সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
বনানীতে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিয়ার সহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার  খিলক্ষেত প্রেসক্লাবের-২০১১ সালের পর আহ্বায়ক কমিটি গঠন ২০২৪ কিস্তির টাকা না দেওয়ায় গরু নিয়ে গেল এনজিওর লোকজন মাধবপুরে সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে যুবদল নেতার মামলা  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলা : এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি শাহ আলম তুরাগে আটক ব্যাংক লুটেরাদের দেশে ফিরে এনে বিচারের আওতায় নিতে হবে: মির্জা ফখরুল হাজীক্যাম্পের সামনে বঙ্গোমাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সড়কের দুই পাশে বসেছে ভাসম্যান বাজা,মাদকসেবিদের দৌরাত্ম  লালমনিরহাটে ফেন্সিডিল সহ নাছিমা গ্রেফতার টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার আজ আসছেন

নেত্রকোনার গরীবের ও মানবতার ডিসি-কাজি আব্দুর রহমান

নেত্রকোনার গরীবের ও মানবতার ডিসি-কাজি আব্দুর রহমান

 

সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি : দৈনিক ঢাকার কন্ঠ নিউজ

মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন নেত্রকোনার সু-যোগ্য জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান। জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান নেত্রকোনার জন্য একজন চৌকস অভিভাবক বললেও চলে। তিনি সরকারি বেসরকারি সকল কর্মকান্ড শেষ করে দিনের শেষে আবার এই নেত্রকোনার হতদরিদ্র মেহনতি মানুষের জন্য নিজ উদ্যোগে কাজ করেন।

জেলা প্রশাসক নেত্রকোনার উন্নয়ন, অবহেলিত জনপথ, শিক্ষা চিকিৎসা সংস্কৃতি, তৃণমূল পর্যায়ে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ও মামলা মোকাদ্দমা বিষয় সমস্যার সমাধান করে থাকেন। প্রতিদিন দিন তো আর্থিক সহায়তা আছেই। এছাড়া সপ্তাহের প্রতি একদিন তিনি জেলার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তাদের সুঃখ দুঃখের কথা শুনেন। প্রতি একদিন জেলা প্রশাসক গণশুনানির মাধ্যমে সেলাই মেশিন বিতরণ, ফ্রি ওষধ বিতরণ ও বিনামূলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণসহ নগদ অর্থ প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমানের অনেক গুলো গুণ আছে। তার মধ্যে বড় গুণহলো তিনি মানুষকে ছোট করে দেখেননা। অবহেলাও করেননা। তিনি মানুষের উপকারে আসে অতিসহজে। অনেকে জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমানকে মানবতার ডিসি ও শিক্ষানুরাগি ডিসি বলে নাম দিয়েছেন নেত্রকোনার মানুষ। তিনি সত্যিকারের ও বাস্তবমূখী কোন সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এজন্যই জেলা প্রশাসকের প্রতি এই নেত্রকোনার মানুষের ভালবাসা ও শ্রদ্ধা অম্লান হয়ে থাকবে চিরদিন।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনায় নেত্রকোনার বিভিন্ন প্রান্তের অসহায় দরিদ্র মানুষজনের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে মনে স্থান করে নিয়েছেন এই ডিস্ট্রিক ম্যাজিষ্ট্রেট কাজি আব্দুর রহমান। তিনি পিছিয়ে পড়া নেত্রকোনার উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া এই জেলা প্রশাসক সম্পর্কে সম্প্রতি বেশ চমকপ্রদ তথ্য মিললো জেলা প্রশাসনের অফিসিয়াল একটি সূত্র থেকে। তিনি নেত্রকোনা জেলায় যোগদানের পর থেকেই নিজ বাসভবনে রাত্রী যাপন ছাড়া দিনের প্রায় পুরোটা সময়ই কাটিয়ে দেন অফিসে।

তিনি জেলার উন্নয়নে নিজের সর্বোচ্চ টুকু বিলিয়ে দেওয়ার লক্ষে কখন যে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময়টুকু অতিবাহিত হয়ে যায় সেদিকে অনেক সময়ই তার খেয়াল থাকেনা। হোটেল থেকে নয়তো বাসা থেকে আনা রান্না করা খাবার অফিসিয়াল চেয়ারেই বসেই সারেন অনেক সময়। এরপর সেই চেয়ারটিতেই সামান্য হেলান দিয়ে হয়তো আধা ঘন্টা সময় একটু জিরিয়ে নেন। এরপর আবারো শুরু হয় জেলা উপজেলার সকল সরকারী ফাইলগুলো সম্পর্কে তথ্য আহরণ ও সই বিতরণ। এরই মধ্যে তার দরবারে বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ আর অনুযোগ নিয়ে হাজির হওয়া মানুষগুলোকে হাসিমুখেই ডেকে নিয়ে শুনেন তাদের হৃদয়ের আঁকুতি। সম্ভবপর করনীয় উপকারটুকু সাথে সাথেই সম্পন্ন করে দেন নয়তো দরখাস্তটি নিজেই গ্রহণ করে সহকারিকে পরবর্তী যথাসময়ে কাজটি করে দিতে নির্দেশনা দিয়ে দেন।

এদিকে জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমানের কাছে তার অভিব্যক্তি জানতে চাইলে তিনি জানান, জনগণের সেবা করার লক্ষ্যেই সরকার আমাকে অত্র জেলায় পাঠিয়েছেন। সামান্য কয়দিনের জন্য এই জেলায় আমি দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। এই কথাটি মাথায় রেখেই আমি চেষ্ঠা করি যাতে জনগণ তাদের ন্যায্য প্রাপ্ততাটা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পায়।

আমার বাসভবনে গিয়ে যে সময়টুকু নষ্ট হবে সেটি যদি আমি নেত্রকোনা জেলাবাসির মঙ্গলে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমার এই ত্যাগের বিনিময়ে অত্রাঞ্চলের বাসিন্দারা সামান্যতম হলেও এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। কর্মকালীন প্রতিটি সেকেন্ডকেই জেলাবাসীর উন্নয়নের কাজে লাগাবেন বলেও দৃঢ়তার সাথে জানালেন মানবিক ডিসি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান।

জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান আরো বলেন, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগদান করেছি অনেক দিন হয়েছে। আমি নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগদানের পর হতে এপর্যন্ত সরকারের গৃহীত কর্মসূচির আওতায় প্রকল্প সমূহ নেত্রকোনার উন্নয়নে সকলের সার্বিক সহযোগিতায় বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তবে এই নেত্রকোনার বৃত্তশালীদের আরো সহযোগিতা পেলে উন্নয়ন করা সহজতর হবে। আমি যথেষ্ট চেষ্টা করছি এই নেত্রকোনার গরিব অসহায় হতদরিদ্র লোকদের কিছু দিয়ে যেতে। তবে উন্নয়ন করার স্বাদ আছে তেমন স্বাধ্য নেই। কারন আমার বরাদ্দ সীমিত। তার পরও যথাযথ চেষ্টা করছি গরিব অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে।

জেলা প্রশাসক নেত্রকোনা জেলার ১০ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছেন কোথায় অবহেলিত। কোথায় উন্নয়ন দরকার, কোথায় স্কুল কলেজ নাই কোথায় যাতায়াতের সমস্যা। তিনি কখনো পাহাড়ি বাঙালি ভেদাভেদ করেননি।

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের অধীনেস্থ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা অত্যন্ত আন্তরিক।

সোহেল খান দূর্জয়
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

২৯.০৭.২০২১

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com