ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ইং বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ৬ আসনের উপ-নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার মধ্যদিয়ে দেশে আবারো গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়ে বিএনপি-জামায়তের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে কে জিতল, কে হারল সেটা মূল বিষয় না। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে এটাই বড় কথা।
তিনি বলেন, উপ-নির্বাচনে সব আসনেই ঘোমটা পরা প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপি কতবড় ভুল করেছে যতই দিন যাবে ততই অনুধাবন করতে পারবে।
বিএনপির পদযাত্রায় সরকার সঙ্কিত কিংবা আতঙ্কিত নয় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারকে লাল কার্ড দেখানোর পরিবর্তে তারা পদযাত্রায় কেন নামলেন? বিএনপি’র কর্মসূচি গরম থেকে নরম হচ্ছে। সরকার ভয় পায়নি বিএনপি নিজেরাই ভয় পেয়েছে। তাদের পদযাত্রায় আমরা সঙ্কিত কিংবা আতঙ্কিত নই। বিএনপির কর্মসূচি নরম হচ্ছে এবং ছোট হয়ে যাচ্ছে তাদের পৃথিবী।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। মাত্র সূচনা করেছি আমরা, খেলা এখনো শুরু করিনি আমরা। বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সবই ভুয়া।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল লাল কার্ড দেখাতে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরল। সরকার পতন, ৫৪ দল, ২৭ ও ১০ দফা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবই ভুয়া। বিএনপির হাঁকডাক, লোটাকম্বল, মশার কয়েল, সাতদিন আগ থেকে সমাবেশের প্রস্তুতি সবই ব্যর্থ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি জনগণকে বার বার ধোঁকা দিয়েছে তাদেরকে আর জনগণ বিশ্বাস করে না। নির্বাচনকে বানচালের ব্যর্থ চেষ্টা করে কোন লাভ হবে না। আগামী নির্বাচনে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে একাত্তরের ঘাতকদের বিতাড়িত করবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য, সরকার ও বিরোধী দল দুটি থাকবে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির লক্ষ্য দেশকে অস্থিতিশীল করে ক্ষমতা দখল করা। তারা কখনোই জনগণের ভোটের সমর্থন আর পাবে না বলে তারা আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।