এম এ কাদের,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
শুরু করার আগেই অতিথের দিকে আপনাদের নিয়ে একনজরে ঘুরে আসতে হচ্ছে। তাই চলোন পূর্বের কিছু বিষয় আগেই কি
ছু অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনের দিকে রওনা করি।
প্রায় ৯ মাস পূর্বে অর্থাৎ ২০২২ সালে প্রতারক আরিফুল ইসলাম জিয়া’কে নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল তা হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলঃ-
মাধবপুরে প্রতারক জিয়ার খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত সাধারণ মানুষ, পর্ব-০১
মাসুদ লস্কর, স্টাফ রিপোর্টারঃ মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের শাহপুর-হরিতলা এলাকার নিরীহ মানুষ আরিফুল ইসলাম জিয়া নামে এক প্রতারকের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। আরিফুল ইসলাম জিয়া বিএনপির অঙ্গসংগঠন পেশাজীবি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। এই সুবাদে বিএনপির ব্যানারে প্রতারক জিয়া তার আর্থিক সুবিধা আদায়ে কুট-কৌশল হিসেবে গ্রামের অসহায় সহজ-সরল মানুষদের বিভিন্ন প্রলোভনে পারিবারিক বিবাদে জড়িয়ে ফেলছে। দেন-দরবারের মাধ্যমে তার আর্থিক সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। জমাজমি ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমেও জিয়া কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। জানা যায় এক ‘মহাপ্রতারক’ জিয়া প্রতারণা করে শূন্য থেকে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অবিশ্বাস্য ঘটনা। একের পর এক প্রতারণার ঘটনায় এখন নিঃস্ব মানুষের সংখ্যা শতাধিক। ভয়ভীতি, হুমকি-ধামকি এমনকি নারী দিয়ে ফাঁসানো, চুরি, ছিনতাইসহ নানান ধরণের মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী করার ফলে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পান না।
নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণকারী আরিফুল হক জিয়া এখন শত কোটি টাকার মালিক। জমি কেনার নামে অল্প কিছু টাকা বায়না দিয়ে বাকি টাকা তার স্বাক্ষরিত ভুয়া ব্যাংক চেকের মাধ্যমে দলিল লেখক দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়া তার প্রথম কাজ। এরকম অহরহ অভিযোগ ওই এলাকার অনেকেই। জিয়ার প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছেন_এমন তথ্যেরও সত্যতাও মিলেছে। একজনের জমি অণ্যজনকে দিয়ে রেজিস্ট্রি, দলিল না করে সাবকবলা কিংবা পাওয়ার অব এটর্নি করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি, এক মৌজার জমি অন্য মৌজায় দেখানো, ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে গ্রামের অসহায় সহজ-সরল মানুষদের সাথে করে আসছে প্রতারণা। আর তার এসব কাজে সহযোগিতা করে আসছে সালাহ উদ্দীন নামের এক দলিল লিখক।
