মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
নিঃস্বার্থ মানবিক চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন চৌধুরী
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি ://দৈনিক ঢাকার কন্ঠ নিউজ
গরীবের বন্ধু নিঃস্বার্থ সমাজ সেবক, জনদরদী হিসাবে ভোট চেয়ে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে বর্তমানে করোনা সংকটে অনেকেই কাজ করে যাচ্ছেন তবে এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমি এক মানবিক ইউপি চেয়ারম্যান নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ১নং বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বার বার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন চৌধুরী।
রাতের আধারে জাতি ধর্ম ভূলে কর্মহীন হয়ে পড়া ও সাধারণ ক্ষেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়াতে হাওরাঞ্চল ১নং বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে অভাবিদের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে প্রতিদিন ছুটে চলেছেন মানবিক চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন চৌধুরী।
করোনা সংক্রমন রোধে কর্মহীন মানুষকে সহায়তা করতে প্রশাসনের সাথে সম্বন্নয় করে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছেন তিনি।
তার নেতৃত্বে ইউপি সচিব, ইউপি সদস্যরা তাদের ইউনিয়নের বাসিন্দাদের করোনা সংক্রমন থেকে মুক্ত রাখতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় করোনা প্রকোপে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র পরিবার গুলোকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের ত্রান সামগ্রী বাড়ী বাড়ী গিয়ে পৌছে দিয়েছেন তিনি। আবার অনেকের তার ফোন পেয়ে ছুটে যাচ্ছেন সেখানে এবং পৌছে দিচ্ছেন ত্রান সামগ্রী। ইউনিয়ন বাসিকে ভাল রাখতে করোনা সংক্রমনের ভয়কে তুচ্ছ করে প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছেন এলাকাবাসির কল্যাণে।
১নং বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন চৌধুরীর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে প্রসংশা পাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ও সাধারন মানুষের মাঝে। উনার এই উদ্যোগকে অনুস্বরন করছে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ। তিনি নিজের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে তাদের খোজ-খবর নিচ্ছেন। পৌছে দিচ্ছেন মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড সেনিটাইজার সহ নানা উপকরন। উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ এবং নিজস্ব অর্থায়নের এই কাজ গুলো করছেন তিনি।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্রামের আনাচে কানাচে ঘুরে ঘুরে লোক জনকে ঘরে অবস্থান করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। কিভাবে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়া যায় সেই সচেতনতার কথাগুলো বলছেন। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সবাই যখন ঘরে বসে সময় পার করছেন ঠিক তখনই মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তদের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। শরীরে পোষাক ভাল হলেও ঘরে খাবার নেই কর্মহীন মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তদের। মুখ লজ্জায় বলতে না পারা অভাবী লোকদের মনের ভাষা বুঝে প্রতিদিনই খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের ঘরের দরজায় হাজির হন তিনি।
সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় মোহনগঞ্জের স্থানীয় এক মুদি দোকান থেকে খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করে রাত্রের আধাঁরে প্যাকেট করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন চৌধুরী। অনুসন্ধানে পিছু নিলাম, দেখতে পেলাম এক মানবতা ও মানব সেবার অতুলনিয় দৃশ্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১নং বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়নের প্রায় গ্রাম থেকে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত কয়েকজন জানালেন চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন চৌধুরী তাদের বাসায় গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন চৌধুরীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে এবং বাকীটুকু আমার অর্থায়নে সামর্থ অনুযায়ী মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। লোক দেখানো বা ফটোসেশন আমি পছন্দ করি না। দেশের এই দূঃসময়ে মানুষের পাশে দাড়ানোকে আমি দায়িত্ব মনে করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সাংসদগণ আমাকে নৌকার মনোয়ন দিয়েছেন তাই দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমিতো ঘরে বসে থাকতে পারিনা। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনে কোন প্রকার সুনাম ক্ষুন্ন হয়নি। তাই জীবনের শেষ প্রান্তে দাড়িয়ে মানব সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই।
বার বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন কালে সরকারের আমলে স্বর্ণপদক, স্বাধীন বাংলাদেশের রিলিপ চেয়ারম্যান, সম্মামনা ক্রেস্ট প্রাপ্ত, শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসাবে স্থানীয় সরকার কর্তৃক বিদেশ গমনে নির্বাচিত, হাওরের বেরিবাঁধ রক্ষায় বিশেষ অবদানের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়াও তিনি মানবিক একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে বহুখেতাবে ভূষিত হয়েছেন। একজন ভদ্র, সদালাপি নিরহংকারী মানুষ হিসাবে সর্বমহলে পরিচিত।
তিনি আরোও জানান এই বয়সে বেশ কয়েক বার চেয়ারম্যান হয়েছি এটা জনগণের কাছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ঋনশোধ করা। তারা না চাইলে আমি চেয়ারম্যান হতে পারতাম না। তাই এই বিপদে তাদের পাশে থেকে সেই ঋন কিছুটা শোধ করা চেষ্টা করছি। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক শুরু হওয়ার পর থেকে আমি ও আমার সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের নিয়ে ছুটে চলেছি এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে মানুষের পাশে আছি, থাকতে চাই এই পরিস্থিতে তাদের পাশে থাকাই বড় দায়িত্ব।
এই ব্যাপারে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন ১নং বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন চৌধুরী উপজেলা পরিষদের প্রতিটি সভায় উপস্থিত থাকেন। উপজেলার প্রশাসনের প্রতিটি কর্মসূচি আন্তরিকতার সহিত পালন করে থাকেন। উনার কর্মকান্ডে উপজেলা ছাড়াও জেলায় উপজেলাবাসীর সম্মান বয়ে এনেছেন। আমি তার র্দীঘায়ূ ও মঙ্গল কামনা করছি।
সোহেল খান দূর্জয়
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
১৩.০৮.২০২১