শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের পর এবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মাদক, অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) কারা হেফাজত থেকে মুক্তি পান খালেদ। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সাতটি মামলার প্রতিটিতেই জামিন পেয়েছেন তিনি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বিষয়টি ঢাকার কন্ঠ পত্রিকা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনে করা মামলায় ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত থেকে জামিন পান খালেদ। সন্ধ্যায়ই জামিনের কাগজ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসে। কারাগার থেকে কাগজ যায় হাসপাতালে। এরপর রাত ১০টার দিকে তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
তবে রাতে খালেদ হাসপাতালেই ছিলেন জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মওদুদ হাওলাদার। তিনি বলেন, আজকে (শুক্রবার) দুপুরের আগে হয়তো হাসপাতাল থেকে বাড়ি যেতে পারেন খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
কিছুদিন আগে চিকিৎসার জন্য কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদকে গুলশানের বাসা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে গুলশান থানায় মোট সাতটি মামলা দায়ের করা হয়।
র্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে সম্রাট, খালেদ ও জি কে শামীমসহ মোট ১৩ জন গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ২৩ আগস্ট ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। তার আট দিন পর জামিনে মুক্তি পেলেন খালেদ।