ভুক্তভোগীরা জানান, এই প্রতারক জিয়ার কাছে আপন পরের বালাই নাই। অর্থের কাছে সে অন্ধ। তার রয়েছে বিশাল নেটওর্য়াক। এই নেটওর্য়াকের মাধ্যমেই সে এলাকায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, ডাকাতি জমি দখল, গরু চুরি, গাজার ব্যবসা, জুয়া খেলাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে সামাজিক জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে তার নামে, তার ভাইর নামে ও তার আত্মীয় স্বজনের নামে জমি লিখে নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীর কাছে বিক্রি করে।
যে ভাবে প্রতারণা ডানা মেলে প্রতারক জিয়াঃ বিএনপির অঙ্গসংগঠন পেশাজীবি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম জিয়া। রীতিমতো প্রতারণার জাদুকর। তার প্রতারনার স্বীকার এলাকার সাধারণ জনগন, বিভিন্ন কলাকৌশলে ভূমির মালিকদের সাথে সম্পর্ক গড়ে হাতিয়ে নেয় সম্পদ,কোম্পানির কাছে মিডিয়া হিসাবে জমি বিক্রির কাজ সুচারু ভাবে সম্পন্ন করে, কিন্তু টাকা নিয়ে নেয় নিজের কাছে, নামে মাত্র বায়না দিয়ে বায়নাপত্র করার নামে করে সাফকাবলা।
তবে তার প্রতারণার লক্ষ্য শুধু টাকা কামান’ ছিল না; যশ ও খ্যাতির জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও কর্মকাণ্ডে তিনি নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। এসব পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমেও তার সরব উপস্থিতি ছিল। তার রাজনৈতিক অভিলাষও ছিল। তার অন্যতম লক্ষ্য ছিল পৌর মেয়র হওয়া। এ জন্য ঢাকা থেকে বিএনপির অনেক কেন্দ্রীয় নেতাদের ম্যানেজ করে এলাকায় (শ্রীমঙ্গলে) তিনি নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। প্রকাশ্যে প্রচারে না গেলেও সুকৌশলে তিনি কাজ করছিলেন। রমজান মাস এলেই এলাকার গরিবদের মাঝে ইফতার বিতরণ, ত্রাণ বিতরণ, শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করে বিভিন্ন ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারও করে আসছেন।
শুধু বিএনপি নেতাদের নয় বাগিয়ে নিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাদের তকমা। দিন দিন বেড়েই চলছে তার ক্ষমতার দাপট। তার ভয়ে রীতিমতো তটস্থ থাকেন অনেক ভুক্তভোগী। সম্প্রতি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলর বাঘাসুরা ইউনিয়নের হরিতলা এলাকায় কুলটেক সলিউশন লিমিটেডের হয়ে জমির দালালি করতে গিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে আসে জিয়ার নাম। নামে মাত্র বায়না করে হুমকি ধমকি দিয়ে নিরীহ মানুষের জমি দখলের নানা তথ্য আসে জিয়ার নামে। জানা যায় তার জীবনের অভিলাষের কথা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই এলাকার মেশকাতের হাত ধরে ২০০৯ সালে আরিফুল ইসলাম জিয়া আসেন শাহপুর এলাকায়। মেশকাতের শ্যালক পল্লবের সাথে পরিচয় হয়ে জিয়াও মেশকাতের শ্যালক পরিচয় দিতে থাকে এলাকায়। একসময় পল্লবকে হাত করে শাহপুর নতুন বাজারে সিমেন্টের ব্যবসা শুরু করে। মেশকাত ও পল্লবের পরিচয় কাজে লাগিয়ে বেচে নেয় প্রতারণার মাধ্যম। কুলটেক সলিউশন লিমিটেডে জমি কেনার জন্য শাহপুর এলাকায় আসলে জিয়ার সাথে পরিচয় হয় কোম্পানীর চেয়ারম্যান আব্বাসী আদম আলীর। জমি কেনার দায়িত্বও পান জিয়া। অল্প সময়ে কোটিপতির স্বপ্ন দেখেন জিয়া। এলাকার কিছু যুবককে হাত করে গড়ে তুলে জিয়া বাহীনি। তাদের দিয়ে এলাকার নিরহ মানুষকে কাবু করাসহ নানা ধরণের ফন্দি একেঁ জিয়া। এক মৌজার জমি অন্য মৌজা দেখানো, মালিকানা পরিবর্তন, পর্চা কর্তনসহ নান ধরণের অপরাধ।