পরিবর্তনের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে বারহাট্টা ভূমি অফিস
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি : দৈনিক ঢাকার কন্ঠ নিউজ
নেত্রকোনার বারহাট্টায় সদর ভূমি অফিসে লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া।পাল্টে গেছে বারহাট্টা উপজেলার সদর ভূমি অফিসের দৃশ্যপট।আস্তে আস্তে বাড়ছে সরকারের ভূমি সংশিষ্ট সকল সেবার পরিধি।জনবান্ধব হতে শুরু করেছে বারহাট্টা সদর ভূমি অফিস।
ভূমি সংশিষ্ট কাঙ্খিত সেবা পেয়ে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটছে,চেহারায় ভাসছে সন্তুষ্টির ছাপ।বারহাট্টা সদর ভুমি-সহকারী কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম আধুনিক চিন্তা-চেতনা, উপনিবেশিক ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন এনে জনবান্ধব সেবার মানসিকতা ও কর্মদক্ষতার বহি:প্রকাশ ঘটেছে বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে।জনবান্ধব বারহাট্টা সদর ভূমি অফিস গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ভুমি -সহকারী কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম বারহাট্টা সদর ভূমি অফিসকে পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছেন।ভূমি অফিসটি শুধু বাইরেই চাকচিক্য নয় বরং ভিতরের কার্যক্রমেও নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে।এতে বারহাট্টা সদর ইউনিয়নবাসী আনন্দিত। পূর্বের যে কোন সময়ের তুলণায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি বর্তমানে অনেক উন্নত ও মানসম্পন্ন।বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘুরে দেখা গেছে,ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি আগের পরিবেশ আর নেই, সম্পুর্ণ পাল্টে গেছে বাইরের এবং ভিতরের চিত্র।অফিসে সিটিজেন চার্টার ও এক নজরে তথ্য সম্বলিত ব্যাণার টানানো হয়েছে।
অফিসে টানানো হয়েছে অনার বোর্ড,দরজায় টানানো হয়েছে নেমপেট।বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারী আবেদন করার সাথে সাথে ইউনিয়ন ও ভূমি অফিসে কবে যোগাযোগ করতে হবে তাও জানিয়ে দেয়া হয়।বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস:বাইরে এক পাশে পুকুর ও এক পাশে আধুনিকতার মিশেলে নন্দনিক পরিবেশ। অপূর্ব আর নান্দনিকতার ছোঁয়া সর্বত্র। রুচিশীল আর আভিজাত্যের সমন্বয়ে বদলে গেছে অফিসের পুরো চেহারা।প্রতিটি গ্যালারিতে সাজানো গোছানো কোন সালের কতটি নথি আছে সে তালিকা টানানো রয়েছে। যার ফলে দু’মিনিটের ভেতরে যেকোন নথি বের করা যাবে।বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।বারহাট্টায় আশ্রয়নের গরীব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা প্রতি মনযোগ উচ্চ শিক্ষার প্রতি ধাবিত করাচ্ছেন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম।বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম বলেন,ভূমি অফিসকে সাধারণ মানুষ সেবা পাওয়ার স্থান আশ্রয়স্থ হিসেবে মনে করে থাকে।সেই আশ্রয়স্থলের কর্ণধার হয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প বাস্তবায়নে আমরাই হতে পারি সেরা হাতিয়ার। আন্তরিকতাই পারে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।ভূমি সহকারী কর্মকর্তার মইনুল ইসলামের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করলে তিনি আরও জানান,এখন কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দবোধ করি।আধুনিকতা ও নান্দকিতার ছোঁয়া এনেছি এ জন্য সেবা প্রত্যাশী মানুষেরা এখানে এসে প্রসংশা করছেন।তারা তাদের কাঙ্খিত সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।
সোহেল খান দূর্জয়
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
২৩.০৯.২০২১