মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামে অবস্থিত কুলিকুন্ডা আশরাফিয়া জানালিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করেছে শিক্ষক।শিক্ষকের বেত্রাঘাতের ফলে ছাত্রের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক কালো দাগযুক্ত জখমের সৃষ্টি হয়েছে এবং পিটুনির কারনে ঘটনাস্থলেই ছাত্র মলত্যাগ (পায়খানা) করেছে।
ওই ছাত্রের নাম মোঃ জুনাইদ খন্দকার।তার বাবার নাম– তার গ্রামের বাড়ি কুলিকুন্ডা।জুনাইদ সবে মাত্র মাদ্রাসা ভর্তি হয়েছেন।জুনাইদের মা জানায়,বুধবার আমি আমার ছেলেকে মাদ্রাসা পাটাই।কিন্তু বৃষ্টির কারনে সে মাদ্রাসা যেতে পারেনি।পরে রাস্তা থেকে বাড়িতে ফিরে আসে।বৃহস্পতিবার যথারিতি জুনাইদ মাদ্রাসা যাওয়ার পর জুনাইদের শিক্ষক হাফেজ মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম জুনাইদকে বেতদিয়ে পিটিয়ে পাচায় ও উরুতে মারাত্বক আহত করে।এমন কি শিক্ষকের পিটুনির ফলে এক পর্যায়ে ছাত্র জুনাইদ মলত্যাগ (পায়খানা) করে ফেলে।বাড়িতে আসার পর পড়নের কাপড় খুলতে গিয়ে ছাত্রের মা এই অবস্থা দেখতে পায়।বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রের সাথে দেখা করে কথা বলতে চাইলে তাকে সাংবাদিকের সামনে না এনে জুনাইদ নামাজে গিয়েছে বলে জানায় ছাত্রের মা।
হাফেজ শিক্ষক মোজাহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে বলে জানায় ওই শিক্ষক।তার বাবার নাম মোঃ সাহাবুদ্দিন।প্রায় ৭ মাস পূর্বে হাফেজ মোজাহিদুল ইসলাম উক্ত মাদ্রাসায় যোগদান করেন বলে জানান ওই শিক্ষক।জুনাইদকে পিঠানোর ঘটনাটি সত্যবলে স্বীকার করে।এ ঘটনার জন্য সাংবাদিকের কাছে ক্ষমাও চান শিক্ষক হাফেজ মোজাহিদুল ইসলাম।
ছাত্রের চাচা মোঃ মজিদ মিয়া জানায়,আজ থেকে চার পাঁচ দিন আগে পাশের বাড়ির আরো এক ছাত্রকে বেপরোয়া ভাবে পিটিয়েছে এ শিক্ষক।মজিদ মিয়া জানান ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা সানাউল্লাহ আশরাফি ফোন করে ছাত্রের দাদা ও চাচার কাছে ক্ষমা চান এবং তিনি ঢাকা থেকে একদিন পর বাড়িতে এসে বিষয়টি শেষ করবেন বলে জানান।মজিত মিয়া তার ভাতিজার এমন ঘটনার জন্য দেশবাসীর কাছে ন্যায় বিচার দাবী করেন।
ওই ছাত্রের চাচাতো ভাই নাসিরনগর কলেজ মোড়েরের হোটেল ব্যবসায়ী মোঃ রুবেল মিয়া মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে বিনয়ের সুরে অনুরোধ করে বলেন ভাই,ছেলেটি আমার চাচাতো ভাই। হুজুরের সাথে আমাদের একটা সমযোতা হয়েছে।দয়া করে নিউজ না করলে ভাল হয়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা মাওলানা সানাউল্লাহ আশরাফির সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্রের আহত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাই তিনি বলেন এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।