এতে সহায়তা করে আরেক দালাল সালাহ উদ্দিন। ভাই ভাইকে দিয়ে দন্ধ, পিতা-পুত্রের মধ্যে দন্ধ লাগিয়ে একের প্রতি অন্যের মামলা করিয়ে হয়রানী করা। তারপর তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়াঁনোর নামে অল্প কিছু টাকা দিয়ে বায়না দলিলের কথা বলে মুল রেজিস্ট্রি করে নেয় জিয়া। এভাবেই অনেককে করেছে পথের ভিখারী। বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতির মাধ্যমে জমি দখল, মারপিট করা, মাদক মামলা দিয়ে হয়রানী, নারী কেলেঙ্কারী করানো সহ এমন কোন কাজ নেই যা জিয়া করেনি। জমির টাকার চেক দিয়েও আবার ছলে বলে কৌশলে চেক ফেরত নেয়া। এভাবেই ডানা মেলে তার প্রতারণার পাখার। মাত্র কয়েক বছরে জিয়া হয়ে উঠে কোটি কোটি টাকার মালিক। চড়ে দামী গাড়িতে।
চতুর চালাক জিয়া মিডিয়া কর্মীদেরও ম্যানেজ করে নেয়। এক সময় হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার উপদেষ্টা পদও ভাগিয়ে নেয়। বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত থাকা এই জিয়া নিজের অতীত অপকর্ম আড়াল করে তার বদৌলতেই বাগিয়ে নেন বিএনপির অঙ্গসংঠন পেশাজীবি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির পদও। জিয়াকে আর ঠেকায় কে! বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে টাকার বিনিময়ে পদক নিয়ে নিজের…………………চলবে
এমনি সংবাদ প্রকাশের পর জিয়া মাসুদ’কে মোটা অংকের বিনিময়ে তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়। তার পর থেকে শুরু হয় জিয়ার অপরাধ জগতে কার্যক্রম মিডিয়ার ছায়া ছত্রে। আর মাসুদ লস্করও জিয়া’কে কৌশলে রেখে দিল তার দলে। বানিয়ে নিল ই-প্রেক্লাবের উন্নয়ন উপদেষ্টা। এবার কে ডেকায় জিয়াকে। তারপর থেকে জিয়া ডায়ালগ শুরু হল ” মনে বড় জ্বালা ডেকা কোন হালা“।
অন্য দিকে কথিত হলুদ সাংবাদিক মাসুদ লস্কর কে নিয়ে জাতীয় দৈনিকসহ বেশ কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদে মাসুদ লস্করের অপকর্মের বিষয় গুলো প্রকাশিত হয়েছিল। তা হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলঃ-
মাধবপুরে খতরনাক সাংবাদিক মাসুদ লস্করের রোষানল থেকে মুক্তি পেতেচায় এলাকাবাসী
এম এ কাদেরঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক খতরনাক সাংবাদিকের রোষানলে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছেনা সচেতন মহলের ব্যক্তিরা, কারণ হল ভূমি দস্যু ও খতরনাক হলুদ সাংবাদিকদের রোশানলে পড়বে না তার কি বিশ্বাস রয়েছে। মিশু হত্যার সংবাদ ও মামলার
আসামীর দিকে নজর দিলেই তার প্রমান আমাদের
