বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
যুক্তরাস্ট্র ভিত্তিক বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ”র ওয়েবসাইট www.BHRW.org প্রকাশ করতে যাচেছ জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বাংলাদেশ সোসাইটির নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের লালগালিচা সংবর্ধনা সিরাজুল আলম খান সেন্টার এর উদ্বোধন: সিরাজুল আলম খানের দর্শন:অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রগঠনে দিশারি আ স ম রব পানি বিশুদ্ধকরণ নামে, ও অবিশুদ্ধকরণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পানির ব্যবসা চলছে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস সমস্ত সভ্যতার জন্য ন্যায়বিচার, সমতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার হাইকোর্টের নজরে ইসকন-চট্টগ্রামের ঘটনা : আদালতকে পদক্ষেপ জানাবে সরকার আমিরিকা দূতাবাসে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া বিনাসুদে ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সারা দেশ থেকে লোকজন আনেমোস্তফা আমীন বিএনপির নিবেদিত প্রাণ এখন মৃত্যু শয্যায়, খোঁজ নেয়নি কোন নেতা!

তানোরে চোরায় পথে শতাধিক বস্তা পটাশ সার মজুদ

আব্দুস সবুর,তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধি // নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ

২৩ সেপ্টেম্বর /২০২২ রাজশাহীর তানোরে  এক গুড় ব্যবসায়ী পুলিশের পিতা নিখিলের বাড়িতে শতাধিক বস্তা পটাশ সার চোরায় পথে মজুদ করা আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই গুড় ব্যবসায়ীর বাড়ী তানোর পৌর সদর হিন্দুপাড়া গ্রামে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় কৃষকরা তার শাস্তির দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। কারন টাকা ও বাড়তি দাম দিয়েও মিলছে না পটাশ সার, আর এই সংকট কালীন সময়ে নিখিল কিভাবে সার পেলো , কেনই বা মজুদ করেছে এজন্য সরেমজিনে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে তানোর পৌর এলাকার হিন্দুপাড়া গ্রামের নিখিলের বাড়িতে শতাধিক বস্তা পটাশ সার মজুদ আছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাড়িতে যাওয়া হলে নিখিল বলেন আমি পটাশ সার গুবিরপাড়া গ্রামের বিএম কলেজের পিয়ন বালাইনাশক ব্যবসায়ী শহিদুলের কাছ থেকে ৩০ বস্তা  কিনেছি। কত করে কিনা হয়েছে এবং মেমো আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান ১২০০ টাকা বস্তা করে কিনেছি, কোন মেমো নেই।
তবে বালাইনাশক ব্যবসায়ী সহিদুল জানান, আমার দু বস্তা পটাশ সার লাগবে পাচ্ছি না, আর আমরা সার বিক্রি করতে পারব না।
স্থানীয়রা জানান, নিখিলের এক ছেলে দীর্ঘ দিন ধরে গুড়ার ব্যবসা করে টাকার মালিক বনেছেন। আরেক ছেলে পুলিশে কর্মরত। বিভিন্ন জায়গা থেকে গুড়ের সাথে পটাশ সার এনেছেন।অথচ সাধারন কৃষকরা টাকা দিয়েও পাচ্ছে না চাহিদামত পটাশ সার। আর নিখিল মজুদ করে রেখেছেন। কেউ কিছু বলেনা কারন তার ছেলে পুলিশে চাকুরী করে। শুধু সার না তার গুড়েও মেশানো হয় বিভিন্ন ক্ষতিকারক কেমিকেল। বাড়িতে এনে তিনি গুড়ে কেমিকেল দিয়ে বাজার জাত করে টাকার মালিক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহর মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি।
তবে কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মমিনুল ইসলামের  ০১৭২৪-৯৮৩২৭৬  মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে পটাশ সার মজুদের বিষয়ে অবহিত করলে তিনি বলেন কৃষকের যদি অনেক জমি থাকে তাহলে মজুদ করতে পারবেন, তাহলে সরকার ও কৃষি মন্ত্রী বলছেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার মজুদ করলে আইন গত ব্যবস্থা, আর আপনি কিভাবে বলছেন মজুদ করা যায় প্রশ্ন করা হলে সুর পাল্টিয়ে বলেন কোনভাবেই মজুদ করতে পারবেন না। আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কৃষি অফিসার ও ইউএনও স্যারকে অবহিত করেন, আমি তো কোন ব্যবস্থা নিতে পারিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, অতিরিক্ত সার মজুদ করা যাবে না। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে অভিযান দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com