রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
তুরাগের বউবাজারে ফুডকোর্ট মার্কেট উচ্ছেদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ কর্তৃক ছয়টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ম্যাগাজিন ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার; ভাসানী ফাউন্ডেশন নিউইয়র্কের আলোচনা সভায় বক্তারা মওলানা ছিলেন রাজনীতিকদের আইকনিক নেতা  তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার তুরাগের বউবাজার মার্কেট উচেছদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ট্রাম্পের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন ড. ইউনূস সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে’ সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে  প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্স’র কার্যকরি কমিটি (২০২৪-২০২৬)গঠন ১০ নভেম্বর ২০২৪ শহীদ নুর হোসেন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক : ডা. ইরান রাজধানী,তুরাগে ছেলের হাতে মা খুন

বেশি করে গাছ লাগিয়ে পরিবেশ বাঁচান-মাইনুল হক কাশেম

বেশি করে গাছ লাগিয়ে পরিবেশ বাঁচান-মাইনুল হক কাশেম

 

সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি : দৈনিক ঢাকার কন্ঠ নিউজ

 

নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য মোহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম বলেন,জনসংখ্যার অধিক চাপে ফসলি জমি উজাড় করে তৈরি করা হচ্ছে ঘরবাড়ি। হরদম কাটা হচ্ছে গাছপালা। মানছে না কেউ নিয়ম-নীতি। তাই পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। এভাবে ব্যাপক হারে গাছপালা ও ফসলি জমি বিলীন হতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরোও বলেন,গাছ না থাকলে সমস্যা একসময় প্রকট আকার ধারণ করবে।তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। আগেকার দিনে চারদিকে যে গাছপালা দেখা যেত, তার তিনভাগের একভাগও এখন দেখা যায় না। এমন চলতে থাকলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে।

এমনিতেই নেত্রকোনার বিভিন্ন অঞ্চল এখন পানিতে ডুবে যাওয়ার হয়েছে।

তিনি বলেন,সবুজ শ্যামল এ দেশটা আগের মতো নেই। যেসব গুণের কারণে আমাদের এ দেশকে সবুজ-শ্যামল বলা হতো তা হল চারদিকে ঘন গাছপালা আর সবুজের সমারোহ। এখন সেই সবুজ-শ্যামল রূপ খুব কমই চোখে পড়ে। গাছপালা ও ফসলি জমি ধ্বংসের কারণে পাখপাখালিও আগের মতো দেখা যায় না। গাছপালা কাটার ফলে পাখিদের আশ্রয়স্থল কমে যাচ্ছে। হরদম গাছপালা কাটা হলে পাখিদের বংশবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বেপরোয়াভাবে কেউ গাছপালা কাটলে তেমন কোনো প্রতিবাদও হয় না এখন। ফলে নির্বিচার বৃক্ষ নিধনের মিছিলে নেমে পড়ছে অসাধু চক্র। তাই পরিবেশগত সমস্যা বেড়েই চলেছে। ‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান’- এই হোক আমাদের প্রাণের স্লোগান। ফসলি জমি রক্ষা করতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। একটি ছোট দেশে এভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ফসলি জমি ধ্বংস করে সবাই ঘরবাড়ি নির্মাণ করবে এটাই স্বাভাবিক।

ফসলি জমি ও গাছপালা বিনষ্ট করে দালানকোঠা নির্মাণ করার ফলে একসময় দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। তাছাড়া এভাবে গাছপালা কমতে থাকলে মানুষ অক্সিজেনের অভাবে ভুগবে। বিশুদ্ধ বাতাসের অভাবে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধবে। তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর ফলে গাছপালা কাটা বন্ধ হবে, দেশ আবার সত্যিকার রূপে সবুজ-শ্যামল হয়ে উঠবে।

আগে গাছে যে পরিমাণ ফল পাওয়া যেত, এখন আর সে পরিমাণ ফল পাওয়া যায় না। আগেকার দিনে গ্রামাঞ্চলে আম, জাম, লিচু, কাঠাল, পেয়ারা, ছফেদা, লেবু, সুপারি, নারিকেলসহ হরেক প্রজাতির ফল উৎপাদিত হতো। এখন যে পরিমাণ ফল উৎপাদন হয়, তা দিয়ে মানুষের চাহিদাই পূরণ হয় না। কারণ এসব গাছ এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। ফলবান বৃক্ষ নিধন করে মানববসতি গড়ে তোলা হচ্ছে।

তিনি আরোও বলেন, বতর্মানে দেশে যে হারে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে,তাই সবাই এখনো সতর্ক হোন, নিজে বাচুন পরিবারকে বাচাঁন।

মাইনুল হক কাশেম আরোও বলেন,আজকের দিনে শিশু-কিশোরদের কাছে আগেকার দিনের ফল-ফলাদির কথা বললে তারা বিশ্বাসই করতে চায় না। সেই দিন আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য দরকার অধিক হারে বৃক্ষরোপণ। গাছে গাছে, ফুলে-ফলে ভরে উঠুক আমাদের বারহাট্টা উপজেলার প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনা। স্কুল প্রতিষ্ঠানে, বাড়ির আঙ্গিনায়, রাস্তার পাশে গাছ লাগানোর কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। বৃক্ষ নিধনের মিছিল এভাবে চলমান থাকলে মানবজীবন হুমকির মুখে পড়বে, পরিবেশের বিপর্যয় ঘটবে, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, পৃথিবী ধ্বংসের মুখোমুখি হবে। তাই গাছ লাগিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সোহেল খান দূর্জয়
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

২৭.০৭.২০২১

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com