চোখের নজরে ভেসে উঠে। মাওলানা আসাদ আলী ডিগ্রি কলেজের ছাত্র দুবাই প্রবাসী শামসুল হকে’র ছেলে প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ের জেরে নিহত হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খতরনাক সাংবাদিক মাসুদ লস্কর তার মন গড়া কিছু বিষয় বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে চালিয়ে গেছে। যা ঐ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। লক্ষ করলে অতিসহসায় ভেসে ওঠে, মিশু নিহত হওয়ার সংবাদ ভোর সকালে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে শিমুলের আত্বতীয় স্বজনও নিত্যদিনের সহপাঠিরা স্ব-পরিবারে গবাদিপশু সহ মূল্যবান সম্পদ সাথে করে নিয়ে পলাতক হয়েছে। তাদের ঘরের দরজায় আজও তালা ঝুলছে ! যাদের ঘরে তালা ঝুলছে তারা হল, রুবেল মিয়া পিতাঃ শহীদ মিয়া, উজ্জ্বল মিয়া পিতাঃ শহীদ মিয়া, শাজাহান মিয়া পিতা নুর মিয়া, জাকির মিয়া পিতাঃ ছুরুক মিয়া, আক্তার মিয়া পিতাঃ শামসু মিয়া সর্বসাং হরিতলা। কেন তারা পলাতক বা তাদের ঘরে তালা ঝুলিয়ে রয়েছে এর কোন অনুসন্ধান নেই। এবং এই বিষয়ে কোন সংবাদও প্রকাশে কোন আগ্রহ নেই বললেই চলে। মাধবপুরের সচেতন মহলে একটি প্রশ্ন বিরাজ করছে উক্ত মামলায় ৩, ৫ ও ৬ নং ব্যক্তিগণকে আসামি করার বিষয়ে। তাছাড়া উক্ত হত্যা মামলায় পানাম, কুদরত ও খলিল’কে আসামী করা যে, শাহ আলম ও আরিফুল ইসলাম জিয়ার সর্বাধিক কার্সাজিতে হয়েছে তা বুজার অপেক্ষা রাখেনা কেউ। এছাড়া আরো একটি দিকে নজর দিলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার ভাবে বুজা যায়। খতরনাক সাংবাদিক মাসুদ লস্কর মিশু হত্যার প্রতিবাদে মানব বন্ধনের প্রকাশিত সংবাদে যাদের বক্তব্য তুলে ধরেছে তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন শিক্ষক। তিনি হলেন, মোঃ ফজলুর রহমান বিএসসি, শিক্ষক ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ হাই স্কুল এন্ড কলেজ। ঐ শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মাসুদ লস্করসহ বা যে সংবাদকর্মীরা আমার বক্তব্য বিভ্রান্ত ভাবে তুলে ধরেছে তা আদৌও সত্য নয়। আমি মিশু হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছি। আর হরিতলায় এনাম বাহিনী দুরের কথা আমি এনামকেই চিনি না। আমি জানি সাংবাদিকরা তিলকে তাল বানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে থাকে, কিন্তু এমন কল্পনীয় কথা তুলে ধরবে তা আমার জানা ছিল না, বলে ঐ শিক্ষক মন্তব্য করেন।
খতরনাক সাংবাদিক মাসুদ লস্কর ভূমি দস্যু প্রতারক জিয়া’র পা চাটা পোষা কুকুর হিসেবে ঘেউ ঘেউ করে প্রমান করতে উঠে পড়ে লেগেছে এনামের বিরুদ্ধে। এনামের সামনে ডাকাত বাহিনীসহ যা মন চায় তা-ই পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বলে যাচ্ছে। তাছাড়া খতরনাক সাংবাদিক মাসুদ লস্করের বিরোদ্ধে এমন বহুরূপী সংবাদ প্রকাশের অনেক সততার প্রমাণ মিলেছে। এমনকি মাসুদ লস্করের কর্মকান্ড নিয়েও জনমনে ক্ষোবের প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মাসুদ লস্করের বিষয়ে জানার আরো আগ্রহ-বেড়ে যায়। পড়ে অনুসন্ধানে দেখা যায় এই নামধারী খতরনাক সাংবাদিক মাসুদ লস্কর এলাকার বিভিন্ন অসহায় গরীব মানুষের কাছ থেকেও বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ রয়েছে অহরহ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ( আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দাদের) ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নাম