মৌলভীবাজারের রাজনগরে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃতদেহ গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা বলতে পারছে না পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা।
শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পার্শ্বিপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির পুকুর পাড়ে গাছের সাথে গলায় বাধা অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম আব্দুল মতিন খান (৬৮)। তিনি সদর ইউনিয়নের পার্শ্বিপাড়া গ্রামের মৃত মনু খানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে রাজনগর সদর ইউনিয়নের পার্শ্বিপাড়া গ্রামের মনু খানের বাড়ির পুকুরের পশ্চিম-উত্তর কোণে একটি মৃতদেহ গাছের সাথে বাঁধা দেখতে পেয়ে কয়েকজন এগিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তারা আব্দুল মতিন খানের গলায় লাইলনের রশি লাগিয়ে ছোট একটি গাছের সাথে গলা বাঁধা দেখতে পান। এসময় তার হাটু গাড়া ও বাম হাত গাছের সাথে জড়িয়ে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। পাশেই তার জুতো, ব্যবহৃত ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও মাস্ক পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। তারা মৃতদেহের পাশ থেকে আলামত সংগ্রহ করেন।
এদিকে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এতো কম উচ্চতা থেকে ও হাটু গাড়া অবস্থায় কিভাবে কেউ আত্মহত্যা করতে পারে এনিয়ে সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এনিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া এখনই কিছু মন্তব্য করতে চাইছে না পুলিশ।
নিহতের ভাই মুজিবুর রহমান খান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আব্দুল মতিন খান মোবাইল ফোনে কল করে রাজনগর বাজারের কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন বাসায় তাকে দেখা করতে বলেন। সেখানে গেলে ঘর ভাড়ার টাকা দিতে চাইলে মুজিবুর রহমান খান তা না নিয়ে তাকে বাড়িতে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্তু আব্দুল মতিন খান তাতে রাজি না হয়ে রাতে সিলেটের বাসায় চলে যাবেন বলে জানান। পরদিন সকালে মুজিব খান জানতে পারেন বাড়ির পাশে তার মৃতদেহ পুকুর পাড়ে গাছের সাথে বাঁধা রয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা তদন্ত ও ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। রাজনগর থানা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই এর সদস্যরা আলামত সংগ্রহ ও তদন্তে কাজ করছেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে