কাজি আরিফ হাসান
রাজধানির উত্তর সিটিকর্পোরেশন আওতাধিন হাজী ক্যাম্পের সামনে বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন এন্ড এ্যারোস্প্রে ইউনিভার্সিটির জন্য প্রস্তাবিত মাঠ । উক্ত মাঠে শুরু হয়েছে দীর্ঘ মাস ব্যাপি তাঁত বস্ত্র জামদানি মেলা । এই মেলার মাঠে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রয়ে পাশাপাশি রয়েছে আকর্ষনিয় লটারি । মেলায় প্রবেশের টিকিটের মূল্য নির্ধারন করছে ২০ টাকা। এই ২০ টাকার টিকিট আবার ৪ রং।
এই মেলার প্রবেশ টিকিটের একাংশ লটারির কুপন। এই লটারির ড্র হয় প্রতিরাত ১১ টায়। লটারিতে আছে আর্কষনিয় ১০০ সিসি মটর সাইকেল, ১ ভোরি ওজনের স্বর্ণের হার,গরু,ব্লেন্ডার সহ অনেক ধরনে পুরস্কার ।
এ লোভনিও অফারে কিশোর-কিশোরি থেকে শুরু করে সকল পর্যানের সাধারন মানুষ লটারির টিকিট কেনে। এমন অনেকেই আছে যার ১০ থেকে ১৫ টা টিকিট কিনে থাকেন,কিন্তু তারা এ পর্যন্ত কোন পুরস্কার পাইনি বলে সূত্রে জানা গেছে। আর এই লটারি টিকিট কেনার জন্য এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরা বিভিন্ন অসামাজিক পথ বেছে নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মূলক কাজ যেমন চুরি,ছিনতাই শুরু করেছে।
এ দিকে মেলা প্রাঙ্গনে গিয়ে তথ্য পাওয়া যায়, এ মেলার টিকিট মেলা প্রাঙ্গনে এবং ১৫/২০ টা অটোরিক্সায় করে প্রচার করে তাদের কাছে পাওয়া যায়। এবং অটোরিক্সায় ও মাঠ প্রাঙ্গনে লোভনিও অফার দিয়ে এই টিকিট বিক্রি করে থাকে তারা। এদিকে মেলা প্রাঙ্গনে অনেকে ২০ টা টিকিট কিনেও কোন কিছু পাইনি বলে জানান। গোপন সূত্রে তথ্য মেলে এই মেলার লটারির ড্র এর পূর্বে লটারির আয়োজকরা পূর্বে থেকেই লটারির কারা পাবে এমন ব্যক্তিকে ২/৩ হাজার টাকা দিয়ে ঠিক করেই রাখেন এবং দর্শকের সারিতেই তার অবস্থান করেন।
ড্র এর সময় ছোট্র শিশুকে চোখ বেঁধে লটারির কুপন তোলেন এস্টেজে এবং লটারির নাম্বার যেটা ওঠে সেই নাম্বারটি তাদেরই লোকের নিকট দিলে উক্ত ব্যক্ত লোটারিতে ওঠা নাম্বারটি প্রকাশ না করে তাদের কাছেপূর্বে থাকা নাম্বাটিপ্রকাশ করে এবং তাদেরই পূর্বে নির্ধারিতো ব্যক্তিকে মোবাইলে কল করে জানান আপনি লটারিতে জয়ি হয়েছে এবং আপনি ১০০ সিসি মটর সাইকেল পেয়েছেন।
এভাবে একটা চক্র মেলার ভিতরে সাধারন মানুষের সাথে লটারি নামে প্রতারনাকরে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এই মেলায় লটারি সম্পর্কে জানা গেছে উক্ত লটারি খেলাপরিচালনা করেন সালাউদ্দিন (৫০)নামে এক ব্যক্তি এবং তার সহযোগি ওসমান (৪৮)। এই মেলার মাঠে লটারি পরিচালক সালাউদ্দিনের কাছে এই লটারি বা প্রতারনার ফাঁদের কথা বলতে গেলেই তিনি বলেন আমাদের অনুমোদন আছে আর আমাদের কেউ কিছু করতে পারবেনা দেখেন না প্রবেশ গেটে পুলিশও আছে এবং পরবর্তিতে আবারও সাংবাদিক লটারির পুরস্কার সম্পর্কে জানতে চাইলে তখন সাংবাদিকের ওপর চড়াও হয়ে ওঠেন তিনি।
তবে এই শিক্ষিত সমাজের প্রশ্ন এই প্রতারনামূলক ভাগ্য লটারির নামে মেলার মাঠে যা শুরু হয়ে তা কেই বা অনুমোদন দিয়েছে। শুধু মেলার মাঠে এই লটারি নয় মেলার মাঠে শেষ প্রান্তে ৪টি ওয়াটার বলের খেলার রয়েছে, যা শিশুদের আকর্ষনিয়ো। খেলার জন্য লাগে টিকিট এবং সেই টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা। ৫ মিনিট কোন শিশু ঐ বলের ভিতরে থাকে খেলা করবে। এই যদি হয় মেলার মাঠের অবস্থা আর মেলায় প্রবেশ দর্শনার্থীরা তাদের সমস্যা কোথায় বা কার কাছে অভিযোগ করবে ? এই মেলায় মাঠে লটারির নামে যে প্রতারনা চালাচ্ছে এরা কারা ? কেনোই বা প্রশাষন নীরব?