করে নিরিহ গরীব প্রায় দশ থেকে পনের পরিবারের কাছ থেকে প্রতি মিটার বাবৎ কারো কাছ থেকে ১ হাজার টাকা আবার কারো কাছ থেকে ২ হাজার টাকা, তাছাড়া তার অধিক পরিমানের টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও তথ্য রয়েছে । এ ভুক্তভোগীরা হলেন ৯নং নোয়াপাড়া ইউপির শাহপুর গ্রামের বাসিন্দা। শুধু তা-ই নয় কারো কারো কাছ থেকে মামলার রিপোর্ট করানোর নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়েছে , কারো পাওনা টাকা আদায় করে দেওয়ার নাম করে , আবার কারো কাছ থেকে সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রের ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এমনি ভাবে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মাধবপুর উপজেলা থেকে, বলে ভোক্তভোগীরা জানান। তা নিয়েই শান্ত হয়নি বরং উল্টো সাংবাদিকতার ভয়ভীতি ও বিমান প্রতিমন্ত্রীর নিকটতম আত্মীয় পরিচয়ে দাবরিয়ে বেড়াচ্ছে।
স্হানীয় গণমাধ্যকর্মীদের মধ্যে মাসুদ লস্করের নামটি প্রকাশের সাথে সাথে এককথায় মন্তব্য করে বলেন, মাসুদ লস্কর এই মিডিয়া জগতে এসে যা করে চলেছে তা আমাদের মুখে প্রকাশ করার মত নয়। সাংবাদিকদের মুখে চুনকালী লাগানোর জন্য আর কোন লোকের প্রয়োজন নেই এক মাসুদ লস্করই যতেষ্ট। এমন মন্তব্য করেন মাধবপুর উপজেলার কিছু সংখ্যক সংবাদ কর্মীরা।
বিশেষ করে মাধবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মোহাম্মদ অলিদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে যে, মাসুদ লস্কর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কাল্পনিক অস্তিত্বহীন মনগড় সংবাদ প্রকাশ করে আসছেন এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? প্রতি উত্তরে সভাপতি বলেন, আমি মনে করি মহান পেশায় প্রথমত কথা হল কাদা চুড়া চুড়ি বন্ধ করতে হবে তাড়াছা মাসুদ লস্কর ঢালাও ভাবে মাধবপুরের সকল সাংবাদিকদের কাদা চুড়ে মারতে পারেনা। এবং নিজেকে সাধু সন্ন্যাসী প্রমাণ করতে গিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরী করাটা আমি মনে করি এগুলো একদম সঠিক হয়নি। আমি একটা বলতে চাই সাংবাদিকতায় প্রতিহিংসাপরায়ণ পরিস্থিতি তৈরি থেকে সব সময়ই সকল সাংবাদিকরা বিরত থাকতে হবে। আমরা এক সাংবাদিক আরেক সাংবাদিকের ভাই। আমরা যদি ভাই ভাই হিসেবে আমাদের পরিবারের সম্মান ইজ্জত বজায় রেখে না চলতে পারি তাহলে আমাদের জন্য তা শুভ লক্ষণ নয়। পরিশেষে তিনি বলেন সাংবাদিকতা পেশায় কাদা চুড়া চুড়ি বন্ধ না করতে পারলে সাংবাদিকদের অদুর ভবিষতে কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে তা বলা বাহুল্য। তাই আমি সকল সাংবাদিকের প্রতি একটা দাবী রেখে বলতেছি নিজের ইজ্জৎ সম্মান নিজেই হেফাজত রাখতে চেষ্টা করুন, কাদা চুড়া চুড়ি বন্ধ করুন।
মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সাংবাদিক মোঃ এরশাদ আলী’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় কাঁদা চুড়া চুড়ি বন্ধ করতে হবে। আর দুর্নীতিবাজরা সাংবাদিক হতে পারে না এবং সাংবাদিকরা দুর্নীতিবাজ হতে পারে না।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মাধবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এস এম শামীম আহমদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, একজন সাংবাদিক সকল সাংবাদিকদের’কে সচেতন মহলের নাগরিকদের নিকট প্রশ্ন বিদ্ধ করে তুলতে পারে না। এমন কাঁদা চুড়া চুড়ি পরিস্থিতি বন্ধ করতে হবে। নয়তো মাধবপুরের সকল সাংবাদিকরা এর একটা বিহিতের জন্য যে কোন ব্যবস্হা গ্রহণ করতে বাধ্য হতে পারে।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মাধবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন বেলাল বলেন, একজন সাংবাদিক আরেকজন সাংবাদিকে ঘায়েল করার জন্য এমনি ভাবে লেখা লেখি করাটা বোধগম্য নয়। একজন সাংবাদিক মাধবপুরের সকল সাংবাদিকের নামে এই ধরনের লেখা পত্র পত্রিকায় প্রকাশ করা থেকে বিরত না থাকতে পারে, তাহলে মাধবপুরের সকল সাংবাদিক এক হয়ে তার একটা ব্যবস্হা গ্রহণ করবে। সাংবাদিকরা হল রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ব বিষয় টা মনে রাখতে হবে। বস্তুু নিষ্ট সংবাদ প্রকাশে শতভাগ নিশ্চিত লাভ করতে হবে। কাঁদা চুড়া চুড়ি বন্ধ করতে হবে।
এই খতরনাক সাংবাদিক মাসুদ লস্করের ভিন্ন কৌশল অবলম্বনে সংবাদ প্রকাশ করে মাধবপুরে অনেক মানুষের মানহানি করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্হানীয়রা। তার এমন সংবাদ প্রকাশে খুব শীঘ্রই আইনি ব্যবস্হা গ্রহণে প্রক্রিয়াও প্রক্রিয়াদিন রয়েছে বলেও সংবাদ লেখাকালীন সময়ে জানা গেছে।
এই হল খতরনাক সাংবাদিক মাসুদ লস্কর, যার হাত ধরে প্রতারক ভূমি দ্যসু আরিফুল ইসলাম জিয়া এখন ই-প্রেসক্লাবের উন্নয়ন উপদেষ্টা !
ই-প্রেসক্লাবে তাদের বর্তমান খন্ড চিত্র
চেক জালিয়াতি মামলার জেল কারাভোগকারী ভূমি প্রতারক আরিফুল ইসলাম জিয়াকে যেভাবে সম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে তার চিত্র। জিয়ার গলায় ই-প্রেক্লাবের সমমন পড়ানো সময় খতরনাকের দৃষ্টি ভঙ্গি ।
যে ভাবে ই-প্রেসক্লাবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আসন ভাগিয়ে দখল করে আছেন খতরনাক সাংবাদিক মাসুদ লস্কর ওরফে রুবেল। ই-প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আদৌও কিন্তুক খতরনাকের আসল চেহারা দেখেনি।
এই খতরনাক যে কতটা বিপদজনক তা এক সময় বুঝতে পারে চেয়ার প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি।
ই-প্রেসক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ সময় প্রধান প্রধান স্হানে রয়েছেন ভয়ংকররা।
খতরনাকের সাথে রয়েছে ভূমি প্রতারক জিয়া
ই-প্রেসক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ স্হানেও দেখা যায় খতরনাক ও প্রতারক এর সাথে কথিত নামধারী সাংবাদিক শাহাদত ইসলাম মামুন কে
ই-প্রেসক্লাবের পক্ষে কথিত নামধারী সাংবাদিক শাহাদত ইসলাম মামুন কে স্বাগতমিয় চিত্রসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রধান সারিতেও।
উপরে উল্লেখিত সংবাদ ছাড়াও মাসুদ লস্কর ও আরিফুল ইসলাম জিয়াকে নিয়ে আরো অনেক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
চলুন এবার নতুন কিছু পড়তে
