শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নিউজ দৈনিক ঢাকার কণ্ঠ
দেশের মানুষের এক সময় ধারণা ছিল যে থানা মানেই পুলিশ, পুলিশ মানেই হয়রানি,টাকা ছাড়া থানায় কোনো কাজ হয় না পুলিশ সম্পর্কে জনসাধারণের যখন এমন সব ভ্রান্ত নেতিবাচক ধারণা, ঠিক তখনই সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করে জনসাধারণের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান।
তিনি একজন সৎ, নির্ভীক, কর্মঠ ও নিরহংকার মনের অধিকারী পুলিশ অফিসার। কেউ যদি মনে করেন (ওসি) কে খুশি করার জন্য এ প্রশংসা তাহলে ভুল।
কারন যে মানুষ ভালো, তাকে ভালো বলতে না পারার মতো অকৃতজ্ঞ সকলে হতে পারেনা। বারহাট্টাবাসি ইতিমধ্যেই লক্ষ করেছেন, কয়েক বছরে এই থানায় অনেকেই অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু এমন দায়িত্ববান সৎ, নিষ্ঠাবান অফিসার থানাবাসী এর আগে কোনদিন দেখেছে কিনা সন্দেহ থেকে যায় জনগনের মনে।
থানার আওতাধীন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মাদক নির্মূল, সামাজিক ও মানবিক কাজে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য থানাবাসীর কাছে ইতোমধ্যে তিনি মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
থানায় গিয়ে বা ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে কোন ভুক্তভোগী হয়রানির শিকার হয়েছেন বা সঠিক দিকনির্দেশনা পাননি এমন দৃষ্টান্ত কেউ স্থাপন করতে পারবে বলে অনেকের মধ্যে কথাকপথনে চ্যালেন্জ লক্ষ করা যায়। তবে দুই একজন মানুষের কাছে এর বাতিক্রম হতে পারে। তারা হলো, স্বার্থম্বেষী সুবিধাবাদী দালাল, তদবীরবাজ অথবা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তদবীরে গিয়ে কোন প্রকার সারা না পেয়ে হতাশ হওয়া ব্যাক্তি। কারন তিনি বারহাট্টা থানায় যোগদানের পর প্রথম আঘাত হেনেছেন দালাল ও তদবির বাজদের বিরুদ্ধে। তিনি আসার পর থেকে এই থানার তৃনমুল মহল থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ দিনরাত ২৪ ঘণ্টা বিরতিহীন পুলিশি সেবা পেতে শুরু করেছেন।
সেবা প্রত্যাশী যারা তারা যাতে কোনরুপ হয়রানীর শিকার না হয়, সেই জন্য তিনি সবসময় মোবাইল নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় সব সময়ই এ্যাকটিভ থাকেন। কোন কারণে যদি তাঁর মুঠো ফোনের কল রিসিভ করতে না পারেন কিংবা কারও প্রেরিত এসএমএসটি দেখতে একটু দেরি হয়, কাজ শেষে ফ্রী হওয়া মাত্রই তিনি সেই নাম্বারে ফোনকল ব্যাক করে তার সাথে আন্তরিকতার সাথে কথা বলেন। চেষ্টা করেন এসএমএস এর প্রতিত্তর দিতে। এতে তিনি বিন্দুমাত্র বিরক্তবোধ হননা। কেউ তাঁর কাছে কোন বিচার প্রার্থী হলে তিনি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাঁর মত চৌকস পুলিশ সদস্য যদি প্রত্যেক থানায় দায়িত্ব পালন করতো তাহলে দেশের চেহারাটাই আজ দ্রুত বদলে যেত। অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মিজানুর রহমান সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন, গনমাধ্যম কর্মী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ অসংখ্য সাধারণ আমজনতা।
অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মিজানুর রহমান সম্পর্কে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারমান মুহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম বলেন, এ থানায় তিনি যোগদানের পর থেকেই পুলিশের আচরণ যেমন পাল্টেছে, তেমন থানার চিত্রও বদলেছে। এতে আগের তুলনায় থানায় সেবার মান বেড়েছে বহুগুন। থানার বিট পুলিশিং সেবা বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দন করতে এবং সহজেই মানুষকে সেবা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তিনি।
বারহাট্টা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহাম্মাদ বাবুল বলেন, (ওসি) মিজানুর রহমান এই থানায় যোগদানের পর থেকেই সৃজনশীল ও যুগোপযোগী পরিকল্পনার ফলে এ থানার পুলিশ হয়ে উঠেছে উপজেলাবাসীর আস্থার ঠিকানা। মানবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোনো অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদা বারহাট্টা থানার পুলিশ সজাগ রয়েছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে থানার অন্যান্য সদস্যরা তার দায়িত্বশীল কর্ম পরিচালনা দেখে তাকে অনুসরণ করা দরকার।
তিনি এই থানায় আইন শৃংখলার উন্নয়নে সর্বোচ্চ গতি এনেছেন। দায়িত্ববোধ, একাগ্রতা এবং এ্যকশান প্ল্যান তৈরি করার মধ্য দিয়ে বারহাট্টা থানায় এক স্বর্ণযুগের সূচনার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। থানার উন্নয়নে তাঁর প্রতিভা ইতোমধ্যে সবার হৃদয় জয় করেছে। এই সৎ অফিসারের দেখানো পথ ধরেই বারহাট্টা থানার পুলিশি সেবা আগামীতে আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন থানার সর্বস্তরের জনগন।
দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি থানাকে সাজিয়েছেন শৈল্পিক নৈপুণ্যে। তাঁর সৃজনশীলতায় বদলে গেছে বারহাট্টা থানার চিত্র। বারহাট্টা থানার ওসি হিসেবে মিজানুর রহমান দায়িত্ব নেয়ার পর দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালন করে তিনি একদিকে যেমন ডিপার্টমেন্টাল সুনাম অর্জন করেছেন, অর্জন করেছেন পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে তিনি জয় করেছেন অগনিত মানুষের হৃদয়। পেয়েছেন আপামর জনতার ভালোবাসা। তাঁর জনপ্রিয়তা দেখে অনেকেই মন্তব্য করেন, তিনি কোন জন প্রতিনিধি নন, তিনি কোন সুপার স্টার নন, পুলিশ ডিপার্টমেন্টে থেকেও তিনি এত জনপ্রিয়, সত্যিই অবাক করার বিষয়।
এক জরিপে দেখা যায়, ওসি মিজানুর রহমান শুধু বারহাট্টা নয়, তিনি কর্তব্যরত অবস্হায় যখন যেখানে কর্মরত ছিলেন, তিনি তাঁর মানবিক আচরন ও দায়িত্বশীলতার জন্যই অনেক উপাধি পেয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, কোনো চাওয়া পাওয়ার জন্য নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভালো লাগার জায়গা থেকে কাজগুলো করেছি। তিনি আরো বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয় সব সময় চায় পেশাদায়িত্ব, দক্ষ ও মানবিক পুলিশ।দায়িত্বশীলতা ও মানবিক মুল্যবোধ থেকে জেলার উর্দ্ধোতন কর্মকর্তারা সর্বদা আমার খোঁজখবর রাখছেন এজন্য তাদেরকে জানায় অসংখ্য ধন্যবাদ। পাশাপাশি অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করবে।কারণ পুলিশিই জনতা আর জনতাই পুলিশ। আশাকরি বারহাট্টা উপজেলার সর্বদাই এ কথাটি পৌঁছে যাবে, এবং মানুষের মাঝে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে আস্থা ফিরে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নিউজ ঢাকার কণ্ঠ
সোহেল খান দূর্জয়
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
১৭.০২.২০২২ ইং