রংপুরের ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েকৃত মামলা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, রিপোর্টার্স ক্লাব ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, রংপুর শাখার চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সেই সাথে সংবাদকর্মীদের দাখিলকৃত ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নেয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মুহা. আব্দুল আলিম মাহমুদসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন জানানো হয়েছে। ১৮ এপ্রিল রাতে বিএমএসএফ রংপুর জেলা সম্পাদক তাজিদুল ইসলাম লাল কর্মসূচী স্থগিতের নোটিশ দিয়ে সকলকে অবগত করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিএমএসএফের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রতন সরকারসহ রংপুর জেলা বিএমএসএফের ৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে জনৈক আজিজ নামের একজন মিথ্যা সাজানো মামলা করেন। মামলাটি কোন প্রকার তদন্ত ছাড়া পুলিশ গ্রহন করায় উল্লেখিত সংগঠন সমুহের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। এক পর্যায়ে ৭ দিন ব্যাপী কর্মসূচী ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। ৭ দিনের এ কর্মসূচীর মাঝে দলেদলে স্বেচ্ছাকারাবরণ কর্মসূচীও রাখা হয়।
বিএমএসএফ রংপুর শাখার এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে গত সাড়ে ৩ বছরে ১৫ টি মামলায় ৬৫ জন সাংবাদিককে হয়রাণী করা হয়। এ সব মামলাগুলো পুলিশ কোনরুপ তদন্ত ছাড়াই এজাহার করায় পেশাদার সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্থ ও হয়রাণীর শিকার হন।
এদিকে বিএমএসএফের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, যে প্রক্রিয়ায় ভিন্ন পেশার মানুষের মামলা তদন্ত করে এজাহার করা হয়, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আগত মামলাগুলোও অনুরুপ তদন্ত করে এজাহার গ্রহন করা উচিৎ। শুধুমাত্র সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলোই কেবল তদন্ত ছাড়া কিছু অফিসার এজাহার গ্রহন করায় রংপুরের মত জটিলতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। আমরা চাই পুলিশ- সাংবাদিকদের মধ্যকার হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসুক। তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা পাবে।
(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)।