ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সরাইল—নাসিরনগর মহাসড়কের নাসিরনগর বুড়িশ্বর দুই সীমানার মধ্যবতীর্ মহাগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত পাকিস্তান আমলের,শ্রীঘর মেন্দি আলীর বাড়ীর নিকট মহাসড়কের ও ফান্দাউক ছাতিয়াইন আঞ্চলিক সড়কের আতুকোড়া গ্রামের খালের উপরে নির্মিত ব্রীজ তিনটি ভেঙ্গে গিয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানায়,বেশ কিছু দিন যাবৎ মহাগঙ্গা ও মেন্দি আলীর বাড়ীর নিকটের ব্রীজ দুইটি ভেঙ্গে রয়েছে। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, মালবাহী ট্রাকের ধাক্কায় মহাগঙ্গার উপর নির্মিত ব্রীজটির পশ্চিম দিকের র্যালিং ভেঙ্গে ব্রীজটিতে ফাঁটল ধরেছে। মেন্দি আলীর বাড়ীর নিকটে ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার পর ভাঙ্গা ব্রীজের উপর লোহার ফাইল দিয়ে রাখা হয়েছে এবং আতুকোড়ার ব্রীজটি ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
তাছাড়াও সম্প্রতি আতুকোড়া গ্রামের উত্তর পশ্চিম পাশে ফান্দাউক— ছাতিয়াইন আঞ্চলিক সড়কের উপর নির্মিত ব্রীজটি ভেঙ্গে মারাত্বক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রীজ তিনটির উপর দিয়ে মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন। যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ার আশংকা রয়েছে। জানা গেছে, মহাগঙ্গা ও মেন্দি আলীর বাড়ীর নিকটের ব্রীজ দুইটি দিয়ে প্রতিদিন হবিগঞ্জ লাখাই থেকে ১৭/১৮টি বাস যাত্রী বহন করে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে। তাছাড়াও উক্ত রাস্তা দুটি দিয়ে প্রতিদিন মালবাহী ট্রাক শত শত সিএনজি, অটোরিক্সা এবং হাজার হাজার নারী পুরুষ যাতায়াত করে থাকে। আতুকোড়া ভাঙ্গা বীজের উপর দিয়ে নাসিরনগর উপজেলা থেকে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভী বাজার, ছাতকের সাথে যাতায়াতের রাস্তা এটি। মাঝে মধ্যে ঢাকা—সিলেট মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হলে বিকল্প ঢাকা—সিলেট মহাসড়ক হিসেবে সরাইল—নাসিরনগর—লাখাই ও ফান্দাউক—আতুকোড়া—ছাতিয়াইন রাস্তাটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। স্থানীয় এলাকাবাসীর মতে দ্রুত সময়ের ভিতরে এ তিনটি ব্রীজ সংস্কার না করা হলে,যেকোন সময় ঘটতে পারে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নাসিরনগর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইসহাক মিয়া জানান, আতুকোড়া গ্রামের কাছে ব্রীজে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে শুনেছি। ব্রীজটি সংস্কার করার মত প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নেই বলে জানান তিনি। তারপরও সরেজমিন গিয়ে ব্রীজটি দেখে আসবে বলে জানান এ সহকারী প্রকৌশলী। নতুন যোগদানকৃত নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে খেঁাজ নিয়ে জানবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।