বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ অপরাহ্ন
নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
ঢাকা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন,
দেশ গঠনে ইলেকট্রনিক, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার সকল গণমাধ্যম কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আকাঙ্খা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অর্জিত হয়েছে। বাকি লক্ষ্য অর্জণে গণমাধ্যমকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শনিবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল রুমে বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশন আয়োজিত ইফতার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রের উন্নয়নে গঠনমূলক সমালোচনা গনমাধ্যমের দায় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, আইন দেশের মানুষের জন্য, সবার মঙ্গলের জন্য। নাগরিকদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনার উদ্বেগ হয় অথবা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে এমন কোন সংবাদ পরিবেশন সঠিক নয়। এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন বন্ধে অবশ্যই আইন থাকা উচিত। এর নাম সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা নয় বরং এটি মানবতার সংরক্ষণের উপায়। না বুঝে শুনে সংবাদ পরিবেশন উচিত নয়। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি দায়িত্ব পালনকালে আমার জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে অন্যায় কিছু হলে আপনারা অবশ্যই সমালোচনা করবেন। এমন সংবাদকর্মীদের আমি শুভাকাঙ্খী মনে করি।
সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের প্রক্রিয়া কে আমি স্বাগত জানাই। সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার কোনদিনই সম্পর্কের অবনতি হয়নি। সহজ- সরল ও সুন্দর পথেই আমাদের সবাইকে চলা উচিত। জনগণের কাজ করতে গিয়ে আমি সবসময়ই সেই দিকটি বিবেচনা করেছি। আমি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন থেকে জাতীয় সংসদ, যত নির্বাচন করেছি প্রত্যেক স্তরে দল মত নির্বিশেষে সকলের সমর্থন পেয়েছি। অন্যান্য দলের লোকেরা আমাকে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের নেতা মনে করেনি বরং তাদের আপনজন হিসেবেই নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব, বাসসের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, অনলাইনে সংবাদ পরিবেশন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু সংবাদ সংগ্রহের পাশাপাশি এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে সাংবাদিকদের। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে কারো কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই করে তবেই অনলাইনে তা প্রচার করতে হবে। এতে একজন সাংবাদিক তার পেশার প্রতি সুবিচার করতে পারবেন।
বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরিফুল ইসলাম খান ডলার তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিশ্বের একমাত্র দেশ বাংলাদেশে অনলাইন পত্রিকাগুলো কীভাবে পরিচালিত হবে তার যে নীতিমালা হয়েছে আমি সেই নীতিমালা প্রনয়ণ কমিটির সদস্য ছিলাম। অথচ তথ্য মন্ত্রণালয় পত্রিকাগুলোর নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করলেও এখনও আমাদের এসোসিয়েশনের সদস্য এমন অনেক পত্রিকা নিবন্ধন পায়নি। আমরা তথ্য মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তিনি বলেছেন খুব শীগ্রই এসব অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধন পাবে। কিন্তু সে কাজে কোন অগ্রগতি নেই। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পজেটিভ মনোভাব পোষণ করলেও মন্ত্রনালয় নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে কেন আগ্রহ দেখায় না তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশন নির্বাহী সভাপতি কামাল হোসেন। আলোচক হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জয়ন্ত আচার্য, সহ সভাপতি রাশিদুল হাসান বুলবুল, অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহাদাত স্বপন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরা মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বেদু, অনলাইন এসোসিয়েশনের সহ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক অয়ন আহমেদ ও এসএম আকাশ, প্রচার সম্পাদক সালেহ মো. রশীদ অলক, দপ্তর সম্পাদক এসএম কামরুল হাসান শান্ত, কার্যনির্বাহী সদস্য আনহার সামসাদ, সাব্বির আহামেদ রনি, মোঃ মাসুদ রানা, ও নাসির উদ্দিন বুলবুল, শেখ জুয়েল আনান্দ, ওয়দুল্লাহ বুলন, আশরাফুল ইসলাম, আবু নাঈম খান, সুমাইয়া জামান, নাজমা সুলতানা নীলা, সোহেলী চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম শামীম, হুমায়ুন আইয়ূব, নাফিস মাহবুব ও খোকা আমিন প্রমুখ