রাজধানীতে এক রাতে তিনজনের ‘আত্মহত্যা’
নিজস্ব প্রতিবেদক:// নিউজ দৈনিক ঢাকার কণ্ঠ
রাজধানীর পৃথক এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনই আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের স্বজনরা দাবি করেছেন। শনিবার রাতেই রাজধানী রামপুরা, পল্টন ও মুগদা এলাকায় এই পৃথক ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন রামপুরার রিনভি আক্তার (২৩), মুগদার বিদ্যুৎ (১৮) ও শান্তিনগরের সাদিয়া ইসলাম (১৬)। তিনজনকেই অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রিনভির মামা শহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, রিনভির স্বামী রাসেল যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। মায়ের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় রিনভীর। একপর্যায়ে অভিমান করে তিনি তার রুমে চলে যান। পরে ডাকাডাকি করলেও সাড়া মিলছিল না তার। পরে মা রুমের ভেতরে গিয়ে দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন রিনভী। এরপর তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, শান্তিনগরে সাদিয়া ইসলাম (১৬) নামের এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, খবর পেয়ে শান্তিনগর পীর সাহেবের গলি এলাকার একটি বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, সাদিয়া ওই বাসার গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। শনিবার রাতে তাকে একা রেখে বাসার সবাই আত্মীয়ের বাড়িতে যান। পরে বাসায় এসে সাদিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তারা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
মুগদার মান্ডা খালপাড় এলাকায় বিদ্যুৎ (১৮) নামের এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে। ওই কিশোর নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। তার চাচা কালাম হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, মুগদার উত্তর মান্ডা খালপাড় এলাকায় নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবনের ছাদে পাইপের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে ফাঁস দেয় বিদ্যুৎ। কী কারণে এই কিশোর আত্মহত্যা করেছে- সে তথ্য জানাতে পারেননি চাচা।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানাকেও জানানো হয়েছে।