নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজুর বিরুদ্ধে ড্রেজার দিয়ে গোমাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু তুলে নিজের টিকাদারীর কাজে ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, গত ১১ দিন আগ থেকেই রায়পুর ইউনিয়নের সেম্পনি বাজার এলাকার গোমাই নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেন আতিকুর রহমান রাজু। তিনি প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার টিকাদারীর কাজ করার জন্য সম্পূর্ণ বালুটাই ড্রেজার দিয়ে তুলছেন গোমাই নদী থেকে। ইতিমধ্যেই ১৬ হাজার ফুট বালু তুলেও ফেলেছে তার লোকজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন ড্রেজার দিয়ে গোমাই নদী থেকে বালু তুলছেন।তখন কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা কাজ করতে আইসি।চেয়ারম্যান আমরারে রোজে আনছে।আমরার নাম পত্রিকাত দিয়া আমারার পেডও লাত্তি মারইন না যে।কত দিন ধরে মাটি তোলা হচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে তারা জানায় প্রায় এগার দিন ধরে ওই রাস্তার জন্য ড্রেজার দিয়ে তারা মাটি তুলছেন।
রায়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি শেখ বিপ্লব জানান রায়পুর ইউনিয়নে নদী থেকে বালু তোলা একটা সাধারণ বিষয়।প্রশাসনের নজরদারি কম থাকায় যে যার মত গোমাই নদী থেকে বালু তুলছে। আমাদের ইউপি চেয়ারম্যানও নিজের টিকাদারীর কাজে নদী থেকে বালু তুলে। যে রক্ষা করার কথা সেই যদি ভক্ষক হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কি করবে।রায়পুর ইউনিয়নের বালুখেকোদের বিরুদ্ধে প্রশাসনে আরো কঠোর হওয়ার দাবী জানান তিনি।
আবির আহমেদ নামের একজন জানান সিম্পনী বাজরের এই রাস্তাটি হওয়াতে আমাদের এলাকাবাসীর খুব উপকার হচ্ছে।তবে নদী থেকে ড্রেজার করে বালু তোলায় সিম্পনী বাজারের পাশে গোমাই নদীতে বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।এতে সামনের বর্ষা মৌসুমে বড় ধরণের ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে।আর যেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে সেই জায়গাটা খাস জমি।তাহলে চেয়ারম্যান কি বালু তোলার ক্ষেত্রে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন। না নিয়ে থাকলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না কেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি খাস জমি থেকে প্রতি ফুট বালু এক টাকা করে কিনে রাস্তা করছি।আপনি যে কিনে রাস্তা করছেন এটা আমাদের তদন্তে কোন সততা পাইনি এমন প্রশ্নে ওই ইউপি চেয়ারম্যান জানান আমার রাস্তাটা এক মাস আগে হয়ে যেত আর আপনার জন্য হয়তবা একমাস পরে হবে।আর তো কোন সমস্যা হবে না আমার।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস,এম মাজহারুল ইসলাম জানান, নদী থেকে ড্রেজার করে বালু তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।রায়পুর ইউনিয়নের সিম্পনী বাজারে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি দ্রুতই আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১.০৫.২০২২ ইং