বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ন
নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি : নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের পূর্ব জেঠাগ্রামের বাসিন্দা ঢাকার মালিটোলার ব্যাগ ব্যবসায়ী,কথিত নাসিরনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের পদ প্রত্যাশী মৃত আব্দুর রহমান খাঁনের ছেলে জহির খাঁন নামক এক নেতার বিরোদ্বে রয়েছে দলীয় এমপিও দলের নাম বিক্রি করে,কোন এক উদ্বর্তন পুলিশ কর্মকর্তার ভিজিটিং কার্ড প্রদর্শন করে,থানা পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে পুলিশের নাম বিক্রি করে এলাকার সাধারণ মানুষ জিম্মি করে অর্থ আত্মসাৎ,নারী কেলেংকারী ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মত নানা অভিযোগ।যার বিরোদ্ধে শতাধিক যুবলীগ নেতাকর্মীর গণস্বাক্ষর সংবলিত রয়েছে তাকে যুবলীগ থেকে বহিস্কারের দাবী।গোর্কণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজ আহমেত অবশ্য এর সত্যতা স্বীকার করে জানায়,জহিরকে যুবলীগ থেকে বহিস্কারের জন্য শতাদিক নেতাকর্মীর গণস্বাক্ষর সংবলিত কাগজটি আমি নিজে আটকে রেখেছি।বর্তমানে জহির খাঁন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের পদ পদবী পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
সরেজমিন এলাকায় গেলে স্থানীয় জনগণ সহ দলীয় নেতাকর্মীরা জহির খাঁনের বিরোদ্ধে সাংবাদিকদের সামনে নানা অভিযোগ তোলে ধরেন।অনেকেই আবার জহিরের বিরোদ্ধে মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
জহির খাঁনের ব্যাগের দোকানের কর্মচারী গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মোঃ লালা মিয়া কান্না জনিত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানায় সে জহির খাঁনের ব্যাগের দোকানের কর্মচারী ছিল। সেই সুত্রে তার বেতনের ১১ হাজার টাকা অনেক দিন যাবৎ পাওনা।টাকা চাইতে গেলে জহির খাঁন কর্মচারী লাল মিয়ার বেতনের টাকা না দিয়ে উল্ঠো লাল মিয়াকে মারপিট করে এবং লাল মিয়া জহির খানের দোকানে না গেলে লাল মিয়াকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে যাবে বলে পুলিশের ভয় দেখিয়ে হুমকি দেয়।
জহির খাঁনের চাচাত ভাই রাখিব আহমেদ,শরীফ মিয়া,মোনায়েম ও রহিম খাঁনআলী মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, জহির খাঁনের যৌন হয়রানীর হাত থেকে তার সস্পর্কে ভাতিজি,ভাবীও প্রতিবেশী নারীরা রক্ষা পায়নি।তারা জানান জহির খাঁনের ভয়ে তার এক ভাবী মাগরিবের নামাজের আগেই ঘরের গেইট ও দরজা বন্ধ করে ঘরের ভেতর বসে তাকে।এ বিষয়ে দুই তিন জন ভূক্তভোগী নারীর স্বামী স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আলীজানের নিকট বিচার প্রার্থী হয়েছেন।ইউপি সদস্য মোঃ আলীজান ও অবশ্য তাদের বিচার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি ৮ জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে জহিরের ভাই রাখিব সহ তাদের সমাজের সর্দার মাতাব্বর সহ গ্রাম্য দশ জনের হাতে তুলে দেন।তিনি বলেন বিষয়টি তার কাছে নেই এখন সমাজের কাছে রয়েছে।অভিযোগকারীরা আরো জানান জহির খাঁন ঢাকায় তার দোকানের ভিতরেও প্রায়ই বহিরাগত মেয়েদের এনে ফূর্তি করে।
জেঠাগ্রামের অবিদ সর্দার নামক জনৈক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে জানান, জহির খাঁন তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়।পরে সামাজিক বিচারে অবিদ সর্দার নির্দোষ প্রমানিত হয়।অবিদ সর্দার তাছাড়াও আওয়ামীগ কর্মী গ্রামের মোস্তাক আহম্মেদ,
জানায়,গত ইউপি নির্বাচনের সময় জহির খাঁনের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট না দেয়া নির্বাচনের পর জহির খাঁন তার সাথে আরো কয়েকজন স্থানীয় ছেলেদের নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসে।
জেঠাগ্রামের বাসিন্দা ঢাকার ব্যাগের ব্যবসায়ী মন্নু মিয়ার ছেলে মোঃ মোনায়েম জানায়,এক সময় জেঠাগ্রাম ও পূর্বভাগের মাঝে ঝগড়া হয়।ওই নিয়ে থানায় মামলা হয়।জহির খাঁন মোনায়েমের নিকট ১০ হাজার টাকা দাবী করে।টাকা না দেওয়া মোনায়েমকে জহির খাঁন উক্ত মামলা মিথ্যা আসামী করে।
এ বিষয়ে জহির খাঁনের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জহির খাঁন সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও
উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে দাবী করে বলেন,বর্তমান আলীজান মেম্ভারের সাথে আমার একটি প্রকল্পের টাকার ভাগবাটোয়া নিয়ে দ্বন্ধ হওয়া আলীজান মেম্ভারের ইঙ্গিতেই এ সমস্ত হচ্ছে বলে দাবী করেন জহির খাঁন।