সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন
গত ২০.০৩.২০২২ ইং নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম। যিনি নির্বাচিত হয়ে মডেল উপজেলা গড়ে তোলার ঘোষণা ছুড়ে দেন। এমনকি হাটছেন ও সফলতার দিকে এই নবীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। নিজের কর্ম দক্ষতা এবং বুদ্ধিমক্তা কাজে লাগিয়ে মাত্র আড়াই বছরেই আধুনিক বারহাট্টা রূপ দিতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছেন বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়া এই মানবিক চেয়ারম্যান।
তিনি উপজেলা পরিষদের নান্দনিক স্থাপত্য চিরঞ্জিব, দৃষ্টি নন্দন উপজেলা চত্বর, আধুনিক শহীদ মিনার, বড় পর্দার স্কিন, আর আলোয় সজ্জিত বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের মোরাল, কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত সীমানা তোরন বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
সাথে মালটি কালারের আলোকরশ্মির সাথে ফোয়ারা নতুন পরিষদকে যেন নতুন এক মডেল উপজেলার নান্দনিক রুপ এনে দিয়েছে। তাছাড়া গরীব ও অসহায়দের বিনা মূল্যে চিৎকিসা ও ওষুধ কিনে দিয়েছেন এবং এখনো দিচ্ছেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়াসহ উপজেলা জুড়ে বালক বালিকাদের মাঝে বিতরণ করেছেন ক্রীড়া সামগ্রী।
তবে দায়িত্ব গ্রহনের পরে তার বড় চ্যালেঞ্চ ছিল উপজেলাকে মাদক মুক্ত করা। সে কারণে যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে মাদক বিরোধী প্রচারনা, লিফলেট বিতরণ, ব্যানার এবং গ্রুপ ভিত্তিক বছর জুড়ে তার মাদক বিরোধী কার্যক্রম জনগণের কাছে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
জানাগেছে, শুধুমাত্র উপজেলার উন্নয়নেই নয়, বরং দলীয় কাজেও তিনি পারদর্শিতার প্রমান দিয়েছেন বহুবার। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তিনি।
উপজেলা পরিষদের পাশেই রয়েছে বারহাট্টা রেল স্টেশন যা দেখে মানুষ মোহিত হয়ে পড়েন।
সামনে আসছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন, ব্যাপক সাজসজ্জার ফলে সম্মেলনস্থল জেলা পরিষদ কাম মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম মাঠ নান্দনিক যৌন্দর্যের প্রতিরূপে অবতির্ন হয়েছে।
আবার একদিকে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। উপজেলার লোকসমাগম ঘটে এমন বিভিন্ন স্থানে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেন মাইনুল হক কাশেম। বিতরণ করেছেন কয়েক হাজার মাস্ক, কয়েক হাজার হ্যান্ডসেনিটাইজার, পিপিই ও হ্যান্ডগ্লোবস।
করোনার প্রার্দুভাব বৃদ্ধি পেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন ও হাসপাতালের প্রবেশদারে জীবাণুনাশক টানেল তৈরী করে দিয়ে আলোচনার শীরোনাম হন তিনি।
তাছাড়া গত ঈদ উল ফিতর, ঈদ উল আযহায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরুপ মানবিক সহায়তা খাদ্য সামগ্রী শত শত পরিবারের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বিভিন্ন সংগঠনে প্রনোদনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। ঈদের দিনে উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাইনুল হক কাশেমের একটি মানবিক কাজ সকল মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে।
গত ঈদ উল আযহার দিন রাস্তায় ঘুড়ে বেরানো এক বৃদ্ধ হঠাৎ করেই তার বাসায় উঠে যান। এটা দেখে ক্ষুব্ধ হলেন না, বরং সকল আলোচনা বাদ দিয়ে তার সমস্যার কথা জানতে চান চেয়ারম্যান। উত্তরে বৃদ্ধ কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমি অসুস্থ’। এতোটুকু বলতেই চেয়ারম্যান পকেটে হাত দিয়ে যতগুলো ৫০০ টাকার নোট ছিল তার সবগুলোই তুলে দেন ওই বৃদ্ধর হাতে। তার এমন কান্ড দেখে সবাই বিমোহিত হন। এমন অনেক মানবিক কাজের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন মুহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম।
একদিকে গত বছর করোনা দুর্যোগের মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তাঞ্চলে আঘাত হানে শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় আম্পান। এতে নেত্রকোনা সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও বারহাট্টা উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়। এতে অসহায় হয়ে পড়ে ওই ইউনিয়ন গুলোর মানুষ। আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবারের পাশে দাঁড়ান উপজেলা চেয়ারম্যান। বাড়িয়ে দেন সহায়তার হাত। নগদ অর্থ, চিড়া, মুড়ি, শিশুখাদ্য, রেইন কোর্ট, ছাতা বিতরণ করেন দুর্গতদের মাঝে। উপজেলায় কন্টোল রুম ও হট লাইন সার্ভিস চালু করেন স্কাউট সহ সকলের সহযোগিতায়।
বর্তমান সময়ে পুরো উপজেলায় করণীয় কল্যাণকর কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যান। সার্বিক বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। এসময় লাজুক হাসিতে তিনি বলেন, আমি প্রচারে বিশ্বাসী নই, কাজে বিশ্বাসি। তবে ভালো কাজের প্রচার ও সহযোগিতা করলে কৃতজ্ঞ থাকবো। তার বিশ্বাস আর মন্তব্য ‘মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি, আমি খেতমতে দেব দৃষ্টি’।