রাজধানীর উত্তরায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় এক নারী রোগীর মৃত্যুর পরিবারের অভিযোগ । এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে ক্লিনিক ভাঙচুর করেছে। পরে খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভুক্তভোগী ওই নারী রোগীর নাম তহুরা বেগম (৮০)।
আজ সোমবার ডিএমপি'র বিমানবন্দর থানার উপ- পরিদর্শক (এস আই) মো: সাজ্জাদ রোগী মারা যাবার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উত্তরা ১ নং সেক্টর জাহানারা প্রাইভেট ক্লিনিক লিমিটেড এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মৃত তহুরার ছেলে রাশেদ উজ জামান খোকন সাংবাদিকদের অভিযোগ করে জানান, রোববার বেলা তিনটার দিকে ডেঙ্গু জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে তহুরা বেগম উত্তরার জাহানারা ক্লিনিকে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার এম এন আলম তাকে ভর্তি করেন। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শেই ভর্তি রেখে রোগীর শরীরে স্যালাইন দেয়া হয়। স্যালাইন যেখানে পুশ করার কথা সেখানে না দিয়ে ভুল জায়গায় পুশ করা হয়। যার ফলে স্যালাইন দেয়ার ২০/২৫ মিনিট পরেই রোগী হাসপাতালে মারা যান বলে তিনি দাবি করেন।
বিমানবন্দর থানার উপ- পরিদর্শক (এস আই) মো: সাজ্জাদ ঘটনাস্হলে সাংবাদিকদের জানান, তহুরা বেগম নামে এক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মারা গেছেন। তবে, তিনি এর চেয়ে বেশি তথ্য দিতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জাহানারা ক্লিনিকের জেনারেল ম্যানেজার হেমায়েত উদ্দিন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করে জানান, ডাঃ এম এন আলমের তত্ত্বাবধায়নে রোগীটিকে ভর্তি করা হয়। রোগী মারা গেল কেন সেটা বলতে পারছি না।
তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে এটা ঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন। দালাল নির্ভর এ ক্লিনিকে কতজন দালাল নিয়োগ দেয়া হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো দালালদের মাধ্যমে এখানে রোগী ভর্তি করা হয় না।
এবিষয়ে ভুল চিকিৎসায় রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ এম এন আলম বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত তহুরা বেগমকে পরিবার ক্লিনিকে ভর্তি করেছিলেন। আমি সাধারণত একটি স্যালাইন পুশ করেছিলাম। এখানে ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে কথাটি সঠিক না।
এব্যাপারে বিমানবন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তাপস কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের কেউ এখনো পর্যন্ত থানায় লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। যদি এ ব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।