মোঃ ইলিয়াস আলী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের যুবক শাকিব, শখের বসে দেশ-বিদেশের নানা রকম পশু পাখি পালন করলেও এখন পরিনত হয়েছে ব্যবসায়। কয়েক কোটি টাকার পশু ও রং-বেরংয়ের হাঁসের খামার করে মানুষকে তাক লাগিয়েছেন এই উদ্যোক্তা।
১৯৯৮ সাল থেকে শখের বসে পশু পাখি লালন পালন শুরু করলেও ২০১৮ সাল থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলে এই খামার।
জেলা সদরের থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরে বালিয়া ইউনিয়নের সোনা পাতিলা গ্রামে অবস্থিত এ খামারের। খামারে প্রবেশ করতেই চোঁখে পরবে ধব ধবে সাদা মহিশের। মহিশটির মতই বিদেশি জাতের বেশকিছু পশু আর রং-বেরংয়ের হাঁস দেখা মিলবে আলাদা আলাদা সেটে।
উদ্যোক্তার এই খামারটিতে আমেরিকা,নেদারল্যান্ড ও বেলজিয়াম থেকে রং বেরংয়ের হাঁস সংগ্রহ করা হলেও পাশাপাশি রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার মহিশ। এছাড়া দেশ-বিদেশ থেকে আনা হয়েছে নানা রকম পশু পাখি।
সেটের ভেতর কৃত্রিম পুকুরের পানিতে অপূর্ব সৌন্দর্যের নানা রংয়ের হাঁসের খুনসুটি যেন মনকারে সবার। সেটের ভেতরেই রাখা হয়েছে ছোট ছোট কাঠের ঘর। সেখানেই এসব হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফোঁটানোর ব্যবস্থাও রয়েছে।
চায়নার তিতির মুরগী, আমেরিকার তোলুস, ভুটানের ভুট্টি, আমেরিকার ব্রাহমা ও ফিজিয়ান জাতের গরুর পাশাপাশি আমেরিকার বারবাড়ি ছাগল ও ভারতের গারোল ভেড়াও রয়েছে খামারটিতে। শখের বসে এসব নানা জাতের পশু পাখির লালন পালনের উদ্যোগ গ্রহন করলেও এখন কয়েক কোটি টাকার ব্যবসায় পরিনত হয়েছে এই উদ্যোক্তার।
স্থানীয়রা জানান, উদ্যোগতার খামারে বিরল প্রজাতির পশু পাখি রয়েছে। যা দেখতে অপুর্ব লাগে। যা সচরাচর দেখা যায় না। দুর-দুরান্ত থেকে লোকজন আসছেন তার খামারে।
এ বিষয়ে এসএস এগ্রো খামারের উদ্যোক্তা ফজলে এলাহী শাকিব জানান, আমি বরাবর বিদেশ থেকে ব্যতিক্রম পশুপাখি ক্রয় করি। শখের বসে পশুপাখি লালন পালন করলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে খামারে নানা জাতের পশু আনা হয়েছে। তা লালন পালনে এলাকার স্থানীয়রা কাজের সুযোগও পেয়েছেন অনেকে। আগামীতে আরো নতুন নতুন জাতের আরো পশুপাখি আনা হবে।