হবিগঞ্জ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন মাধবপুর প্রেসক্লাবের সদস্যসহ স্হানীয় সাংবাদিকরা।
হবিগঞ্জের মাধবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি
মোহাম্মদ অলিদ মিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার
দায়রের প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে গড়ে ওঠা বিএইচএল কোম্পানী শিল্পনীতি লঙ্গন কর প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে জনস্বার্থে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রকাশিত সংবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে কোম্পানীর এইচআর এডমিন বাদী হয়ে সাংবাদিক অলিদ মিয়া'কে হয়রানী করতে ষড়যন্ত্রমূলক একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে ৭ই নভেম্বর সোমবার প্রেসক্লাবের সামনে কর্মরত সাংবাদিকগনএ কর্মসূচী পালন করেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের
সেক্রটারী সাবিবর হাসান, সহ-সভাপতি
আবুল খায়ের, সুব্রত দেব, আলমগীর কবির, বীরমুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সুখেন দেবনাথ, সাবেক
সভাপতি রোকন উদ্দিন লস্কর,শংকর পাল সুমন, কাওছার আহমদ, সানাউল হক শামীম, হীরেশ ভট্টাচার্য্য, মোঃ আবুল হোসেন সবুজ, রাজিব দেব রায় রাজু, বিপ্লব আচার্য্য, আবুল হোসেন সুজন, রাখাল দে, একলামুল আলম লেবু, ইলিয়াছ কাঞ্চন তানহা, লিটন পাঠান প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় মাধবপুর প্রেসক্লাবসহ স্হানীয় সাংবাদিকরা বলেন, সাংবাদিক মোহাম্মদ অলিদ এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে স্হানীয় সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে আরো কঠোর কর্মসূচী পালন করবেন।
এই ঘটনার বিষয়ে স্হানীয় সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রতি উত্তরে, মাধবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাংবাদিক এম এ কাদের বলেন, দুর্নীতিবাজ ও আদর্শহীন রাজনীতিবিদ ও আমলারা নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে সাংবাদিকদের নামে বিভিন্নভাবে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে। অবিলম্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের সকল মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
এছাড়া সাংবাদিকদের ন্যায্য মজুরি প্রদানে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তাই সাংবাদিকতার আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হবে। সাংবাদিকতাকে ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশের
সাংবাদিকদের রুটি, রুজি ও স্বার্থ রক্ষায় শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। আজ সাংবাদিকরা কোন কিছু না পাওয়ার পরও সাংবাদিকতায় প্রতিনিয়ত বিপদ লেগেই আছে। তা মোকাবেলা করেই সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থেকে একযোগে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সাংবাদিকরা যদি রাষ্ট্রের চতুর্থস্হম স্তম্ভ হয়ে থাকে, বা জাতির বিবেক বলে সমাজ ও দেশ পূর্ব কাল থেকেই এইসব উপাধিতে ভূষিত করে থাকেন অথবা সাংবাদিকরা হল সমাজের দর্পণ / আয়না বলে সচেতন মহল'সহ বিশিষ্টজনেরা যদি মনের মণিকোঠায় স্ব-যতেনে শ্রদ্ধাভরে সম্মান দিয়ে ইতিহাসের পাতায় স্বরণীয় স্মৃতি করে রেখে দেখিয়ে দিয়ে আসছেন, রেখে যাচ্ছেন ও ভবিষ্যতে রেখে যেতে শতভাগ আগ্রহী বলে মত প্রকাশ করেন।
সমাজের অসংগতি সাংবাদিকদের নজরে আসলে তা যখন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেন, তখন কিভাবে ঐ সাংবাদিক'কে ক্ষমতা আর টাকার প্রভাব বিস্তারে সমাজে অপরাধী বানানোর জন্য উঠেপড়ে লেগে থাকেন। আবার কোন কোন সময় দেখা যায় তাদের ক্ষমতা আর টাকার প্রভাবে সাংবাদিকদের অপরাধী বানানোর প্রক্রিয়া তারা সফলও হয়ে থাকেন।