প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ৫:১৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ৮:১২ পি.এম
বাংলাদেশী পোশাক ব্র্যান্ডিংয়ে নভেম্বরে মেইড ইন বাংলাদেশ উইক
রফিকুল হক শিকদার জাহাঙ্গীর
১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৩০
ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ নিউজ (ঢাকার কন্ঠ ) : বিগত ৪০ বছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অবদান আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতে রপ্তানিমূখী পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ আয়োজন করতে যাচ্ছে। আগামী ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর ঢাকায় ৭দিনব্যাপী এই ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এর উদ্বোধন করবেন। শনিবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান এসব তথ্য জানান।
ফারুক হাসান বলেন,‘পোশাক শিল্পকে নিয়ে সপ্তাহব্যাপী আয়োজন এবারই প্রথম। এর মাধ্যমে শিল্পকে ব্র্যান্ডিং করার পাশাপাশি করোনা মহামারি থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছি, টেকসই শিল্পকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছি, সেই বার্তাটি বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেস্টা করব।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশে সস্তা শ্রম নয় বরং প্রতিযোগিতামূলক শ্রমশক্তি রয়েছে। পণ্য দ্রুত জাহাজীকরণ হচ্ছে, পরিবেশবান্ধব কারখানা তৈরি হয়েছে। বন্দরগুলোতে প্রয়োজনীয় স্ক্যানার বসানো হচ্ছে, নতুন ওয়্যারহাউজ হচ্ছে। ব্যবসায় সুবিধা দ্রুত সম্পসারণ হচ্ছে। আমরা এসব বিষয়গুলো বিদেশীদের কাছে তুলে ধরতে চাই। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বর্হিবিশ্বে উজ্জ্বল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পণ্য ও বাজার বহুমূখীকরণের মাধ্যমে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপানে ইতোমধ্যে আমরা ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছি। ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসাথে নন-কটন পণ্য উৎপাদনের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশী পোশাক ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্ব পোশাক বাজারের ১০ শতাংশ জায়গা দখল করবে। বর্তমানে বিশ্ব পোশাক বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের মার্কেট শেয়ার ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় সেদেশের সরকার বাংলাদেশকে বিনামূল্যে ট্রানজিট ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়। এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিনামূল্যে ভারতে ট্রানজিট ব্যবহারের সুবিধা পেলে বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। কেননা সেখানে অনেক বন্দর রয়েছে, এমনকি ব্যাক্তি মালিকানাধীন বন্দরও রয়েছে। এগুলো ব্যবহার করা গেলে আমাদের আমদানি-রপ্তানির সময় অনেকাংশে বেঁচে যাবে।
মেইড ইন বাংলাদেশ উইক ইভেন্ট চলাকালে ইন্টারন্যাশনাল এ্যাপারেল ফেডারেশনের (আইএএফ) ৩৭তম ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এটি মেইড ইন বাংলাদেশ উইক ইভেন্টের একটি অংশ। আইএএফ এর ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় এই ফ্যাশন কনভেনশনে হবে। ফারুক হাসান বলেন, এবারের আইএএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন বাংলাদেশে হবে, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।
৩৭তম আইএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন ছাড়াও মেইড ইন বাংলাদেশ এর উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি হচ্ছে- তৃতীয় ঢাকা এ্যাপারেল সামিট, ঢাকা এ্যাপারেল এক্সপিজিশন এবং বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো। এছাড়া প্রতিযোগিতা ভিত্তিক এওয়ার্ড প্রোগ্রামে রয়েছে-সাসটেইনেবল লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, সাসটেইনেবল ফ্যাশন এন্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড, মেইড ইন বাংলাদেশ উইক ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড, এনআরবি অ্যাওয়ার্ড প্রভৃতি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। এর পাশাপাশি মেইড ইন বাংলাদেশ উইক ইভেন্টে ফ্যাশন শো, সাংস্কৃতিক উৎসব, বিজিএমইএ ইনোভেশন সেন্টারের গ্লোবাল লঞ্চিং এবং বিইউএফটি-তে দিনব্যাপী বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।
Copyright © 2024 দৈনিক ঢাকার কন্ঠ. All rights reserved.