বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন
মোঃ ইউনুছ ভূঞাঁ সুজন, ফেনী :
সবার কাছ থেকে যা পায় তা দিয়ে চলে প্রতিবন্ধি মোঃ হারুন রশিদের পরিবারের ৪সদস্যের সংসার।
হটাৎ রবিবার সকালে ছোট ভাইকে ফেনী সরকারী কলেজে ভর্তি করাতে যাওয়ার সময় চোখ পড়লো ৩২-৩৫ বছর বয়সি এক প্রতিবন্ধি যুবকের দিকে নিজের কাজটি পরে করবো ভেবে ছোট ভাইকে বললাম তুমি কলেজে অধ্যক্ষের কার্যলয়ে গিয়ে বসো আমি একটু পরে আসতেছি।
আমি ভাইটির একটু পাশে গিয়ে সালাম দিলাম। আর জানতে চাইলাম আপনি কেমন আছেন? আর জানতে চাইলাম আপনার নাম কি? ভাইটি সালামের জবাব দিয়ে মৃদুসরে উত্তর দিলো আমি ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। তবে আমার ২টি ছেলে মেয়ে আছে তারা পরা লিখা করে, আমি ও আমার স্ত্রী সহ মোট ৪সদস্যের সংসার এবং ছেলে মেয়েদের পড়া লিখার খরচ চালানো খুব কষ্টময় আমার পক্ষে। আজ এখানে তো আগমী কাল সেখানটাই ১০ বাপ, ভাই, বোনদের কাছে পরিবারের তাগিদে হাত পাতি যা পাই তা দিয়ে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়।
তিনি জানান, ভিক্ষা করা নিজের কাছে অনেক লজ্জা জনক কিন্তুু জীবিকার তাগিদে করতে হচ্ছে গত কয়েক বছর অনেক কষ্টে বেটারী চালিত টমটম চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ করলে ও হটাৎ একটা দূর্ঘনায় টমটমে আগুন লেগে টমটম পুড়ে গেলে আমি সর্বশান্ত হয়ে পড়ি। তাই বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করে পরিবার নিয়ে রয়েছি কোন ভাবে।
তাঁর কাছে জানতে চাইলাম আপনিতো একজন প্রতিবন্ধি সরকার আপনাদের জন্য প্রতিবন্ধি ভ্রাতা ব্যবস্থা চালু রেখেছে। আপনি কি প্রতিবন্ধি ভ্রাতা পান?? মোঃ হারুন রশিদ আমায় জানান, ফেনী জেলার অনেক বড় বড় সাংবাদিকের কাছে একটু সহযোগিতা চেয়েছি সবাই বলে আজ এসো?? কাল এসো?? বলে জেলা সমাজ সেবা প্রধান কে বলে সহযোগিতা করবো। কিন্তুু কাজের কাজ কেউ করে না। গরিবের দুঃখ কেউ বুঝেনা আল্লাহ ছাড়া।
জানা যায়,
মোঃ হারুন রশিদ(০১৮৪৯২৪৬১৯৬) পিতা মৃত সাজ উদ্দিন, জন্মস্থান কুমিল্লা চাঁদ পুর, বর্তমান ঠিকানা গুদাম কোয়াটার, গাজী ক্রস রোড়।তি
তিনি জানান বিগত ৩৬ বছর অাপনাদের ফেনী জেলা বস বাস করে আসছি ১০ জনের সহযোগিতায় ।
এদিকে মোঃ হারুন রশিদের বিষয়ে ফেনী জেলা সমাজসেবা প্রধান অফিসার মোঃ মোস্তফা রহিম খান পলাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,
ওকে তো চিনি।আগে হাসপাতালের মোড়ের বাসস্ট্যান্ডে ভিক্ষা করতো।ও ভাতা পায়।আমার সাথে পরিচয় আছে।হারুন সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে ভাতা পায়।
তিনি আরো জানান, আমি যখন পুরশুরাম আসা যাওয়া করতাম তখন সে ঐখানে বাসস্ট্যানে ভিক্ষা করতে আমি সব সময় তাকে অার্থিক ভাবে সহযোগিতা করতাম। এমনি ঈদের সময় তাদে আর্থিক ভাবে সহায়তা করতাম।
এদিকে মোঃ হারুন রশিদ জানান, সে পূর্বে ভ্রাতা পেলেও বর্তমানে সে কোন ভ্রাতা পায়না দীর্ঘ দিন যাবত। সে প্রতিবন্ধি হওয়া সত্বেও আদৌ জানেনা কেন সেই এখন প্রতিবন্ধি ভ্রাতা পাওয়া থেকে বন্চিত?? সেই জেলা সমাজ সেবা প্রধান কর্মকর্তার নিকট দাবী জানান , সে যেন আবার ভ্রাতা পান সে ব্যবস্থা করে দিলে কতৃজ্ঞ থাকবে বলে জানান।