লঙ্গার হাটিকুমরুলে ভাতের হোটেলের আড়ালে মাদক ব্যবসা, যুবক আটক
মোঃ লুৎফর রহমান লিটন
সলংগা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি// দৈনিক ঢাকার কন্ঠ নিউজ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ভাতের হোটেল থেকে গাঁজাসহ রানা (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। শনিবার রাতে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় অবস্থিত ভাতের হোটেল মায়ের আঁচলে অভিযান পরিচালনা করে ১৫০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়।
রানা হোটেল মায়ের আঁচলের সিগনালম্যান হিসেবে কাজ করতো ও হোটেল মালিকের ভাতিজা।
জানাগেছে, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় অবস্থিত ভাতের হোটেল মায়ের আঁচলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছে।
হোটেল মালিক পক্ষের লোকজনকে থানা পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হলে জেল হাজত থেকে বেরিয়ে এসে আবারও মাদক ব্যবসার সাথে জরিত হয়ে পরছে। হোটেলে ট্রাক চালকেরা দাড়ালেই মিলছে গাঁজা, ইয়াবাসব বিভিন্ন প্রকার নেশাদব্য।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আনিছুর রহমান মিন্টু এক সময় হোটেলের সামনে পানের দোকান করে জিবিকা নির্বাহ করতো। পরে সে হঠাৎ করেই গত প্রায় ৭ বছর আগে সে একটি ভাতের হোটেল করেন । তার পর থেকেই সে শুরু করে ভাতের হোটেলের আড়ালে মাদক ব্যবসা। অল্প দিনের মধ্যে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যায়। করেছেন সে আলীশান বাড়ি ও জমি। প্রশানের নজরদারীর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে শানিবার রাত ১০টার দিকে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় অবস্থিত ভাতের হোটেল মায়ের আঁচলে অভিযান পরিচালনা করে ১৫০ গ্রাম গাঁজাসহ রানা নামে এক যুবককে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে রানাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
হোটেল মালিক আনিছুর রহমান মিন্টু জানান, আমি মাদক ব্যবসার সাথে জরিত না। হোটেলে বাইরে থেকে হোটেলে কাজ করে একটা ছেলেকে কয়েক পুরিয়া গাঁজাসহ আটক করেছে পুলিশ। আগে যাদের পুলিশ আটক করেছিল তাদের হোটেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আর এমন কথা শুনবেন না আমার হোটেলের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর ২০২০ সালে রাতে হোটেলে মায়ের আঁচলে ওসি নিজেই মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে সেলিম ও হোটেল মালিকের ভাগিনা রঞ্জু নামে দুই জনকে ২৫০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। কিছু দিন পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও শুরু করে মাদক ব্যবসা।