শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
মো ইফাজ খাঁ মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
মাধবপুর তথ্য গোপন করে প্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়ে দুই শিশুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় তাদের ছাড়াও বেশ কয়েকজন মহিলাকেও আসামী করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিটও দেয়া হয়েছে। চার্জশিট থেকে তদন্ত কর্মকর্তা এক শিশুকে বাদ দিলেও অপরজনকে আসামী রেখেছেন। মঙ্গলবার মামলার নির্ধারিত তারিখে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত শিশুকে এ মামলায় আসামী করায় তদন্তকারী কর্মকর্তা মাধবপুর থানার এসআই মোঃ মুখলেছুর রহমানকে স্বশরিরে আদালতে হাজির হয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামীপক্ষের আইনজীবী মোঃ ফজলে আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তথ্য গোপন করে শিশুদের মামলায় আসামী করা হয়েছে। মহিলাদেরও আসামী করা হয়েছে। অথচ যে মহিলাদের আসামী করা হয়েছে তাদের দুধের শিশু সন্তান রয়েছে। এটি অমানবিক। তাই বাদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ওই উপজেলার শিমুলঘর গ্রামে গত বছরের ৪ আগস্ট নীল মোহন ভৌমিক বাজারে মাছ বিক্রি করতে যান। এ সময় আকছির মিয়ার ছেলে টিপু মিয়া (১৩) বাকিতে মাছ ক্রয় করতে যায়। এ নিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় নীল মোহন ভৌমিকের ভাই অমল ভৌমিক বাদি হয়ে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় টিপু মিয়ার বয়স ২৮ উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ আনা হয়। মামলার অপর আসামী বাহার মিয়ার ছেলে তারেক মিয়ার (৮) বয়স উল্লেখ করা হয় ১৮ বছর। তার বিরুদ্ধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ আনা হয়। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ মুখলেছুর রহমান। তিনি তারেককে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন। কিন্তু টিপু মিয়াকে আসামী হিসেবে দেখান।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমরা শিশুদেরকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে শোকজ করা হয়েছে কি-না আমার জানা নেই।
আদালতের দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশের কর্মকর্তা জেনারেল রেকর্ডস অফিসার (জিআরও) অরুন কুমার সিংহ জানান, মঙ্গলবার মামলার চার্জশিটের শোনানীর ধার্য্য তারিখ ছিল। কিন্তু আদালত আগামী ৭ ফেব্রুয়ারী বাদি, বিবাদি ও তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শোনানীর তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ওইদিন বাদি ও তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে স্বশরিরে হাজির হয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য আদালত নির্দেশ দেন।