গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ কাজী নজরুল ইসলাম
জুমবাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে সুবিধাবঞ্চিত ছিন্নমূল শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বস্ত্র নিয়ে কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে শহরের রেলকলনিতে অবস্থিত জুম বাংলাদেশ বিদ্যালয় চত্তরে ৫৪ জন শিশুরদের মাঝে শীতের গরম পোশাক সোয়েটার ও শিশুর অভিভাবকেদের কম্বল বিতরণ করেছে সংগঠনটি।
এসময় প্রথম শ্রেণীর ছাত্র মোস্তাফিজুর বলে আমি রেলকলনীর বস্তিতে থাকি। আগে স্কুলে পড়তাম না। পৌর পার্কে বেলুন, পপকর্ণ বিক্রয় করতাম। জুম বাংলাদেশ স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে নিয়মিত স্কুলে যাই। স্কুলে আসার ফলে আমার অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে এবং স্কুল থেকে আমি অনেক কিছু শিখেতে পারছি। জুম বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে শীতের পোশাক, স্কুলের নতুন পোশাক, ঈদে রঙিন জামা, খাবার সামগ্রী, প্রতিদিন স্কুলে টিফিন সহ অনেক কিছু দিয়ে থাকে। একদিন আমি এখান থেকে শিক্ষিত নাগরিক হব।
আয়শা বেগম নামে এক অভিভবাবক বলেন, আমাদের দিনে এনে দিনে খাই। আমরা সন্তাদের প্রতি তেমন যত্ন নিতে পারি না। অনেক কষ্ট করে চলতে হয়। তারপরও যতটুকু পারি আমরা চেষ্টা করি। কিন্তু জুম বাংলাদেশ স্কুলে আমার ছেলেকে ভর্তি করার পর থেকে চিন্তা করতে হয় না। জুম বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষকরা অনেক যত্নসহকারে পড়াচ্ছেন। স্কুল থেকে অনেক কিছু শিখেছে এবং স্কুল থেকে আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। এতে করে পরিবারের অনেক উপকার হচ্ছে।
জুম বাংলাদেশ এর সমন্বয়ক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন“ আমরা প্রতিবছর শিশুদের শীতের জ্যাকেট ও শিশুর অভিভাবকেদের কম্বল দিয়ে থাকি। এই শিশুরা শীতে অনেক কষ্ট করে থাকে। আমরা শুভাকাঙ্খীদের সহযোগিতায় আয়োজন করে থাকি। আমাদের এসব উদ্যোগে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
শীতবস্ত্র বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম, গাইবান্ধা জেলা ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক শিকদার কামরুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন শাহ্, সাংস্কৃতিক কর্মী আফরোজা লুপু, জুম বাংলাদেশ এর শুভাকাঙ্খী সোহাগ মৃধা, মোসফাকুর রহমান জিয়া, সেহেল খান, জুম বাংলাদেশ এর সমন্বয়ক মোঃ মেহেদী হাসান, এনটি স্মরণ জুম বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষক ও ভলান্টিয়ারা।