রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ অপরাহ্ন
[ঢাকা, ০২ অক্টোবর, ২০২২] ডিজিটাল পদ্ধতিতে সবার কাছে মানসম্পন্ন শিক্ষা পৌঁছে দিতে সম্প্রতি বাংলাদেশি এডটেক প্রতিষ্ঠান শিখো’র সাথে পার্টনারশিপ করেছে গ্রামীণফোন। এ পার্টনারশিপের ফলে, এখন থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোনের ফ্ল্যাগশিপ অ্যাপ মাইজিপি-তে শিখোর এক্সক্লুসিভ এডুকেশনাল কনটেন্ট পাওয়া যাবে।
মাইজিপি অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন সরাসরি অ্যাপের লার্নিং সেকশন থেকে বিনামূল্যে ৭০টি ভিডিও পাবেন। ভিডিওগুলোর চমৎকার অ্যানিমেটেড ফিচারসহ বিশ্লেষণমূলক আলোচনা মাইজিপি অ্যাপ ব্যবহারকারীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি, ক্যারিয়ার সংক্রান্ত প্রস্তুতি, জীবনবৃত্তান্ত, সিভি লেখা, কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা দিতে সহায়তা করবে।
২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে শিখো। মাত্র তিন বছরের মধ্যে এটি লক্ষাধিক শিক্ষার্থী, চাকরি-প্রার্থী এবং তরুণ পেশাদারদের পছন্দের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে, যারা ব্যক্তিগত দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে তাদের পথচলায় এগিয়ে থাকতে চান। প্ল্যাটফর্মটি ব্যতিক্রমী শিক্ষামূলক কনটেন্ট, অ্যানিমেটেড এবং অংশগ্রহণমূলক পাঠ, প্রয়োজনীয় কোর্স ও বিভিন্ন পরীক্ষা দেয়ার সুযোগের ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা প্রদর্শনের জন্য গ্লোবাল ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে ৫.৩ মিলিয়নেরও বেশি মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে। মাইজিপি অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন জিপি ইকোসিস্টেমের মধ্যে থেকেই শিখো’র বিভিন্ন কোর্স বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের চিফ ডিজিটাল ও স্ট্র্যাটেজি অফিসার সোলায়মান আলম বলেন, “গ্রামীণফোন ভবিষ্যত প্রজন্মকে ডিজিটালভাবে সক্ষম করতে এবং সবার জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করতে সবসময় তরুণদের অগ্রাধিকার দিয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। গ্রামীণফোন তরুণ জনসংখ্যাকে অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভবিষ্যৎ চালক হিসেবে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে ‘কানেক্টিং পিপল টু হোয়াট ম্যাটার্স মোস্ট’র লক্ষ্য বাস্তবায়নে ডিজিটাল লার্নিং, আপস্কিলিং ও রিস্কিলিং এর প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতের ডিজিটাল সেবাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে মাইজিপি অ্যাপের সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য প্রযুক্তির শক্তিকে ব্যবহার করে সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা ও সমান সুযোগ তৈরির মাধ্যমে বৈষম্য দূর করতে আমরা শিখোর সাথে পার্টনারশিপ করেছি, যা তাদের সম্ভাবনাকে উন্মোচিত করতে এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতামূলক হতে সক্ষম করে তুলবে।”
এ নিয়ে শিখো’র সিইও শাহির চৌধুরী বলেন, “দেশে একটি হাইপার-লোকালাইজড ডিজিটাল লার্নিং ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং শেখার পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। আমরা মানসম্মত শিক্ষাকে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি। গ্রামীণফোন প্রযুক্তির শক্তির মাধ্যমে মানুষ এবং কমিউনিটির ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। আমরা গ্রামীণফোনের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আনন্দিত; কারণ আমাদের লক্ষ্য ও দায়িত্ব একই; আর তা হলো কমিউনিটির উন্নয়ন। কোটি মানুষ তাদের পছন্দের লাইফস্টাইল অ্যাপ হিসেবে মাইজিপি ব্যবহার করেন, তাই এখন আরও অনেক বেশি মানুষ আমাদের কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন।”
বৈশ্বিক মহামারি ও স্কুল বন্ধ থাকার কারণে ডিজিটালাইজেশন ও শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ যুগান্তকারী পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে। শিক্ষার সুবিধা সব যায়গায় পৌঁছে দিতে এবং একে আরও সুবিধাজনক ও ব্যয় সাশ্রয়ী করে তোলার রূপান্তর প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এ খাতের সেরাদের দ্বারা প্রস্ততকৃত কনটেন্টগুলো উপভোগের সুযোগ পাবেন। গ্রামীণফোন ডিজিটালাইজেশন ও আপস্কিলিং-এ বিশ্বাস করে এবং এ পার্টনারশিপের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি এডটেক এর মতো উদীয়মান খাতে যুক্ত হয়েছে। এ ধরনের পার্টনারশিপ মাইজিপি অ্যাপকে ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল লাইফস্টাইলে পছন্দের অংশীদার করতে ভূমিকা রাখবে।