সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
নেত্রকোনা জেলার সুসং দূর্গাপুর উপজেলার সফল ও মানবিক এবং এই উপজেলায় প্রথম নারী চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার।তিনি দূর্গাপুর উপজেলায় গণভোটে নির্বাচিত একজন সফল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। কিভাবে মানব সেবা করা যায় সেই চিন্তাই তার মাথায় সবসময় ঘুরপাক খায়। দূর্গাপুর উপজেলার সর্বস্তরের সাধারন মানুষের কাছে তিনি আলোর দিশারী সুসং কন্যা, মানবদরদী ও পর উপকারী ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত। জনগন তাকে পরম বন্ধু মনে করেন।তাই তো তিনি দূর্গাপুর উপজেলার মানুষের কাছে এত জনপ্রিয়।
কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে কিছু মানুষের কাছে তার এমন আকাশ ছোয়া জনপ্রিয়তা সহ্য হচ্ছে না।তাই তো তারা তার সুনাম ও জনপ্রিয়তা নষ্টের ফন্দি আটছে। সরকার ও চেয়ারম্যানের সুনাম নষ্টের পায়তারায় মেতেছে তারা।একজন সংবাদকর্মীর চোখে তার মানবিকতা ও সমাজ সেবার ঝলক,
গ্রীষ্মের গোধূলী সন্ধ্যায় নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ দূর্গাপুর মহাসড়কের পাশে দূর্গাপুর উপজেলার পৌরসভার পাশে চেয়ারম্যান তার বাসার নিজস্ব একটি কক্ষে চেয়ারে বসে আছেন তিনি। তাকে ঘিরে অর্ধ-শতাধিক ব্যক্তি বসে আছেন। এক এক করে নিজ নিজ সমস্যার কথা বলছেন। তিনি শুনছেন। সমাধান দিচ্ছেন। কাগজে লিখে রাখছেন। স্বাক্ষর করছেন। একদল চলে যাচ্ছে, অন্য দল আসছে। এভাবেই কেটে গেল পুরো সন্ধ্যা। প্রতিদিন। কে আসেন না তাঁর কাছে, গোটা উপজেলার ফকির, এতিম, প্রতিবন্ধী, যুবক, যুবতী, তালাকপ্রাপ্তা, বিধবা, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা, উঠতি নেতা, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি, ধনী, মসজিদের ইমাম, পুরোহিত, সকল ধর্মের বিভিন্ন পেশার মানুষ তাঁর কাছে সেবা নিতে আসেন। তিনি সবাইকে সমাধান দিয়ে দেন। তাৎক্ষণিক ফোন করেন। এমনকি বিভিন্ন গ্রামের মারামারি হয়েছে। দুই পক্ষ সুরাহা চেয়ে তাঁর কাছে আসেন। আবার অনেকেই সাহায্য চাইতে এসেছেন। তিনি পকেট থেকে টাকা বের করে দিলেন। অন্য কেউ হলে ঘুরাতেন দিনের পর দিন।
আমার চোখে দেখা একজন বৃদ্ধা নারী এসেছেন। সঙ্গে তার অসুস্থ্য স্বামী। সন্তানেরা দেখেন না। চিকিৎসা করান না। এ কথা শোনার পর ওই বৃদ্ধার সন্তানদের ডেকে আনেন তিনি। বৃদ্ধার সন্তানদের বুঝিয়ে পকেট থেকে টাকা বের করে দিয়ে ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পাঠালেন। স্বস্তির নিশ্বাসে বৃদ্ধা যুগলের চোখে কৃতজ্ঞতার অশ্রু চিক চিক করছিল। একদল লোক এসে মসজিদের কথা বলতেই তিনি নিজের পকেট থেকে ৫ হাজার হট করে মসজিদে দান করলেন। আর কয়েকজন লোক আসার সঙ্গে সঙ্গে মন্দির সংস্কারের জন্যও নিজের পকেট থেকে টাকা দিলেন। এভাবে নিজের তহবিল থেকে দান করার পাশাপাশি পারিবারিক সমস্যা, দাম্পত্য কলহ থেকে শুরু করে সব রকমের সমস্যা সমাধানের কেন্দ্র বিন্দু তিনি। ব্যতিক্রমী এই ব্যক্তি নেত্রকোনা জেলা প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান সুসং কন্যা জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার। দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তিনি। কখনও পায়ে হেটে, কখন মোটরসাইকেলে চড়ে গ্রাম থেকে পাড়া।ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত তিনি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।উপজেলা চেয়ারম্যানের নেত্রকোনা জেলা শহরে বাসা থাকলেও তিনি মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্যই দূর্গাপুরে বাস করেন।
