নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
সুনাম ধন্য প্রায় ২ শত বছরের পুরাতন নেত্রকোণা দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত দুর্নীতির খবর ফলাও করে ছাপা হলেও অদৃশ্য ক্ষমতার বলে বারবার পার পেয়ে যায় প্রধান শিক্ষক এ বি এম শাহজাহান কবীর সাজু। প্রাইমারি লেভেলে নিয়োগ পেয়ে গত কয়েক বছরে বনে যান এই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
তখন থেকেই শুরু হয় অনিয়মের খাতা, নিজের বিভিন্ন অনিয়মের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে চাকরি চ্যুতকরা শুরু করেন বিদ্যালয়ের অর্থ লুটপাট, নিয়োগ বানিজ্য এ যেন অনিয়মের নৈরাজ্য, সহকারী শিক্ষকদের ভয় ভীতি সৃষ্টি করেন প্রধান শিক্ষক এ,বি,এম শাহজাহান কবীর সাজু।তিনি বিভিন্ন কৌশলে রাজ করতে শুরু করেছে বিদ্যালয়ের ভিতরে। প্রধান শিক্ষক এবিএম শাজাহান কবির সাজু এক সময় নিজের হাতকে আরও শক্তিশালি করতে অবৈধভাবে নিজের স্ত্রীকে শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগ দেন। সাজু তাহার স্ত্রীকে অন্য চাকুরীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় বসিয়ে বসিয়ে অবৈধ ভাবে বেতন প্রধান করেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ড হতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক এবিএম শাহজাহান কবীর সাজু বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলে শিক্ষকদের বেতন হতে টাকা কর্তন করেন। এখানেই থেমে নেই শিক্ষকদের একত্রে কথা বলতে দেখলেই ডেকে এনে আপমান করেন তিনি। বিভিন্ন ভাবে হয়রানি নৈরাজ সৃষ্টি করে এই প্রধান শিক্ষক। বিভিন্ন ফেইসবুকে বিভিন্ন সময় নেত্রবাসি তার অনিয়ম নৈরাজ্যের ওডিও ভিডিও ধারন করে ভাইরাল করলেও জনগন তার কোন প্রতি ফলন পাইনি। তার অবৈধ ক্ষমতা বলে, থামিয়ে দেয় এই প্রধান শিক্ষক। বোর্ডকৃত শকোজের চিঠি প্রধান হলেও বাস্তবে তার কোন ফল হয়নি, এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচার চায়। বিগত কয়েক বছরে যাদের বিনা নুটিশে চাকরী চ্যুত করেছেন এই প্রধান শিক্ষক এ বি এম শাহজাহান কবীর সাজু তারা হলো।
১/ সামছুদ্দোহা ফরিদ
২/নাছিমা খাতুন
৩/লিপি দাস
৪/রেবেকা সুলতানা রুবী
৫/তন্দ্রা রায়
৬/মোছাঃ লুৎফুর নাহার বেগম
৭/আফরোজা জাহান
৮/রাবেয়া ইয়াসমিন
৯/সোহেল রানা।এই বিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকা গন চাকুরী হারিয়ে বর্তমানে মানবতর জীবন যাপন করছেন, এবং সুবিচারের আশায় বসে আছেন তারা, শ্রম আইন ২০৬ এর দ্বারা কর্তব্য রত কোন শ্রমিক যে পাশায় হোক দির্গ দিন কর্মরত থাকলে তাকে তিন বার নোটিশ প্রধান করতে হয়, এখানে আইন অমান্য করেই তাদের বহিস্কৃত করা হয়। নিয়োগ পত্রে এক মাস আগে নুটিশ প্রধান করার কথা উল্লেক থাকলেও তা অমান্য করে ।
৯ জন শিক্ষককে বহিষ্কার করা মানব অধিকার লঙ্গন ও অমানবিক ও বটে।
এই নৈরাজ্য অনিয়মের দুর্নীতি, অনিয়মের প্রতিকার চায় নেত্রকোণার জনগন।
এই অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.বি.এম শাহজাহান কবীর সাজু, এই বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এই অভিযোগের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।