১৪২৯ বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংঙ্গালীর সংস্কৃতি,ইতিহাস ও ঐকিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি বছরের ন্যায় এবার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা একসাথে দুই জায়গা বসছে বৈশাখী মেলা।যদিও সরকারের হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার আর পাবলিকের হিসেবে আজ শুক্রবারেই ১ লা বৈশাখ।১ লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা আর নাছিরনগর নদীর পাড়ে বসছে বৈশাখী মেলা।
সকাল থেকে বসে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ মেলা।তবে কুলিকুন্ডার মেলাটি শুটঁকির মেলা নামে বেশী পরিচিত।ওই মেলায় দুর দুরান্ত থেকে পাইকাররা বিক্রির জন্য বেশ বড় বড় দামী দামী শুটঁকি নিয়ে আসে।অপর দিকে শুঁটকি কিনতে বেশ ভোঁজন রসিকদের ও সমাগম হয়ে থাকে।দুপুরে মেলা দেখা যায় পাইকাররা নানা জাতের শুকনা মাছের শুটঁকির পরসা সাঁজিয়ে বসে আছে।বেচাকেনাও হচ্ছে মোটামুটি ভাল।
কথা হয় কয়েকজন শুটঁকি ব্যবসায়ীর সাথে।শিটঁকি ব্যবসায়ী পার্শ্ববর্তী সরাইর গ্রামের রতীন্দ্র দাস জানায়,তিনি প্রায় প্রতি বছরই এ মেলায় শুটঁকি নিয়ে আসেন।ভাল বেচা কেনা ও করেন।মাছের জাত ও আকার ভেদে প্রতিকেজি শুটঁকি ২৫ শত টাকা হতে ১২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন বলে জানান এ ব্যবসায়ী।মেলায় শুটঁকি কিনতে আসা দেবেশ ভৌমিক সহ আরো বেশ কয়েকজন জানায় তারা প্রতি বছরই এ মেলা থেকে সু- স্বাধু শুকনা মাছের শুটঁকি কিনে থাকেন।ব্যবসায়ী আর ক্রেতাদের দাবী মেলায় এবার শুটঁকির বেচাকেনাও ভাল।নাসিরনগর সদরে নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায় প্রাচীন গ্রাম বাংলার মাঠির তৈরি জিনিস পত্র ছাড়াও আরো হরের রকমের জিনিস। মেলায় গ্রামীণ নারী,পুরুষ ও শিশুরা আনন্দের সাথে বিভিন্ন জিনিস পত্র কেনাকাঁটা করছে।সে যেন এক অন্যরকম আনন্দ।
মোঃআব্দুল হান্নান
সংবাদদাতা