সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নিউজ দৈনিক ঢাকার কণ্ঠ
মানুষ বেঁচে থাকে তাঁর কৃতকর্মের মাধ্যমে, বয়সে নয়। কথাটিকে হৃদয়ের মনিকোঠায় ঠাঁই দিয়ে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচএম আরিফুল ইসলাম এলাকায় উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য বিরামহীন কাজ করে চলেছেন।
ইতিমধ্যে তার সফলতার ৩ বছর ৪ মাস পূর্ণ হয়েছে। তাঁর অনেক মেধা, যোগ্যতা ও সাহসী পদক্ষেপের কারণে এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর খালিয়াজুরী উপজেলায় অনেক সৎ, নির্ভীক দক্ষ ও কৌশলী নির্বাহী অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন। খালিয়াজুরী উপজেলার বর্তমান নির্বাহী অফিসার এই অল্প সময়ে মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালন করে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তার,কর্মচারীসহ খালিয়াজুরীতে সচেতন মানুষের মধ্যে ভাল স্থান করে নিয়েছেন।
সত্যকে সত্য বলা, আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলা এই নীতিটিই শ্রেষ্ঠ। তিনি এই অল্প সময়ে খালিয়াজুরী উপজেলায় বাল্যবিবাহ মুক্ত, সেই সাথে বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতি রোধ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যে সফলতা দেখিয়েছেন তার কিছু অংশ তুলে ধরার জন্য এলাকার সচেতন মহল প্রতিবেদকে উৎসাহ যুগিয়েছেন।
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচএম আরিফুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি প্রথমে পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে নিয়ম শৃঙ্খলা ফিরে আনেন আর এলাকায় কিছু অনিয়মের অভিযোগে পর্যায়ক্রমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অনেক মামলায় অনেকেই বিভিন্ন জরিমানা সহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক গুলো বাল্য বিয়ে বন্ধ,বেশ কয়েকটি জুয়া,অনেক গুলো অবৈধ স্থাপনা ,বেশ কয়েকটি মোটর যান, কয়েকটি ভেজাল দ্রব, ও অনেকেই মাদকের অভিযোগে মামলা সহ বিভিন্ন জরিমান আদায় করে এলাকার আইন শৃঙ্খলার যথেষ্ট উন্নয়ন সাধন করেছেন।
এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে কাজের সুষ্ঠ তদারকি, দুর্নীতি দমন, নকল মুক্ত পরীক্ষা গ্রহণ, বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিন্তকরণে সাহসী পদক্ষেপ অনেক প্রশংসার দাবি রাখে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে খালিয়াজুরী উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া সরবরাহ করে কন্টেন তৈরির প্রশিক্ষণ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো নিয়মিত মনিটরিং করে শিক্ষার মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন কর্মসূচীতে সুফল পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তাঁর দক্ষ এবং সাহসী পদক্ষেপে খালিয়াজুরীতে বিভিন্ন বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখল মুক্ত করে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির আরও একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ভিজিডি, ভিজিএফ রিলিফের সুষ্ঠ বন্টন করার সক্ষমতা অর্জন করে তিনি সফল হয়েছেন যার ধারবাহিকতার ছাপ রেখেছেন টি,আর, কাবিটা কর্মসৃজন, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে সঠিকভাবে গৃহ নির্মাণ করে গৃহ বন্টন, এলজিএসপি, ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, ইউপিজিপি সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান এবং উন্নয়ন কাজে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তদারকির ফলে তিনি শতভাগ কাজ বুঝে নিতে পেরেছেন বলে দাবি করেন।
তিনি উপজেলা পরিষদ ভবনসহ অন্যান্য অফিস ভবনের সামনে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন, উপজেলা পরিষদের বিশাল দিঘিতুল্য পুকুরের চার পাশ সুন্দর করে সাজান। সেই সাথে উপজেলা পরিষদ পুকুরে শিশুদের বিনোদনের জন্য একটি নৌকা দেন , সেই নৌকায় প্রতিদিন অনেক শিশু ভ্রমণ করে।
তিনি খালিয়াজুরী উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা সহ আপ্রান চেষ্টা করছেন। তাঁর এই সেবামূলক ও উন্নয়ন কাজের জন্য উপজেলার কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবি সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ সন্তোষ প্রকাশ ও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাঁরা এই সৎ, নির্ভীক কর্মকর্তার দীর্ঘায়ু ও উন্নতি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচএম আরিফুল ইসলামের সাথে মতবিনিয়ম কালে তিনি জানান, আমি আমাদের সুযোগ্য অভিভাবক জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান স্যারের দিকনির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি,উপজেলা চেয়ারম্যান,এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান, অফিসার ইনচার্জ সহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, সকল ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর, রাজনৈতিক ব্যক্তি, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবি জনগণের সাথে আমার চমৎকার সু-সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি খুশি।
আরো সংবাদ: ঢাকার কন্ঠ
সোহেল খান দূর্জয়
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
১৫.০২.২০২২ ইং