বিভিন্ন কাজে তিনি এলাকার বাইরে গেলেও চেয়ারম্যানের মুঠোফোন থাকে খোলা। চলে মুঠোফোনে সমস্যা শোনা ও সমাধান দেওয়ার সেবা। ঝুমা তালুকদার পরিষদে সময় দেয়ার বাইরে ও এলাকায় এভাবেই সেবার ফেরিওয়ালা হয়ে সেবা দেন। সেবার দোকান খুলে বসেন। বাংলাদেশের কোন চেয়ারম্যান এরকম সেবা দেন কিনা জানি না। এভাবে জনগণের সাথে মিশে সেবা দেয়ার মতো চেয়ারম্যান হয়তো পাওয়া যাবে না। এর ফলও তিনি পেয়েছেন। জনগণ তাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেছেন। তাঁর ভালো কর্মকান্ডের কারণে দূর্গাপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে দ্বিগুণ।
সম্প্রতি এক বিকেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঝুমা তালুকদারের কাছে বসে ছিলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সোহেল খান দূর্জয়। তখনি ওনার সেবার ফেরিওয়ালা হয়ে উঠার গল্প শুনেছি এবং স্ব-চোখে দেখেছি। ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। এরপর তিনি দূর্গাপুর উপজেলার চিত্র বদলে দেওয়ার যুদ্ধে নামেন। তাঁর সত্যতা, দক্ষতা ও মানবসেবা দেখে সবাই মুগ্ধ হন। এখন দূর্গাপুর উপজেলাকে উন্নয়নে বদলে দেয়ার যুদ্ধ চলছে বিপুল উদ্যোমে।
বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমন কোন মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, কবরস্থান, মন্দির কিংবা শ্মাশান নেই যেখানে চেয়ারম্যান সাহায্য দেয়নি। সরকারের পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগতভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করে চলেছেন। স্থানীয় জনগণের সাফ কথা- তিনি, গরিবের বন্ধু। আমরা ঝুমা তালুকদারকে সব সময় কাছে পাই। একজন নাগরিকের চাওয়া হলো চেয়ারম্যানকে কাছে পাওয়া। সমস্যা জানানো। সমাধান পাওয়া। জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার চেয়ারম্যান এক্ষেত্রে অনন্য। তাই তাকে ঘিরে দূর্গাপুর উপজেলার জনগণের মধ্যে জনপ্রিয়তার ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে। এই ঢেউ মিলিয়ে যাবে না। শেষ হবে না বরং বাড়তেই থাকবে।
উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার বলেন , জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার আমাদের দূর্গাপুর উপজেলাবাসীর গর্ব। তিনি ব্যতিক্রমী মানুষ। অসহায় মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। দারিদ্র্য মানুষের জন্য অসম্ভব দরদ তাঁর। সব সময় তিনি দারিদ্র্য মানুষের কথা ভাবেন। ব্যক্তিগত তহবিল থেকে করেন সাহায্য সহযোগিতা।
দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুসং কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শিক সৈনিক, আমি কাজে বিশ্বাসী কথায় নয়। তিনি বলেন আমার বাবা দূর্গাপুর কলমাকান্দা(১ আসন )থেকে বারবার
নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সাহসী সৈনিক ছিলেন। আমি আমার বাবার রেখে যাওয়া দূর্গাপুরে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে এসেছি।
২৬.০৩.২০২২