আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১২ জন দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় ফরম সংগ্রহ করেছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে ছয়জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সিলেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হচ্ছে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-২।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও শেফিল্ড শাখার সভাপতি এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ ( সহ- সভাপতি কেন্দীয় কমিটি ) এম মোহিদ আলী মিঠু
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, ও যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শাহজাহান।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেকের দলীয় সম্পৃক্ততা ও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য ফরম সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা বইছে নির্বাচনী এলাকায়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নেওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
সিলেট-২ আসন (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে হচ্ছেন এ নিয়ে দুই উপজেলা জুড়ে চলছে সরব আলোচনা। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে হচ্ছে এখনই বলা মুশকিল হয়ে পড়েছে। এর জন্য আরও দুই-তিন অপেক্ষা করতে হবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নিয়ে অনিশ্চয়তায় দলের কর্মী ও সমর্থকরা।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন বেশি পেতে তৎপর রয়েছেন। ফলে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নমিনেশন পেতে দেশ-বিদেশে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার কান্ডারী কে হবে তা বলা কঠিন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের জন্য আওয়ামী লীগই বিপদ হয়ে দাড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শফিকুর রহমান চৌধুরী কিংবা যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান জোর তৎপরতা শুরু করেছেন। তারা দুইজনই নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দেশে এসে বিশাল শোডাউন করেছেন। শফিকুর রহমান চৌধুরী নির্বাচন তফসিল ঘোষণার আগে থেকে এলাকায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় অংশ নেন। এলাকায় তার উপস্থিত ছিল সরব। দুটি উপজেলায় শফিক চৌধুরী ও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর অনুসারী রয়েছেন।
দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা কালে তাদের অনুসারীরাও ঢাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়। এ কারণে অন্য যেকোনো বারের চেয়ে এবার একাধিক সংখ্যক যোগ্য ও গ্রহনযোগ্য প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে নমিনেশন পেতে প্রার্থীদের প্রচুর ঘাম ঝরাতে হবে, তা বলার অবকাশ রাখে না।
তবে এম মোহিদ আলী মিঠু লন্ডন প্রবাসী তিনি দৈনিক ঢাকার কন্ঠ অনলাইন পত্রিকায় সাক্ষাতে তিনি বলের সামাজিক কাজে অনেক অবদান ও বিষেশ ভুমিকা তার নিজ এলাকায় রাখেন মোরজিদ মাদ্রাসা স্কুল এতিমখানা দুস্ত ও অসহয়দের সাহায্য সহযোগীতা করেন । বিভিন্ন সময় অসহয় মানুষদের পাসেদারান আরও উল্লেখ করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভা নেত্রী মাননিয় শেখ হাসিনা যাকেই মননিত করবেন নৌকা যার হাতে দেন সকলকে এক হয়ে নির্বাচনে জয়করবো আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনি করি এটাই আমাদের অংগীকার এবারের জয় নৌকারই ।
আওয়ামী লীগের দুটি বলয়ের নেতাকর্মীরা দাবি করছেন আসন্ন সংসদ নির্বাচনে শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মনোনয়ন পাবেন। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে আওয়ামী লীগ কাজ করবে বলে দলের একাধিক নেতা জানান। আর তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের নমিনেশন পেতে প্রার্থীদের মধ্যে মাঠে ময়দানে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের নমিনেশনের ইয়েস কার্ড কার হাতে শোভা পায় তা এখন কেবল দেখার বিষয়।