক নতুন মাত্রা।সরকারি পৃষ্টপোষকতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে স্বপ্নপুরেিকএকটি নতুন জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে পরিনত করাযেতে পারে।
এছাড়াও স্বপ্নপুরীতে অবস্থান কও ফুলবাড়িকয়লাখনি,কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মধ্যপাড়া কঠিন
শিলা প্রকল্প ঘুওে এ এক রকম অন্যরকম অভিজ্ঞতা অর্জন করতেপারেন।দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ১১ পিস ইয়াবা সহ ১নং জয়পুরইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য প্রদীপ কুমারের ছেলেরতন (২৬) এর দেহ তল্লাশি করে পুলিশ গ্রেফতার করে। থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান জানান, রতন দীর্ঘদিন ধরেইয়াবা সেবন করে আসত। গত রাতে তাকে আটক করে মাদকদ্রব্যআইনে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এম এ সাজেদুল ইসলাম(সাগর)প্রতিনিধিনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
তারিখঃ ১৫/০১/২০১৮ ইং