কৃষকদের প্রত্যাশা পূরণে হলুদ ফাদ
মো: রাসেল মিয়া নরসিংদীর // দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
ক্ষতিকর পোকা ও বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনেরফলে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতো। এত কৃষকদের প্রত্যামা পূরণ হতো না। পোকা দমনে নতুন পদ্ধতি হলুদ ফাদকৃষকদের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। নরসিংদীর কৃষকরা ফসলেরক্ষতিকর পোকা দমনে নতুন পদ্ধতি হলুদ ফাদ ব্যবহারে সফলতাপাচ্ছেন। এতে কীটনাশকের বাড়তি খরচ কমার পাশাপাশউৎপাদিত বিষমুক্ত সবজির ন্যায্য দাম পাচ্ছে তারা ।
ফলেকৃষকরা সব ধরনের সবজি চাষে হলুদ ফাদেঁ ব্যবহার বাড়াচ্ছেন ।কৃষি র্কমকর্তারা জেলাজুড়ে নতুন এ পদ্ধতির ব্যবহার বাড়াতেকৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করছেন। কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের সঙ্গেকথা বলে জানা গেছে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে নরসিংদীরবিভিন্ন উপজেলার সবজির জমিগুলোতে বসানো হয়েছেপোকা দমনে নতুন এ পদ্ধতি হলুদ ফাদ। আঠালো এসব হলুদরংয়ের ফাদে বসে আটকা পড়ে মারা যাচ্চে ক্ষতিকর সব পোকা।
এপদ্ধতিতে পোকা দমন হওয়ায় কৃষককে সবজি জমিগুলোতেপ্রয়োগ করতে হচ্ছে না ক্ষতিকারক কীটনাশক বা বিষ। কৃষকরাজানান প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে বিষ প্রয়োগ করতে খরচ হয়৩০-৪০ হাজার টাকা। টাকা বিপরীত ফাদেঁ খরচ মাত্র ৭ থেকে ৮হাজার টাকা । এতে কমে যাচেছ বাড়তি কীটনাশক খরচ,পাশাপাশি উৎপাদন করা যাচেছ বিষমুক্ত সবজির চাহিদাথাকায় অতিরিক্ত দাম ও পাওয়া যাচ্ছে । লাভজনক হওয়া কৃষকরা এপদ্ধতি ব্যবহার আগ্রহি হচ্ছে ।
নরসিংদী কৃষিসম্প্রাসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ লতাফত হোসেনবলেন, প্রাথমিক ভাবে এ বছর জেলার ১ হাজার হেক্টর জমিতে হলুদফাদেঁ ব্যবহার করা হয়েছে । সফলতা পাওয়া বিষমুক্ত নিরাপদসবজি উৎপাদনে কৃষকদের মধ্যে হলুদ ফাদেঁর ব্যবহার ছড়িয়েদেয়ার জন্য কাজ করেছে কৃষি বিভাগ