নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তিন মাসের সরকারি ভর্তুকি শেষে জার্মানিতে আরেক দফা বাড়ল গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম। দেশটির সাধারণ নাগরিকরা আশঙ্কা করছেন, এ কারণে বেড়ে যেতে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দামের লাগাম টেনে ধরতে জুন থেকে শুরু হয় জার্মান প্রশাসনের তিন মাসব্যাপী ভর্তুকির প্যাকেজ। আর এ প্যাকেজ শেষ হওয়ার একদিন পর অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন থেকে ঊর্ধ্বমুখী ছিল তেল ও গ্যাসের দাম।
বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) দেশটির ১৬টি অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন পেট্রোলপাম্পে জ্বালানি তেলের দামের অস্থিরতা ছিল। বেশিরভাগ পাম্পে যেখানে আগস্টের শেষ দিনেও প্রতি লিটার ডিজেল ও পেট্রোলের দাম ছিল ১ ইউরো ৭৮ সেন্ট যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭৮ টাকা আর তা রাত ফুরোতেই দাম বেড়ে দাঁড়ায় ২ ইউরো ২৫ সেন্টে বা দেশীয় মুদ্রায় ২২৫ টাকায়। এই অবস্থায় দুর্দশা আরও বাড়বে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন দেশটির স্বল্প আয়ের সাধারণ জনগণ।
হেরভেগ নামের একজন বলেন, আমার মনে হয় সরকার লম্বা সময় ধরে সবকিছুতেই ভর্তুকি দিতে পারে না। যেমন গত তিন মাসে তেল গ্যাসে ভর্তুকি দিয়েছিল কিন্তু তাতে স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের যে খুব উপকার হয়েছে তা বলা যাবে না। মূল্যস্ফীতি ঠেকানোর পাশাপাশি গরিবদের সরাসরি সাহায্য দেয়া গেলে হয়তো ভালো কিছু হতো।
সাধারণ মানুষের আশঙ্কা এবার লাগামহীন পাগলা ঘোড়া হতে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার।
ডানিয়েল ইয়ানডার নামে একজন বলেন, হঠাৎ করে তেল গ্যাসে ভর্তুকি বন্ধ করে দিয়ে শলজ সরকার ভালো করেনি। যারা গাড়ি চালিয়ে প্রতিদিন কাজে যান তাদের দুর্দশা বাড়বে। তিনি আরও বলেন, তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি মানেই বাজারের সবকিছুর দাম বেড়ে যাবে। গরিবদের অবস্থা আরও খারাপ হবে।
দেশটির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, জ্বালানি শক্তির ওপর থেকে সরকারের করের বোঝা কমিয়ে দেয়ার পাশাপাশি অন্য কোনো দেশ থেকে তেল ও গ্যাস দ্রুত আমদানি করতে না পারলে পরিস্থিতি হবে আরও সংকটময়। তবে খুব সহজেই মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনাসহ জ্বালানি শক্তির সংকট নিরসন হবে এমনটা মনে করছেন না জার্মান অর্থনীতিবিদরা।