বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
সাব্বির হোসেন (বাগেরহাট) শরণখোলা প্রতিনিধিঃ
দক্ষিণের জেলা বাগেরহাট। এ জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলা জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটিকে পুজি করে অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছে ডিস এবং ইন্টারনেট সংযোগকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এ বিষয় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নেই কোনো তদারকি। যার ফলে ঝুঁকি যেনেও কিছুই যেন করার নেই সাধারণ মানুষের। সচেতন মহলের প্রশ্ন সাধারণ মানুষ কি আদৌ নিরাপদ?
তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে সারাদেশেই এরকম তার টানানো হচ্ছে ।মাসিক ভাড়া ধার্য থাকলেও তা দিচ্ছে না কোম্পানিগুলো।
উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে দেখা যায়, বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ বড় বড় স্থাপনা, দালান, অফিস কিংবা বাসা বাড়ির সামনে জুলছে তারের জটলা। বড় বড় হাট–বাজার, প্রধান প্রধান সড়কগুলো দিয়ে চলার সময় উপরের দিকে তাকালে দেখা যায় হরেক রকম তারের জটলা। অনেক সময় বোঝার উপায় থাকে না কোনটা বিদ্যুতের তার আর কোনটা ডিস কিংবা ইন্টারনেট লাইনের তার যার ফলে হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি উপজেলার তাফালবাড়ি বাজারে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন লেগে ঘটেছে দূর্ঘটনা এতে প্রাণহানি না হলেও কয়েকটি দোকান পুড়ে ব্যপক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কথা হলে ধানসাগর ইউনিয়নের কয়েকজন সচেতন নাগরিক বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে অনেক তার থাকায় একটি তারের সাথে অন্য তার মিলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।এতে আমাদের বাসা বাড়িসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস যন্ত্র নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এত দূর্ঘটনা ঘটার পরেও বিদ্যুৎ বিভাগ সোচ্চার হচ্ছে না।যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে এ ব্যবসা করে যাচ্ছেন এসব কোম্পানিগুলো।
বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ডিস কিংবা ইন্টারনেট লাইনের তার টানানো বৈধ কিনা জানতে চাইলে শরণখোলা উপজেলা এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) আসিক মাহমুদ বলেন, সারাদেশেই এরকম তার টানানো হচ্ছে সে হিসেবে বৈধ তবে নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট জায়গায় টানানো উচিৎ। কোন পদ্ধতিতে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে অন্য কোম্পানি তার টানাচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এদের মাসিক কিছু চাদা ধার্য করা হয়েছে কিন্তু সেগুলো তারা দিচ্ছে না।তিনি আরও বলেন,তবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা দেব সেই প্রক্রিয়া চলছে।