নেত্রকোনায় বলৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষক গ্রেফতার
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধিি// দৈনিক ঢাকার কন্ঠ নিউজ
: :নেত্রকোনায় একটি মাদ্রাসায় দুই শিশু ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ৷
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক গোপন সংবাদের খবরে পুলিশ মোক্তারপাড়া এলাকায় মীমাংসার জন্য আয়োজিত শালিসি বৈঠক থেকে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার শিক্ষকের নাম মোবাশ্বির আলম (৩০)। তিনি পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট এলাকার মৃত আজমল হোসেনের ছেলে।
ওই শিক্ষক নেত্রকোনার সদর উপজেলার কুনিয়া মাইজপাড়া সাকিনস্থ তানজুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমরা গোপনে খবর পাই এমন একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনায় দরবারে বসেছেন ওই শিক্ষক। পরে ওসি তদন্ত সোহেল রানাকে পাঠিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি।
ওসি আরও জানান, গত ১৯ ও ২০ আগস্ট ওই শিক্ষক মাদ্রাসায় দুদিন দুই ছাত্রকে বলৎকার করেন নিজ কক্ষে। শিশুরা যথাক্রমে একজন নয় বছর বয়সী ও আরেকজন আট বছর বয়সী।
এতো বেশি ছোট হওয়ায় হুজুরের ভয়ে কাউকে বলতে সাহস পায়নি। কিন্তু ঘটনা ঘটানোর পর শিশুদের পরিবারসহ স্থানীয়রা জেনে গেলে গত এক সপ্তাহ ধরে বিষয়টি মীমাংসা করতে চেষ্টা চালিয়েছে ওই শিক্ষক। হয়তো কোন প্রভাবশালী ব্যাক্তির ছত্র ছায়ায় এতোদিন ব্যাপারটি গোপন রাখতে পেরেছিলো।
অবশেষে আমরা গোপন ভাবে খবর পাই শুক্রবারে চূড়ান্তভাবে মীমাংসার জন্য মোক্তারপাড়া মাঠের পাশে একটি দরবার বসিয়েছে। পরে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে অন্যদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে নিয়ম অনুযায়ী মামলা রুজু করে কোর্টে সোপর্দ করা হবে। তবে ওসি আরও বলেন, ভিকটিম শিশুদের সাথে কথা বলে ঘটনার ভয়াবহ বিবরণ শুনে স্তম্ভিত আমরা।
সোহেল খান দূর্জয়
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
২৮.০৮.২০২১