ভাঙ্গুড়ায় সাব-রেজিষ্টার না থাকায় আটকে গেছে ৩শ দলিলের রেজিষ্ট্রেশন
মিনু রহমান খান ভাঙ্গুড়া(পাবনা)সংবাদদাতা:// নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় সাব-রেজিষ্টার না থাকায় আটকে গেছে তিন’শ দলিলের রেজিষ্ট্রেশন। ফলে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন উপজেলার জমি ক্রেতা-বিক্রেতা ও দলিল লেখকরা। সেই সঙ্গে দূর গ্রাম থেকে প্রতিদিন অসংখ্য গ্রাহক এই অফিসে এসে হয়রান হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
জানাগেছে,ছয মাস পুর্বে সাব-রেজিষ্টার শাপলা সুলতানা বদলি হয়ে যাওয়ার পর আর কাউকে এখানে পদায়ন দেওয়া হয়নি। অন্য উপজেলার একজন সাব-রেজিষ্টার সপ্তাহে একদিন (বৃহস্পতিবার) ভাঙ্গুড়া অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতেন। গত ২০ আগস্ট থেকে তিনিও আর আসছেন না। এতে প্রায় তিন’শ দলিল রেজিস্ট্রেশনের অপেক্ষায় পড়ে আছে।
এদিকে জমি রেজিষ্ট্রেশন বন্ধ থাকায় বিপদে পড়েছেন উপজেলার দরিদ্র লোকেরা। উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের আনিসুর রহমান জানান তার স্ত্রীর সিজার অপারেশনের জন্য জমি বিক্রি করেও রেজিষ্ট্রি করে দিতে না পারায় টাকা সংগ্রহ করতে পারছেন না। একই কারণে নুর নগর গ্রামের শাহাদত হোসেন মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান করতে পারছেন না বলে তিনি জানান।
ভাঙ্গুড়া দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোকলেছুর রহমান বাচ্চু বলেন,সাব-রেজিষ্টার না থাকায় দু’সপ্তাহে অন্তত তিন’শ দলিল রেজিষ্ট্রি করা সম্ভব হয়নি। দলিল লেখক শের মাহমুদ বলেন,দু,সপ্তাহ ধরে দলিল রেজিষ্ট্রি না হওয়ায় তাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে অনেকেই অর্থ কষ্টের মধ্যে পড়েছি।
জেলা রেজিষ্টার সৈয়দা রওশন আরা বলেন,পাবনার নয়টি উপজেলায় যেখানে নয়জন সাব-রেজিষ্টার দরকার সেখানে কর্মরত আছেন পাঁচজন। এজন্য সকল উপজেলায় অফিসার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তবে সপ্তাহে একদিন হলেও অন্তত একজন অফিসারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছি বলে তিনি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী অবিলম্বে এখানে একজন সাব-রেজিষ্টার নিয়োগের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।।
মিনু রহমান খান
ভাঙ্গুড়া পাবনা