এবার ভূমি প্রতারক চেক জালিয়াতি মামলার জেল কারাভোগকারীসহ জিয়া বাহিনীর মুখোশ উন্মোচনে আসছে বেশ কিছু ভয়ংকর তথ্য। যা খুব শীঘ্রই মিডিয়ায় ধাপে ধাপে প্রকাশিত হবে। বর্তমানে জিয়ার সহযোগী হিসেবে মাসুদ লস্কর ছাড়াও কাজ করে যাচ্ছেন যারা, তারা হলেন উপজেলার ১০নং ছাতিয়াইন ইউপির এক্তিয়ারপুর গ্রামের ফার্মেসী ব্যবসায়ী শাহ আলম।
ফার্মেসি ব্যবসায়ী ও জিয়ার সহযোগী শাহ আলম।
আরেক সহযোগী উপজেলার ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের কথিত নামধারী সাংবাদিক শাহাদত ইসলাম মামুন।
কথিত নামধারী সাংবাদিক শাহাদত ইসলাম মামুন জিয়া বাহিনীর সক্রিয় সদস্য।
এছাড়া আরো কিছু ব্যক্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জিয়ার রোষানলে পড়া কিছু ভুক্তভোগী জানান, জিয়া অপকর্মে প্রতিবাদ করলেই পড়তে মিথ্যা মামলায়। টানতে হয় মামলা মোকদ্দমার গ্লানি। মামলার গ্লানি টানছেন মাধবপুর উপজেলাসহ বেশ কিছু জেলার মানুষ। জিয়ার অপকর্মে বিরুদ্ধে যে ব্যক্তিই রুখে দাঁড়ান তারই পড়তে হয় মিথ্যা মামলায়। এমন কিছু ভূক্তভোগীও রয়েছেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৬০-এর বেশি। তার দাবি, শুধু মাত্র জিয়ার অপকর্মে বিরুদ্ধে মুখোমুখি হলেই যথেষ্ট। আর ব্যক্তিই মুখোমুখি হবে তার ওপর ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক মামলা চলে আসে। জিয়ার সাজানো মিথ্যা মামলায় এ পর্যন্ত গ্লানি টানছেন ৬৭টি পরিবারের লোকজন। অনেকেই তখন তার মামলার খোঁজ খবর নিতে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। স্হানীয় ও বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, সিলেট বিভাগের মধ্যে জিয়ার দ্বারা সবচেয়ে বেশি হয়রানি ও মিথ্যা মামলা হয়েছে। জিয়ার রোষানলে পড়া ব্যক্তি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন কারীকে বলেন, আমি শুধু জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম মিডিয়ার সামনে এ অপরাধে আজ মিথ্যা মামলা আমার ওপর। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে কি যারা অপকর্মে লিপ্ত তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে মুখ খোলা কি অপরাধ? আমাকে দমাতে ও ঘায়েল করতে অভিনব পন্থায় আমার ওপর এতসব মামলা। তিনি আশঙ্কা করে বলেন, যেভাবে আমাকে নাজেহাল করতে মামলা করা হচ্ছে তাতে মনে এমন ব্যক্তিদ্বয়ের খুজ নিলে হয়তো (জিয়ার শিকার) মামলার সংখ্যা সেঞ্চুরি হতেও পারে। তবে তিনি দৃঢ়কণ্ঠেই জানালেন এসবে মোটেই ভীত নন। তিনি বলেন, গেল একটি বছর শুধু মিথ্যা মামলার জন্য আদালত পাড়ায় ঘুরতে হয়েছে। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার গর্ভধারনি মা দীর্ঘদিন যাবত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ছিল আমি তার অসুস্থতার সময় পাশে থাকতে পারিনি। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বারবার আমাকে দেখার আকুতি জানিয়ে ছিল। সেই কঠিন দুঃসময়েও মায়ের সেবা করব দুরের কথা পাশেও যেতে পারিনি মিথ্যা মামলার শিকারের কারনে। শেষবারের মতো মিডিয়া ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি, যাতে আমার মত আর কোন মায়ের সন্তান এভাবে জিয়া’র মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত না হয়।
