মোঃ নাজমুল মোরেলগঞ্জ বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়ীখালী ইউনিয়নের জিলবুনিয়া গ্রামের ১০ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের টের পেয়েই বরপক্ষ পালিয়ে যায়,মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কতৃক মরিয়ম আক্তার নামের কনের বয়স ১৫ বছর ২০ দিন হওয়ায় অভিভাবকদের এ বিয়ে বন্ধ করতে বলার পরেও তারা বিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন, পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেট এস এম তারেক সুলতান উক্ত অনুষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ঘটনাস্থলে গেলে বরপক্ষ পালিয়ে যায় পরে স্কুলছাত্রীর পিতা ও অন্যান্যরা কনেকে নিয়ে গাঁ ঢাকা দেয়। আটক হন কনের মাতা লাবলী বেগম। পরে বাল্যবিবাহ ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ ধারায় কনের মাতাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।এসময়ে
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম তারেক সুলতান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রত্যেকের অবস্থান থেকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
সরকার বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বদ্দ্ব পরিকর। এখন সবার মধ্যে সচেতনতা এসেছে, তবে আমরা সবাই যদি সচেতন থাকি, তাহলে কোনো অবস্থাতেই ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হবে না।তাছাড়াও তিনি বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা প্রদান করেন।