সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
গরীবের বন্ধু কাশেম ভাই সুখে দুঃখে পাশে পাই
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি : দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম গরীবের বন্ধু অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য যিনি অবিরাম ছুটে চলেন।
সমাজের সকল শ্রেণীর বন্ধু সদা হাস্যোজ্জল বিশিষ্ট সমাজ সেবক সাবেক বারহাট্টা উপজেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সফল সভাপতি ও বতর্মান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম। তবে গরীবের বন্ধু যেন তিনি একাই একজন, চিকিৎসা ও তরুণ তরুণীর লেখাপড়া সংক্রান্ত বিষয়াদি থেকে শুরু করে সুখে-দুঃখে মানুষ তাঁকেই স্মরণ করেন।
আর এখন মুজিববর্ষ উপলক্ষে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার অসহায় মানুষের জন্য ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প করে নিরলস ভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে দিয়ে বারহাট্টা উপজেলার সকল ইউনিয়নের অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা শতভাগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন।
বারহাট্টা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক বারহাট্টা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য মোহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম বিভিন্ন পদে সুনামের সাথে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।বারহাট্টায় চিকিৎসা সেবার মান উন্নত হবার কারণে জটিল এবং বিভিন্ন রোগাক্রান্ত অসহায় রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে বারহাট্টা উপজেলার অসহায় এবং সুবিধা বঞ্চিত রোগীদের মনোভাব এমন ছিলো ‘হাঁসপাতালে হাঁরঘে কাশেম ভাই আছে, সে সব ঠ্যিক করা দিবে।
এচিন্তা থেকেই কোন প্রস্তুতি ছাড়াই এলাকার রোগীরা বারহাট্টা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হতে যান। অনেকেই আবার জটিল রোগের জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হতেন। মোহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম কাজের শত ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করেছেন এলাকার রোগীরা যেন পরিপূর্ণ ভাবে চিকিৎসা সেবা পান। এমন কি অর্থাভাবে কোন অবস্থায় যেন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্ছিত না হন এজন্য নিজের পকেট থেকে অর্থ দিয়েছেন। মোহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম বলেন, ‘দেশকে ভালোবাসতে হলে এলাকার মাটি-মানুষকে ভালোবাসতে হবে। সত্যিকার ভাবে দেশের জন্য কিছু করতে চাইলে স্থানীয় মানুষগুলির জন্য র্নিলোভ ভাবে কাজ করতে হবে। আমি চাইলে চেয়ারম্যান হিসেবে আরাম আয়েশে বসবাস করতে পারতাম। কিন্তু বারহাট্টার সকল ইউনিয়নে মানুষের সাথে আমার নাড়ীর বন্ধন। বিশেষ করে এই বারহাট্টার অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠী আমার পরিবারের মতো। তাদের জন্য কিছু করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করি।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তিনি নেত্রকোনার বারহাট্টায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে,করছেন দৃষ্টি নন্দিত আধুনিক শহীদ মিনার ও শহর উন্নয়ন প্রকল্প যা সকলের দৃষ্টি কেরেছে এখনিই। বুধবার (২১ জুলাই ) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে মোহাম্মদ মাইনুল হকের উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র। এর আগে শতভাগ ফ্রি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয়দের দোরগোড়ায় গিয়ে উদ্ভুত করেন।
বিভিন্ন সময় তিনি ঘোষনা দেন, সপ্তাহে একদিন অসহায় ও দরিদ্রদের জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে ফ্রী চিকিৎসা দেওয়া হবে।
শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও বিভিন্ন সময় উপজেলা সকলের খোজ খবর নিচ্ছেন মোহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে সেবা নিতে আসা ৬০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধ জানান, বারহাট্টা উপজেলায় এর আগে কত চেয়ারম্যান আইল গেল কিন্তু কাশেমের মতো এমন দরদী মানুষ আমাদের দরকার ছিলো আল্লাহ্ তাই কাশেমরে আমাদের পাশে পাঠিয়েছেন। হামরা কাশেমকে পায়া খুব খুশি। হামার জন্মের পর থেকে দ্যাখছি সে মানুষের ল্যাগা ম্যালা কিছু করেছে।
বারহাট্টা উপজেলার স্থানীয় এক কলেজ শিক্ষক বলেন,কাশেমের কর্মব্যস্তা তাকে, জনগণ থেকে কখোনোই কোন সময় দূরে রাখতে পারে নি।
উপজেলার বিভিন্ন কর্মরত অফিসার থাকলেও বারহাট্টার সকল ইউনিয়নের মানুষের জন্য এগিয়ে এসেছেন আমাদের গরীবের বন্ধু কাশেম ভাই। শুধু বারহাট্টায় নয়, পুরো উপজেলার মানূষকে তিনি নিজের পরিবার মনে করেন। তিনি সারাদিনের কর্মব্যস্তা থেকে অবসর নেয়ার পর সরকারি কোয়ার্টারে বসে এই গরীব দুঃখি পরিবারের সাথেই সময় কাটান বেশী যার প্রমাণ পাওয়া গেছে জনসম্মুখে।
তাই এই উপজেলার সকল জনগণ বার বার তাকেই এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।
এটাই এই উপজেলার সকল জনগণের দাবী।
গরীবের বন্ধু কাশেম ভাই সুখে দুঃখে তাকেই পাশে পাই এই উপজেলার সকল জনগণের মুখে মুখে শোনা যায়।
গরীবের বন্ধু মোহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম বলেন, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ চাইলে সব করতে পারে।আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করি জনগণের জন্যে কিছু করতে।আর এতেই যদি তারা আমাকে গরীবের বন্ধু উপাধি দিয়ে থাকে তার জন্যে তাদের কাছে আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
আমি শুধু তাদের জন্যে কিছু করতে পারলেই নিজেকে ধন্য মনে করি।
২১.০৭.২০২১