এছাড়া আরো অনেক ভুক্তভোগী রয়েছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, সম্প্রতি কলেজ ছাত্র মিশু হত্যা মামলায় জিয়ার রোষানলে পড়েছেন প্রতিবাদকারীসহ পরিবারের সদস্য। তারা হলেন খলিল, কুদরত ও পানাম। এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে ভুক্তভোগীরা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমরা এসবের কিছই জানি না, ঘটনার সময় আমরা সারা রাত নিজ নিজ বাড়ীতে গুমে ছিলাম, সকালে জানতে পারি ছাতিয়ান মাহফিলে মারা মারি হয়েছে, কেউ নাকি মারা গেছে, এবং যারা যারা এঘটনা করেছে তারা নাকি আটক হয়েছিল, বাদশা গেইটের পূর্ব দিগে হোটেলের মালিক কুদ্দুছ মিয়া সেখানে ছিল, শিমুলসহ সবাইকে পালানোর সুযোগ করে দেয়, সেই তো যানে কে কে ছিল এসবের পাছনে এবং মাহফিলের স্বেচ্ছাসেবকও ছিল। মাহফিল কমিটির কাছে তাদের ছবিও আছে এবং কয়েক জন মুরুব্বিও ছিল তা আমরা পরে খুজ নিয়ে জানতে পারলাম। এতো প্রমাণ থাকতে, আমরা কি করে এই হত্যা মামলার আসামি হলাম, কিছু বুজে আসে না, এই দেশে কি বিচার নেই? যদি অপরাধী হই প্রমান দেন হাজির হয়ে জেলে চলে যাব কোনো প্রতিবাদ করবো না। দেশের মান্যগণ্য ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ, আপনার একটু দেখেন, আমরা তো আপনাদেরই সন্তান।
প্রতিক্রিয়ায় কুদরতঃ জিয়া ও ফার্মেসি ব্যবসায়ী জমির দালাল শাহ আলম বাঁচতে গিয়ে এসব করেছে, দেখেন জিয়া এবং শাহ আলম আমাদের জালজালিয়াতি ও প্রতারণ মামলার আসামি। সেই কারনে শাহ আলম এসব কাজ করেছে। একটা বিষয় খেয়াল করলেই বুজতে পারবেন। দেখেন আমাদের মামলার আসামি শাহ আলম, এদিকে শাহ আলমের আপন ভাই রুক্কু হত্যা মামলার সাক্ষী, আমরা হত্যা মামলার আসামী। এবার বুজেন কেন আমাদের নাম আসলো মিশু হত্যা মামলায়। শাহ আলম আর একটা মিথ্যা মামলা সাজিয়ে দিছে আমার চাচাত ভাই খুকনকে বেছেত করে চাকু দিয়া কেটে মারাজ ডাক্তারের বাড়ির এখানে ফেলে রেখে সাজানো ঘটনা দিয়া মিথ্যা মামলা দিল। এই ঘটনার বিষয়ে সত্যি বিষয় স্বীকারোক্তি আমার হাতে চলে এসেছে, সময় হল সবি সামনে আসবে। সাংবাদিক মাসুদ লস্করকে দিয়াও একটি মিথ্যা মামলা দিল আমার উপর, তার ভিডিও রেকর্ড আমার হাতে চলে এসে, এবং জিয়া জেলে বসে ডিবির চৌর্স সুমন হত্যা মামলায় আমাকে লাগাতে কাকে কাকে অপার করেছে তাদেরও ভিডিও রেকর্ড আমার কাছে চলে এসেছে। এবার জিয়া তোমার বিরুদ্ধে সব প্রমাণ নিয়ে মাঠে আসছি, জবাব তোমায় দিতে হবে, খুব তারা তারি বিশাল এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হচ্ছে, সকল ভুক্তভোগীকে সেখানে থাকার তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে। মানববন্ধনে থাকবেন, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
দেশবাসীর সুবিধার্থে তাদের’কে এক ফ্রেইমে তুলে ধরা হল। ওরা কারা জানেন কি?
এই অনুসন্ধানে বেশ কিছু লোকের নাম বেরিয়ে এসেছে আগামী পর্বে তুলে ধরা হবে জিয়া বাহিনীর সকল সদস্যদের নামসহ অপকর্মে লোমহর্ষক তথ্য। জানতে আমাদের সাথে থাকুন।