নিউজ প্রতিবেদক:
ফ্যাশন ডিজাইন হচ্ছে একটি সৃজনশীল পেশা। একটি পোষাকের সাইজ থেকে শুরু করে তার কালার, নকশা, প্রিন্ট, সেলাই এর ধরন ইত্যাদি করেন একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। সৃজনশীলতা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হবার প্রথম ও প্রধান শর্ত।
একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে নকশা আঁকতে হয়, কিভাবে রঙ এর ব্যবহার করতে হয়, একটা ড্রেস কার জন্যে কেমন হবে, কোথায় কুচি দিলে ভালো দেখাবে আর কোথায় ফ্ল্যাট রাখতে হবে, কালার মিক্সিং ও কালার ম্যাচিং, এ সবই জানতে হবে।
অবশ্যই রঙ কে ভালবাসতে হবে, কোনো বস্তুর ওপর আলো আর ছায়া পরলে কেমন দেখায় সেটা খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে, প্রতিদিন এসবের চর্চা করতে হবে। প্রখর ইচ্ছাশক্তি আর কাজের প্রতি ভালবাসার সাথে সাথে নিত্য নতুন আইডিয়া বের করতে হবে এবং এক্সপেরিমেন্ট করে দেখতে হবে। এভাবে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার দিন দিন দক্ষ হয়ে ওঠেন তার পেশায়।
এখন অনেকেই বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ ঘুরে আসেন অথবা বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অন্যের কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ফ্যাশন ডিজাইনিং পেশায় আসতে চান। এটা একটি ভালো দিক তবে তার ভেতর নতুন কিছু করার যোগ্যতা, ইচ্ছা ও প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট করতে হবে।
ফ্যাশন ডিজাইনার যে কেউই হতে পারেন, শুধু তার জন্য চাই নকশার প্রতি ভালবাসা, একটুখানি ইচ্ছাশক্তি আর সাহস। ছোট পরিসরেই আপনি আপনার যাত্রা শুরু করতে পারেন। বাসার ভেতরেই বা বিভিন্ন উৎসবের সময় বাসার নিচের গ্যারেজে করতে পারেন ছোটখাটো প্রদর্শনী। এতে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কাজ কেমন হচ্ছে আর নিজের উপর আত্বনির্ভরশীলতা বাড়বে। মনে রাখবেন, ছোট থেকেই সবকিছু বড় হবে একদিন। যেকোন মাধ্যম থেকে পড়াশোনা করে এসেও আপনি এই পেশায় কাজ করতে পারবেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি কোর্স রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে বিজিএমইএর ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি (BIFT), শান্তা মরিয়ম ইনস্টিটিউট অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন, পার্ল ফ্যাশন ইনস্টিটিউট ইত্যাদি। ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে আনমুনিক ১,৮০,০০০ থেকে ২,৫০,০০০ পর্যন্ত পড়তে পারে। যদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান তবে ৪,০০,০০০ থেকে ৬,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, বুটিক হাউজগুলোতে ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে রয়েছে চাকরির বিশাল বাজার। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত দেশি-বিদেশি টেক্সটাইল মিল, বিভিন্ন বায়িং অফিস, বুটিক হাউজ, গার্মেন্টস শিল্প ও ইন্ডাস্ট্রিতে উৎপাদন কার্যক্রমের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে যেতে পারেন। এছাড়া চাইলে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকও হতে পারেন।
যদি ইনকামের কথা জানতে চান তাহলে বলব শুরুতে প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারেন। অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বেতন বেড়ে হতে পারে ১,০০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা। এইচএসসি পাস করার পর যে কেউ পড়তে পারেন ফ্যাশন ডিজাইনিং
এছাড়া আপনি একজন ফ্যাশন উদ্যোক্তা হতে পারেন।