হিউম্যানোয়েড বাংলা রোবট ব্যাংরো (Bangro) তৈরির গল্প
ডেক্স, দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
গত ৬ই নভেম্বর ‘ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’ তে প্রদর্শন করা হয় হিউম্যানোয়েড বাংলা রোবট- ব্যাংরো। হিউম্যানোয়েড রোবট বলতে বোঝায় মানুষের মতো দেখতে এবং মানুষের মতো আচরণ করতে সক্ষম রোবটকে। এছাড়া এটি সোশ্যাল রোবটও। তৈরিকৃত বাংলা রোবট ব্যাংরো (Bangro) কে তারা মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী "জুনাইদ আহমেদ পলক" এর কাছে উপস্থাপন করে। তিনি তাদের এই রোবটটির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উৎসাহ ও সাহায্যের আশ্বাস দেন।Inline image 1
ব্যাংরো (Bangro) এমন এক রোবট যার গঠন কাঠামো অনেকটাই মানুষের মতো। তাছাড়া মানুষের আচরণের সঙ্গে এর আচরণের সাদৃশ্য রয়েছে। করতে পারে মানুষের মতো অঙ্গভঙ্গি। এছাড়া এটি বাংলায় কথাও বলতে পারে। সব মিলিয়ে সোশ্যাল রোবট হিসেবে অনেকেরই নজর কেড়েছে ব্যাংরো।
ব্যাংরো এই কয়দিনে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও অনেকেই জানেন না ব্যাংরো তৈরির পেছনের গল্প। জানেন না কাদের শ্রমে ব্যাংরো তৈরি হলো। সোশ্যাল রোবট ব্যাংরো তৈরি করেছেন,
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ৭ম পর্বের ১০ জন তরুণ। এদের মধ্যে দলনেতা হিসেবে কাজ করেছেন ফরিদ হোসেন এবং সহকারী দলনেতা হিসেবে কাজ করেছেন রাহাত উদ্দিন ও এহসানুল হক রানা। এছাড়াও দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন বেলাল হোসাইন, ইকরাম হোসাইন বিজয়, শওকত হোসেন, সাইদুল ইসলাম, মাসুদ, নুরুজ্জামান মুন্সী, মেহেদি হাসান । তারা প্রায় ২১ দিন কাজ করে তৈরি করেন এই রোবটটি। রোবট তৈরির জন্য অনেক যন্ত্রই বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। সেজন্য বেশ কিছু যন্ত্র খুব পরিশ্রম করে তাদের তৈরি করতে হয়েছে।
ভবিষ্যতে এই দলটির পরিকল্পনা আছে আরও উন্নত রোবট তৈরি করার। তবে সেজন্য প্রয়োজন তহবিলের। আর্থিক সহযোগিতা পেলে হাটতে পারে এমন রোবট তৈরির আশা প্রকাশ করেছেন তারা। এ প্রসঙ্গে দলটি জানায়, জাপানের মতো দেশে রোবটকে হাঁটানোর জন্য সময় লেগেছিল প্রায় এক যুগ। আর উপযুক্ত আর্থিক সহায়তা পেলে অল্প সময়ের মধ্যেই হাঁটতে পারে এমন রোবট তৈরি করতে সক্ষম হবেন তারা।
রোবট তৈরির এ কার্যক্রম সম্পর্কে দলটির অন্যতম সহকারী দলনেতা এহসানুল হক রানা বললেন, ‘এটা একটা সূচনা। মানুষ, বিশেষ করে ছোটরা এখান থেকে দেখবে এবং নতুন কিছু করার প্রেরণা পাবে। তারা অন্ততপক্ষে এই মনোবল রাখবে যে, আর আমাদেরকে বিশেষ কিছু করার জন্য দেশের বাইরে যেতে হবে না। দেশেই এখন অনেক কিছু সম্ভব, যদি ইচ্ছা থাকে।’