বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
আমি কেন বারবার আসামি হচ্ছিঃ সরদার বেলায়েত হোসেন মুকুল বড়াইগ্রামে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত চাকুরীবিধি অমান্য করে শিক্ষককে বরখাস্ত ও হয়রানি  মধ্যরাতে উত্তাল ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা ৫ আগস্টে, হত্যা মামলায়, নওয়াব হাবিবুল্লাহ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ গ্রেফতার* তারেক রহমানের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে: ডা. ইরান মরহুম বিএনপি নেতা লাল মিয়া মেম্বারের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে ১০ হাজার লোকের সমাগম : দোয়া ও মোনাজাত  বড়াইগ্রামে সাবেক এমপি’র ব্যাক্তি মালিকানা স্কুলে সরকারি বরাদ্দ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন দক্ষিণখানে রাস্তাও ড্রেনের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনকালে :  ডিসেম্বরে শেষ হবে দক্ষিণখান-উত্তরখানের প্রধান সড়কের উন্নয়ন কাজ: ডিএনসিসি’র প্রশাসক পাচাররোধে সীমান্তে নজরদারি : ভারতে পাচার হচ্ছে স্বর্ণ : তিন মাসে ট্যাক্স আদায় হয়েছে ৩২ কোটি ১৫ লাখ টাকা

নড়াইলে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাসি দুই আসামীকে বেকসুর খালাস

 

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল : নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

 

নড়াইলে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাসি দুই জন খালাস। নড়াইলে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মোঃ হেদায়েত হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও আসামিকে ১০হাজার টাকা জরিমান করা হয়েছে। সোমবার (১৪অক্টোবর) সকালে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলাও দায়রা জজ মোঃ কেরামত আলী এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। আসামি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই আদালত এ দণ্ড দেন। মামলার অন্য দুই আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, মামলার বিবরণে জানাগেছে, মোঃ হেদায়েত হোসেন নামে দণ্ডপ্রাপ্ত ঐ আসামি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের মৃত গোলাম রব্বানী শেখের ছেলে।

 

পেশায় কসাই হেদায়েত তার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু আরার প্ররোচনায় ২০১২সালের ৩ ফেব্রæয়ারি প্রথমস্ত্রী মমতাজ বেগমকে রাতে কৌশলে বাড়ির অদূরে গম ক্ষেতে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ঘটনার পরে হেদায়তের কাপড়ে রক্ত লেগে থাকতে দেখে সন্দেহ হলে তাদের ছেলে রবিউল বাদি হয়ে পরদিন ৪ ফেব্রæয়ারি বাবা হেদায়েতের বিরুদ্ধে মাকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করে। লোহাগড়া থানায় দায়ের কৃত এ মামলায় বাদি রবিউল তার বাবা ছাড়াও সৎমা আঞ্জুআরা এবং হত্যায় সহযোগিতা করায় মুকুল সিকদারের স্ত্রী জাহানার ও তাদের মেয়ে স্বাধীনাকে আসামী করে ।

 

এদিকে ঘটনার পর হেদায়েত গাঢাকা দেয়। পরে পুলিশের জালে ধরা পড়ে প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে পুলিশের নিকট স্ত্রী মমতাজকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে সেখানেও হেদায়েত নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এ অবস্থায় পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে হেদায়েত ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জুআরা ও ছোট ভাই খলিলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়ার পাশাপাশি হত্যায় জড়িত থাকার প্রমান না পেয়ে অব্যাহতি দেয়া হয় এজাহার নামীয় জাহানারা ও স্বাধীনাকে। এদিকে বিচারিক প্রকৃয়াচলা কালে আসামী হেদায়েত আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে কিছুদিন পরে পালিয়ে যায়। ফলে তার অনুপস্থিতিতেই দীর্ঘ বিচারিক প্রকৃয়া চলাকালে মোট ১৪জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহনসহ আনুসঙ্গিক প্রমানাদী বিচারবিশ্লেষন শেষে আসামি হেদায়েতের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমান হলে সোমবার রায়ের ধার্য দিনে তাকে ফাঁসী ছাড়াও অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এ দিকে গৃহবধু মমতাজ হত্যাকান্ডে অপর দুই আসামি সম্পৃক্ততার প্রমান না পাওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ।উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে

 

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com