নেত্রকোনার মদনে একটি পরিবার অবরোদ্ধ,দোকানের মালামাল ভাংচুর,তালা দেওয়ার অভিযোগ
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি://দৈনিক ঢাকার কন্ঠ নিউজ
নেত্রকোনা মদনে বৈশাখী খালে মাটি বরাটে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে একটি পরিবার অবরোদ্ধ, দোকানের মালামাল ভাংংচুর ও তালা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গোবিন্দশ্রী বাজার ও স্কুল কমিটির বিরুদ্ধে একই গ্রামের ভুক্তভোগী মনিরুজ্জামান খান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগটি দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নে ১নং খতিয়ানে বৈশাখী খালে ৪০,৬৮ ও ৪০, ৫৮ দাগে ৭৭ শতাংশ ভূমি গোবিন্দশ্রী বাজারের পাশে থাকায় বাজার ও স্কুল কমিটির খায়রুল,আজিজুল হক আকন্দ,খোকন,কাজল মরল,শাহজাহান,মামুন মিয়া,ওলি মিয়া,রিটন মিয়াসহ আরো অনেকে অবৈধভাবে বৈশালী খালে মাটি কেটে দোকান ঘর নির্মাণ করে দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে মনিরুজ্জামানের পরিবার বাধা দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে মনিরুজ্জামান খান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে অবগত করেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহম্মেদ সরজমিন পরিদর্শন করে জনসাধারণরে সুবিধার্থে খালের মাটি সড়িয়ে উন্মুক্ত করে দেন। এতে মনিরুজ্জামানের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওই মহলটি গোবিন্দশ্রী বাজারে থাকা তার ভাই রিদন খানের চায়ের দোকান ভাংচুর ও তার বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ২৬ জুন ২০২১ ইং তারিখে নারীসহ ১১ জনকে আহত করে।
এ ব্যাপারে ২৮ জুন মনিরুজ্জামানের ভাই রুবেল খান ১৪জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করলে প্রতিপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তোলে নেয়ার জন্য প্রভাবশালী মহলটি মনিরুজ্জামানের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ১৪ জুলাই গোবিন্দশ্রী বাজারে মনিরুজ্জামানের আরেকটি ফার্নিচারের দোকানে বাজার কমিটি ও বিদ্যালয় কমিটির লোকজন তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং পরিবারটি দীর্ঘদিন অবরোদ্ধ করে রাখছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে দুপক্ষকে সমযথায় আসার জন্য বলেন। এতে গোবিন্দশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান আকন্দ ও সভাপতি কাজল মরল সমযথার আলোচনার কথা বলে মনিরুজ্জামানকে বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে ঘরে তালা খুলে দিতে হলে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। মনিরুজ্জামানের পরিবার এতে অপরাগতা প্রকাশ করায় ঘরটি এখনো তালা বদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর পরিবারটি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী রিদন খান জানান,আমরা বৈশালী খাল বরাটে বাধা দেওয়ায় ওই প্রভাবশালী মহলটি আমাদেরকে এলাকা ছাড়ার জন্য আমার চায়ের দোকান ভাংচুর, ভাইয়ের ফার্নিচারের দোনানে তালা ও বসত ঘরে হামলা চালিয়ে আমাদের লোকজনকে মারপিট করেছে ও অবরোদ্ধ করে রেখেছে। নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
গোবিন্দশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক আকন্দ জানান, দোকান ঘর নির্মাণ করেছে বিদ্যালয়ের জায়াগা। তাই কমিটি তাদের দোকানে তালা ঝুলিয়েছে। তবে উৎকুচের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজল মরল জানান,সরকারি খাল যেভাবে আছে সেই ভাবে থাকবে। তাদের কেহ অবরোদ্ধ করে রাখে নাই। মন খুশি বাজারে আসছে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, এ বিষয়টি আরেক বার আমি দুপক্ষকে নিয়ে মিমাংসা করে ছিলাম। তবে অবরোদ্ধের বিষয়টি আমার জানা নেই। আগামী সপ্তাহে আবারো ঘটনাস্থলে যাব।
সোহেল খান দূর্জয়
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
এর০১.০৯.২০২১