প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ১০:১২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১, ২০২২, ১১:০৭ এ.এম
তানোরে বুকে কিল ঘুষিতেই বৃদ্ধা চাচাতো ভাইকে হত্যা
নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধি : আব্দুস সবুর
গত ৩০ সেপ্টেম্বর /২০২২ রাজশাহীরর তানোরে জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বুকে কিল ঘুষি মেরে বৃদ্ধা চাচা তো বড় ভাইকে হত্যা করেছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। নিহত ব্যক্তি হলেন লোকমান আলী( ৬৫) সে চুনিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আলহাজ জাকারিয়ার পুত্র। গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চুনিয়াপাড়া গ্রামে ঘটে লোম হর্ষক হত্যার ঘটনাটি। এঘটনায় উভয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। কারন হত্যাকারী এলাকার ত্রাস ময়েন দাপটের সাথে লাঠি সোটা নিয়ে প্রকাশ্যে চলাফেরা করছেন।
জানা গেছে, চলতি মাসের গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার জমিজমা নিয়ে পুর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চুনিয়াপাড়া গ্রামের বখাটে ময়েন উদ্দিন সহ কয়েক জন লোকমানকে গ্রামের রাস্তায় একা পেয়ে সার্টের কলার ধরে বুকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এঅবস্থায় বয়স্ক লোকমানের নাক মুখ দিয়ে প্রচুর রক্ত বের হওয়া শুরু হয় এবং সে মাটিতে নুয়ে পড়ে। তারপরও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মৃত্য নিশ্চিত করেন ময়েন বাহিনী। এসময় পরিবারের লোকজন লোকমানকে উদ্ধার করে মুন্ডুমালা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে কর্তব্য রত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। সংবাদ পেয়ে মুন্ডুমালা পুলিশ ফাড়ির কর্মকর্তা মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠান। ময়না তদন্ত শেষে পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার দিকে নিহত লোকমানের দাফন সম্পন্ন হয়।
গ্রামবাসী জানান, ময়েন উদ্দিন নিজেকে বিশাল ক্ষমতাধর ব্যক্তি মনে করে। লোকমান ময়েনের বয়সে বড় এবং চাচা তো ভাই। লোকমানকে বুকে এমন ভাবে কিল ঘুষি মারা হয়েছে যে নাক মুখ দিয় রক্ত বেরিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। মেরে ফেলার পরও মারতেই আছে ময়েন, আমরা নিষেধ করলে ময়েন দাপট নিয়ে বলেন লোকমান কে উপরে পাঠালাম, তার স্ত্রী সন্তানরা বাড়াবাড়ি কিংবা মামলা করলে কেউ জিবিত থাকবে না।
নিহত লোকমানের স্ত্রী বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। মাঝে মাঝেই জ্ঞান হারিয়ে ভুলভাল কথাবার্তা বলছেন।
ছেলে আহম্মদ জানান, আমার পিতাকে এভাবে মেরে ফেলবে ভাবতে পারিনি। কেন আমার পিতা কে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে মেরে ফেলা হল। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চায়।
ময়েন জানান, প্রায় মুহুর্তে জমিজমা নিয়ে লোকমানসহ তাদের পরিবারের লোকজন গালমন্দ করে থাকেন। তাকে আঘাত করা হয়নি, লোকমান হার্ট এটাকে মারা গেছেন। আমাদেরকে ফাসাতে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন।
মুন্ডুমালা পুলিশ ফাড়ির আইসি মনিরুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছিল। মামলা অভিযোগ করতে হলে থানায়।
থানার ওসি কামরুজ্জামা মিয়া জানান, এঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পায় নি বা করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Copyright © 2024 দৈনিক ঢাকার কন্ঠ. All rights reserved.